সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

পাঠক মত

নতুনধারা
  ১২ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

পানিতে বর্জ্য ফেলা থেকে বিরত থাকি

ঢাকার সদরঘাট বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ জলপথে চলাচলের জন্য ব্যস্ততম এলাকা। কিন্তু লঞ্চঘাটে বুড়িগঙ্গার পানি পচে কালো আকার ধারণ করে আছে। পানিতে পড়ে আছে পস্নাস্টিকের বোতল, চিপসের প্যাকেটসহ আরও নানান বর্জ্য। শুধু সদরঘাট নয়, বাংলাদেশের বেশিরভাগ লঞ্চঘাটের চিত্রই একই রকম। আর এই খারাপ অবস্থার জন্য আমরা মানুষরাই দায়ী। কিন্তু এই বর্জ্যগুলো আমাদের পরিবেশ বৈচিত্র্যের জন্য খুবই ভয়াবহ। এই বর্জ্যের ফলে পানিতে বসবাসকারী বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ও অন্যান্য প্রাণীর জীবন হুমকির মুখে পড়ছে। এ ছাড়া আমাদের ফেলা পস্নাস্টিকের প্যাকেট, বোতল বা অন্যান্য বর্জ্যের কারণে পানি দূষিত হচ্ছে। পানি পরিবেশের অতীব গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এই পানি দূষণের প্রভাব পড়ছে আমাদের সামগ্রিক জীবন ও পরিবেশের ওপর; যা আমাদের জীবনকেও হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। তাই আসুন, আমরা পানিতে বর্জ্য ফেলা থেকে বিরত হই? আমাদের ব্যবহৃত টিসু্য বা পলিথিনের প্যাকেট বা অন্যান্য বর্জ্য আমরা লঞ্চের ডাস্টবিন বা ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে পারি।

মো. সিফাতুলস্নাহ তাসনীম

শিক্ষার্থী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

চিকিৎসাকেন্দ্র হোক দালালমুক্ত

বাংলাদেশের সরকারি হাসপাতালগুলোর বর্তমান চিকিৎসেবা নিয়ে জনগণের ভোগান্তির শেষ নেই। যেখানে চিকিৎসকের চেয়ে দালালের সংখ্যাই বেশি। রোগী বা রোগীর আর্থিক অবস্থা যেমনই হোক না কেনো, এসবে তাদের কিছুই যায় আসে না। বরং রোগীর মুমূর্ষু অবস্থায়ও ফায়দা লুটে এই দালাল চক্র। তারা নিজেদের হাসপাতালের স্টাফ বলে দাবি করে এবং সিরিয়াল আগে দেওয়া থেকে শুরু করে রিপোর্ট নেওয়া পর্যন্ত যাবতীয় কার্যক্রম তারা সমন্বয় করে থাকে টাকার বিনিময়। রোগীর স্বজনরাও একপ্রকার জিম্মি হয়েই বাধ্য হয় এই দালালিসেবার আশ্রয় নিতে। এ ছাড়াও রোগীর স্বজনদের থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়ে যাওয়াও এই চক্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। দালালদের খপ্পরে পড়ে ভুল ও অনুপযুক্ত চিকিৎসার স্বীকার হয় অসহায় মানুষ। দীর্ঘ সময় সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে থেকেও যখন দালালের সুবিধা নেওয়া মানুষজন পরে এসে টাকার বিনিময় আগে চলে যায় তখন স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ জনগণ চড়াও হয়। যতদিন যাচ্ছে, মানুষের ভোগান্তি চরম পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে। কিন্তু প্রকাশ করার বা অভিযোগের কোনো উপায় না থাকায় বা থাকলেও যথাযথ গুরুত্বের অভাবে বিষয়টি দিন দিন বেড়েই চলছে। তাই নতুন বছরে এই প্রত্যাশা রাখব যে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যেন এ বিষয়টির ওপর যথাযথ গুরুত্বারোপ করে এবং যতদ্রম্নত সম্ভব, সাধারণ জনগণকে এই ভোগান্তি থেকে পরিত্রাণের ব্যবস্থাসহ চিকিৎসাসেবাকে যেন আরও সহজ এবং সমৃদ্ধ করে, সেই বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

জান্নাতুল ফেরদৌস তানজিনা

সহযোগী সদস্য, বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে