সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ২২ বৈশাখ ১৪৩২
হামাস-ইসরাইল পাল্টাপাল্টি শর্ত

৬২০ ফিলিস্তিনির মুক্তি অনিশ্চিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
৬২০ ফিলিস্তিনির মুক্তি অনিশ্চিত
হামাস নেতা বাসেম নাইম

হামাস-ইসরাইলের শর্তের আবর্তে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ৬২০ ফিলিস্তিনি কারাবন্দির মুক্তিদান প্রক্রিয়া। হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি কারাবন্দির মুক্তি ছাড়া কোনো আলোচনা নয়। তবে ইসরাইলের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া মরদেহ ফরত দিলে মিলবে ৬২০ ফিলিস্তিনির মুক্তি। মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে যুদ্ধবিরতির পরবর্তী ধাপ নিয়ে আলোচনার শর্ত হিসেবে আগে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিতে হবে। হামাসের রাজনৈতিক শাখার এক সদস্য, বলেছেন ৬২০ ফিলিস্তিনি কারাবন্দির মুক্তি ছাড়া কোনও আলোচনা নয়:যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ফিলিস্তিনি কারাবন্দিদেরকে মুক্তি দিতে হবে ইসরায়েলকে। তা না হলে গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির পরবর্তী ধাপ নিয়ে মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে ইসরাইলের সঙ্গে আলোচনা করবে না হামাস। হামাসের রাজনৈতিক শাখার সদস্য বাসেম নাঈম বলেন, 'শত্রম্নদের সঙ্গে মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনার শর্ত হল: আগে ৬২০ বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে। যাদেরকে ৬ ইসরাইলি জিম্মি এবং ৪ জিম্মির মৃতদেহ ফেরত দেওয়ার বিনিময়ে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল। এই জিম্মিদেরকে শনিবারেই হস্তান্তর করা হয়েছে।' যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সেসব শর্ত উলেস্নখ রয়েছে, শত্রম্নরা যেন তা মেনে চলে সেটি মধ্যস্থতাকারীদেরকে নিশ্চিত করতে হবে বলে দাবি জানান নাঈম। যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে গত শনিবার ছয় ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস। চার জিম্মির মৃতদেহও হস্তান্তর করে তারা। এর বিনিময়ে ওই দিনই ইসরাইলের কারাগার থেকে ৬২০ ফিলিস্তিনি কারাবন্দির মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। তবে সোমবার নতুন শর্ত দিয়েছে ইসরাইল। তারা বলেছে, যদি হামাস তাদের আরও চার জিম্মির মরদেহ ফেরত দেয় এবং এগুলো ফেরত দেওয়ার সময় কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিকতা না করে তাহলে ৬০২ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হবে।

ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম ইয়েনেত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে। তারা বলেছে, নতুন শর্তের ব্যাপারে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোতে অবহিত করা হয়েছে। তবে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো কী জানিয়েছে, এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার আগে তাদের অনেক লোকজনের সামনে মঞ্চে ওঠাচ্ছে হামাস আর রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তরের আগে কখনও কখনও তাদের দিয়ে বক্তব্য দেওয়াচ্ছে। নিহত জিম্মিদের কফিনগুলো ভিড়ের মধ্য দিয়ে বহন করে নিয়ে গেছে। এসব নিয়েই আপত্তি তুলেছে ইসরাইল।

ইসরাইল ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পিছিয়ে দেওয়ায় বন্দিদের পরিবারগুলো হতাশ হয়ে পড়েছে। ইসরাইলি কারাগার থেকে শনিবার ভাইয়ের মুক্তি পাওয়ার আশায় ছিলেন গাজার এক বাসিন্দা। তিনি বলেন, প্রতিবার কারাগার থেকে বন্দিমুক্তির তালিকা দেওয়া হয়। তারা অপেক্ষায় থাকেন এবার হয়ত ভাইয়ের নাম তাতে থাকবে, কিন্তু কখনো তার নাম থাকে না। কিন্তু এবার যখন শেষ পর্যন্ত মুক্তির তালিকায় ভাইয়ের নাম এল তখন ইসরাইল চুক্তি স্থগিত করে দিল। গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চলছে। এর প্রথম পর্বে যে ৩৩ জন জিম্মিকে হামাসের মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল তা তারা সম্পন্ন করেছে। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে