সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
পাঠক মত

জন্ম নিবন্ধন সার্ভার খোলা হোক

  ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০
জন্ম নিবন্ধন সার্ভার খোলা হোক

প্রায় ২ মাস ধরে জন্ম ও মৃতু্য নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে আছে কুমিলস্না জেলার তিতাস উপজেলার ৬নং ভিটিকান্দি ইউনিয়ন পরিষদে। ফলে উক্ত ইউনিয়ন পরিষদের নাগরিকদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ আটকে আছে। নিজ নিজ জায়গা থেকে নতুন করে জন্ম ও মৃতু্য সনদ তৈরি এবং সংশোধনের কার্যক্রমও পুরোপুরি বন্ধ আছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি, পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয় পত্র, ভিসা আবেদনসহ ১৯টি নাগরিক সেবার ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন সনদ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে এই সব সেবা গ্রহণ থেকে সাধারণ নাগরিক বঞ্চিত। ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের মো. ইউসুফ মোলস্নার বিদেশে যাওয়ার উদ্দেশ্যে পাসপোর্ট তৈরির জন্য জন্ম সনদ সংশোধনের প্রয়োজন। কিন্তু জন্ম সনদ সংশোধন কার্যক্রম আপাতত বন্ধ। ফলে তার বিদেশ যাওয়ার প্রক্রিয়া আটকে আছে। জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রমের রেজিস্ট্রার্ড জেনারেলের মতে ওয়েবসাইটের আপডেটাইজেশন, কারিগরি ত্রম্নটি এবং লোকবল সংকটের কারণে সার্ভার সাময়িকভাবে বন্ধ। কিছুদিন আগে জানা যায়, বাংলাদেশের একটি সরকারি ওয়েবসাইটের লাখ লাখ নাগরিকের তথ্য ফাঁস হয়ে গেছে। পরবর্তীতে জানানো হয় সেটি জন্ম ও মৃতু্য নিবন্ধন ওয়েবসাইট। এই কারণেই হয়তো সার্ভার বন্ধ। নাগরিকের হয়রানি এবং ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে জন্ম ও মৃতু্য নিবন্ধন কার্যালয়ের প্রতি বিনীত আবেদন, অতি দ্রম্নত উক্ত সমস্যার সমাধান করুন। জন্ম ও মৃতু্য নিবন্ধন সার্ভারের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার প্রতি আরও কঠোর এবং কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ এবং ওয়েবসাইটের কার্যক্রম চালু করুন।

আল আমিন

1

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

পলিথিন ব্যবহারে সচেতনতা জরুরি

দিন জীবনে পলিথিনের ব্যবহার ক্রমেই বেড়েই চলছে। পলিমারকরণ প্রক্রিয়ায় ইথিকন থেকে প্রাপ্ত পলিমারকে পলিথিন বলে। পলিথিন ব্যবহার জীববৈচিত্র্য, অর্থনীতি, মানবস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। আশির দশক থেকে আমাদের দেশে পলিথিনের ব্যবহার শুরু হলেও সহজলভ্যতার জন্য ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। বিষয়টি এমন পর্যায়ে দাঁড়িছে যে বাজার করতে মানুষ আজকাল বাসা থেকে ব্যাগ নিয়ে যাচ্ছে না। বাজার থেকে চকচকে কয়েকটি পলিথিন ব্যাগে বাজার নিয়ে বাড়ি ফিরছে। তা ছাড়া খাবার বাজারজাত থেকে শুরু করে ছোট বড় হোটেল -রেস্তোরাঁয় খাবার পরিবেশনের জন্য পলিথিন ব্যবহার করা হচ্ছে। পলিথিনে আবার ফ্রিজে বিভিন্ন খাবার রেখে দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) বলছে, শুধু রাজধানী ঢাকায় প্রতিদিন গড়ে ২ কোটি পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করা হয়। এত বিপুল পরিমাণ পলিথিন ব্যবহার করা হলেও পরিবেশ থেকে রিসাইকেল করার তেমন প্রবণতা দেখা যায় না। বরং রাস্তায়, ড্রেনে, জলাশয়ে, আবাদি জমিসহ যত্রতত্র পড়ে থাকে।

এতে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। রাজধানীর জলাশয়গুলোতে চোখ পড়লেই দেখা যাবে জলাশয়গুলোকে গিলে খাচ্ছে পস্নাস্টিক। এতে জলাশয়ের পানি চলাচল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অল্প বৃষ্টিতে পস্নাবিত হয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছে। আবার দীর্ঘদিন এসব পলিথিন মাটিতে থেকে মাটির উর্বরতা শক্তি নষ্ট করে দিচ্ছে। পস্নাস্টিকের ভয়াবহতা এমন পর্যায়ে পরিবেশ থেকে মানবদেহে প্রবেশ করেছে। মায়ের বুকের দুধেও পস্নাস্টিক পাওয়া যাচ্ছে। সম্প্রতি পলিমারস সাময়িকীতে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। মায়ের বুকের দুধে মাইক্রোপস্নাস্টিকের উপস্থিতি। দুধে যেসব মাইক্রোপস্নাস্টিকের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে তার মধ্যে আছে- পলিথিন, পিভিসি এবং পলিপ্রোপিলিন। ২০২০ সালে ইতালীয় বিজ্ঞানীদের এ দলটিই মানুষের গর্ভফুলে পস্নাস্টিক কণা শনাক্ত করেছিলেন। নদী ও সাগর পলিথিনের দূষণ থেকে মুক্ত নয়।

দীর্ঘদিন নদী ও সাগরে পস্নাস্টিক জমে পানিতে মিশে মাছের জীবনচক্রে মিশে যাচ্ছে। সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির থিসিসের গবেষণা থেকে এসব তথ্য মিলেছে। গবেষণার জন্য সাভার ও আশুলিয়া বাজার থেকে সংগ্রহ করা মাছে ৭৩.৩% পস্নাস্টিকের কণা পাওয়া গেছে। সাগরে তিমির পেটে পস্নাস্টিক জমে মৃতু্যর ঘটনা প্রায়ই শোনা যাচ্ছে। পস্নাস্টিকের ভয়াবহতায় লবণও যুক্ত। দেশের প্রথম সারির কয়েকটি ব্র্যান্ডের খাবার লবণ নিয়ে গবেষণা করে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর মাইক্রো পস্নাস্টিকের (আণুবীক্ষণিক পস্নাস্টিক) সন্ধান পেয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) এক দল গবেষক। বিশেষজ্ঞরা বলেন, পলিথিনে গরম খাবার রাখার সঙ্গে সঙ্গে বিসফেলন- এ তৈরি হয়। বিসফেলন- এ থাইরয়েড হরমোন তৈরিতে বাঁধা দেয়, বিকল হতে পারে লিভার ও কিডনি। গরম খাবার পলিথিনে পরিবেশন করলে ক্যানসার ও চর্মরোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পলিথিনের বিকল্প যে একেবারে নেই তা নয়। বর্তমানে পাট এবং ভুট্টার ভুসি থেকে পলিথিন ব্যাগ তৈরি করা হচ্ছে যা পরিবেশবান্ধব। এখন শুধু সরকারের সুনজর প্রয়োজন। সরকারের উচিত পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বিবেচনা করে বাংলাদেশে ২০০২ সালে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫-এর পরিপ্রেক্ষিতে পলিথিনের ব্যাগ উৎপাদন, ব্যবহার, বিপণন এবং পরিবহণ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল তার কঠোর প্রয়োগ করা। দেশের জনগণকে বিভিন্ন প্রচারণার মাধ্যমে পস্নাস্টিকের ভয়াবহতা সম্পর্কে বোঝানো জরুরি।

শামীম আহমেদ

সমাজবিজ্ঞান বিভাগ

শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ

বিয়ে বিচ্ছেদ রোধে সচেষ্ট হোন

বর্তমান দেশের সর্বত্র স্থানে এক মহামারির নাম হলো বিবাহবিচ্ছেদ এটা এতটাই বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে যা মোটেই পরিবার, সমাজ ও দেশের জন্য কল্যাণকর নয় সম্প্রতি বিবেচনায় দেখা গেছে, বিবাহবিচ্ছেদের কয়েকটি কারণ বিশেষভাবে জড়িত তন্মধ্যে- যৌতুক প্রথা, পরকীয়া, নির্যাতন ও পারিবারিকভাবে স্ত্রীর মায়ের প্ররোচনায় ভেঙে পড়ছে শতশত পবিত্র বন্ধন। প্রতি বছর যৌতুকের কারণে অনেক নারী নির্যাতনের শিকার হন এবং তালাকপ্রাপ্ত হন আবার স্বামী কিংবা স্ত্রীর পরকীয়ার ফলেও অভিশাপ নেমে পড়ছে অনেকের সুখময় দাম্পত্য জীবনে কখনো কখনো মেয়ের মায়ের অনৈতিক আচরণ ও প্ররোচনায় সুখের সংসার ভেঙে যাচ্ছে তাছাড়া, স্বামীর বদমেজাজ কিংবা ছোট-খাটো বিষয়কে কেন্দ্র করে স্ত্রীকে মারধর করেন অনেকে এমনকি হত্যা পর্যন্ত করার সংবাদ কোনো বিরল বিষয় নয় আবার অনেক সময় স্বামীর নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে স্ত্রী আত্মহত্যার পথ বেছে নেন মূলত উভয় দিকের সমস্যা কম-বেশি জড়িত অতএব, পারিবারিক শান্তি ও সুখকর দাম্পত্য জীবন পরিচালনায় অবশ্যই পরকীয়া, যৌতুক প্রথা, নির্যাতন ইত্যাদি বন্ধ করতে হবে এর জন্য চাই প্রত্যেকে নিজ নিজ স্থানে সচেতনতা।

আবদুর রশীদ

সাতকানিয়া, চট্টগ্রাম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে