সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ২২ বৈশাখ ১৪৩২

ডেভিল হান্টেও বেপরোয়া দুর্বৃত্তরা

চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, খুন ও ধর্ষণসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ড সংঘটিত করে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তারা
সাখাওয়াত হোসেন
  ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
ডেভিল হান্টেও বেপরোয়া দুর্বৃত্তরা
ডেভিল হান্টেও বেপরোয়া দুর্বৃত্তরা

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সারাদেশে একযোগে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র?্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযান 'ডেভিল হান্ট' চলমান থাকলেও এরই মধ্যে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে দুর্বৃত্তরা। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, খুন ও ধর্ষণসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ড সংঘটিত করে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তারা। ফলে, অফিস-আদালতসহ বিভিন্ন কর্মস্থল, এমনকি নিজ বাসাবাড়িতেও মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নাজুক এ পরিস্থিতির কথা স্বীকার করে খোদ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আরও কঠোর হওয়ার ঘোষণা দিলেও জনমনে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা রয়েই গেছে।

অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত কয়েক মাসে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় আতঙ্কিত অনেকেই ব্যবসাবাণিজ্যের পাশপাশি অন্য নিয়মিত কার্যক্রমও বেশ কিছুটা গুটিয়ে নিয়েছে। শুধু নারীই নয়, অনেক পুরুষও এখন সন্ধ্যার পর ঘরের বাইরে থাকতে ভয় পাচ্ছে। নতুন করে ঘরবাড়ি, কলকারখানা ও দোকানপাটসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা বাড়িয়েও মানুষ এখন আতঙ্কিত দিন পার করছে। দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে স্থাবর-অস্থাবর যে কোনো সম্পদ আকস্মিক দখল করে নিতে পারে এ আতঙ্কে অনেকের রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। নগদ টাকা, সামান্য স্বর্ণালংকার কিংবা মোবাইল ফোনের মতো মালামাল ছিনিয়ে নিতে দুর্বৃত্তরা প্রাণঘাতী হামলা চালাতে পারে এ আশঙ্কায় সবাই তটস্থ রয়েছে।

অনেকেই মনে করছেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপস্নবে ভেঙে পড়া পুলিশ বাহিনীর মনোবল এখনো কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় ফিরে না আসায় দুর্বৃত্তরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তবে, অপরাধ বিশেষজ্ঞরা এ নিয়ে ভিন্ন মত দিয়েছেন। তাদের ধারণা, দুর্বৃত্তদের মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার নেপথ্যে সদ্য পতিত একটি রাজনৈতিক দলের ইন্ধন রয়েছে। তারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়ে দেশকে পরিকল্পিতভাবে অস্থিতিশীল করে তুলতে চাইছে। এজন্য তারা পর্যাপ্ত অর্থও বিনিয়োগ করছে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীও সম্প্রতি এ ব্যাপারে অনেকটা একই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি দেশের চলমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির জন্য আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগীদের দায়ী করে বলেন, 'আওয়ামী লীগ সমর্থকরা পরিকল্পিতভাবে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে এবং দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে লুট করা অর্থ ব্যবহার করছে।' তিনি জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করতে সোমবার থেকে টহল বাড়ানো হচ্ছে। দেশকে অস্থিতিশীল করতে আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্র সফল হবে না। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিরও দ্রম্নত উন্নতি হবে বলে আশ্বাস দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

এদিকে বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনা ছাড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো এমন দাবি করে এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, পুলিশ সদস্যরা এখন পূর্ণ মনোবল নিয়ে কাজ করছেন। ফলে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।

তবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও ডিএমপি কমিশনারের বক্তব্যে যে সাধারণ মানুষের আস্থার সংকট কাটেনি, তা নগরীর বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের ভাষ্য, শুধু ঢাকাই নয়, সারাদেশেই ছিনতাই, ডাকাতি, দসু্যতার পাশাপাশি চাঁদাবাজি ও দখলবাজি বেড়েছে। একের পর এক খুন ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। এমনকি চলন্ত বাসেও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে নগরীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যে অনেকটাই নাজুক তা সম্প্রতি সময়ে সংঘটিত বিভিন্ন অপরাধের পরিসংখ্যান চিত্র পর্যালোচনাতেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

রোববার রাতে মাত্র তিন ঘণ্টার ব্যবধানে ঢাকাতে চারটি দুর্ধর্ষ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে বনশ্রীর ডি বস্নক ৭ নম্বর রোডের ২০ নম্বর বাড়ির সামনে আনোয়ার হোসেন নামে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে ও কুপিয়ে তার কাছে থাকা ২০০ ভরি সোনা এবং নগদ এক লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রাত ১২টার দিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

একই রাতে মোহাম্মদপুরে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে দেখা যায়, একটি রিকশা থামিয়ে দুই তরুণ ছিনতাই করছে। রিকশায় এক নারীকে বসে থাকতে দেখা যায় এবং তার পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন আরেক নারী। এ সময় দাঁড়িয়ে থাকা নারীর দিকে এক ছিনতাইকারীকে চাপাতি হাতে তেড়ে যেতে দেখা যায়। এছাড়া, হাজারীবাগ ও যাত্রাবাড়ীতে পৃথক দু'টি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গত ২১ জানুয়ারি পল্টনের বিজয়নগর বটতলা এলাকায় ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে প্রাইভেটকার চালক মোহাম্মদ সাজু মিয়া খুন হন। গত ১৮ ডিসেম্বর রাতে কামরুল হাসান নামের এক ব্যক্তি সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ডে যাওয়ার জন্য ফ্লাইওভার দিয়ে হাঁটছিলেন। এ সময় কয়েকজন ছিনতাইকারী মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিতে তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। এর আগে, ১৫ ডিসেম্বর হাবিব উলস্নাহ নামের একজন মগবাজার এলাকায় ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন।

২১ ফেব্রম্নয়ারি রাতে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার রামচন্দ্রপুর মাঠের শ্মশানঘাট এলাকায় তিনজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় একটি 'চরমপন্থি দল' পরিচয় দাবি করে 'দায় স্বীকারের' বার্তা ছড়িয়ে দেয়। স্থানীয়রা জানান, ২১ ফেব্রম্নয়ারি রাত ৮টার দিকে শ্মশানঘাট এলাকায় গোলাগুলোর শব্দ শুনতে পান তারা। পরে খবর পেয়ে রাত ১২টার দিকে শ্মশানঘাট এলাকার একটি খালের পাশ থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাদের প্রত্যেকের মাথায়ই গুলির চিহ্ন ছিল।

পুলিশ সদর দপ্তর, হাসপাতাল ও হতাহতের পরিবারের দেওয়া তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর গত বছরের শেষ পাঁচ মাসে দেশে এক হাজার ৫৬৫ জন খুন হয়েছে। এতে প্রতি মাসে গড়ে খুন হয়েছে ৩১৩ জন। এ সময় হামলাকারীদের ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্রে দেড় সহস্রাধিক মানুষ আহত হয়।

এদিকে চলতি বছরের শুরু থেকেও খুনসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ জানুয়ারি এক দিনেই তিনটি চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ড ঘটে। এর মধ্যে মধ্যরাতে রাজধানীর মিরপুরের দিয়াবাড়ী সিটি বস্তিতে মো. মিলন নামের এক পোশাককর্মীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। একই দিন রাত সাড়ে ৯টায় খুলনা নগরের তেঁতুলতলা মোড় এলাকায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অর্ণব কুমার সরকারকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। ওই দিন দুপুরে চট্টগ্রামের রাউজানে জুমার নামাজ আদায়ে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে জাহাঙ্গীর আলম (৫৫) নামের এক ব্যবসায়ী নিহত হন। সংশ্লিষ্টরা জানান, বেশিরভাগ হত্যাকান্ডের পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক সহিংসতা, চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও ডাকাতি। এসব ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হলেও বেশির ভাগ অপরাধী অধরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এভাবে প্রতিদিন রাজধানী বা ঢাকার বাইরে চাঞ্চল্যকর খুনের ঘটনা ঘটছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন এলাকায় নদী, খাল-বিল, মাঠ, ঝোপজঙ্গল থেকে অজ্ঞাত লাশ উদ্ধারের ঘটনা ঘটছে। একই সঙ্গে চুরি-ছিনতাই, দসু্যতা ও ডাকাতির মতো অপরাধমূলক ঘটনা বেড়েছে।

অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, এভাবে নির্বিচারে মানুষ হত্যা ও বিভিন্ন অপরাধমূলক ঘটনা বেড়ে যাওয়া মানে সমাজে চরম বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে। তাদের মতে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর ব্যর্থতার কারণেই মূলত এসব ঘটছে। এটা নিয়ন্ত্রণ করে জনমনে স্বস্তি ফেরাতে হবে।

হত্যার নেপথ্যের কারণ বিশ্লেষণে পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে- পূর্বশত্রম্নতা, রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি, সম্পত্তির লোভ ও সম্পর্কের টানাপড়েনের মতো ঘটনার জেরে হত্যার ঘটনা বাড়ছে। এমনকি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করেও কুপিয়ে হত্যার মতো ঘটনা ঘটছে।

এদিকে, পুলিশের এক তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত চার মাসে দেশে ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৭৯৬টি মামলা হয়েছে। ২০২৩ সালে একই সময়ে এই অপরাধে মামলা হয় ৪৯৪টি। একই সময়ে অপহরণের ঘটনায় ৩০২টি মামলা হয়। ২০২৩ সালের এ সময় এসব অভিযোগে মামলা হয় ১৬০টি। পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সাধ্যমতো কাজ করছে। কিন্তু কিছু সামাজিক অপরাধের কারণেই খুনের পরিসংখ্যান বাড়ছে।

এদিকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজির ঘটনা বাড়ারও অভিযোগ উঠেছে। গত ১০ জানুয়ারি রাতে চাঁদা না পেয়ে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে মাল্টিপস্ন্যান সেন্টারের সামনে ব্যবসায়ী এহতেশামুল হককে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে নিউ মার্কেট থানায় মামলা করা হয়।

২৫ ফেব্রম্নয়ারি রাজধানীর পলস্নবীতে চাঁদা না দেওয়ায় বাড়ির মালিকককে জানে মেরে বাড়িটি দখল করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বাড়ির মালিক মো. নাসির উদ্দিন পলস্নবী থানায় ৫ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। সাভারের আশুলিয়ায় দাবিকৃত চাঁদা না দেওয়ায় ৯ জানুয়ারি শাহীন নামে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনার পর ওই যুবলীগ নেতা পলাতক রয়েছেন।

১৭ জানুয়ারি বাড্ডা থানাধীন চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকার বাসিন্দা মো. জুয়েল খন্দকারের কাছে ফোন করে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে সন্ত্রাসীরা। ওই সময় তিনি চেয়ারম্যান বাড়ি মোড়ের মহিলা সমিতির বৈঠকে ছিলেন। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানানোর কিছুক্ষণ পর মোটর সাইকেলে চড়ে মহিলা সমিতিতে আসেন ১০-১২ জন দুর্বৃত্ত। জুয়েল বৈঠক থেকে বের হলে তার পায়ে গুলি করা হয়।

এদিকে দেশে ধর্ষণ, দলবদ্ধ ধর্ষণ, ধর্ষণের চেষ্টা, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বেড়েছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। সংগঠনটির দেওয়া ২৩ ফেব্রম্নয়ারির বিবৃতিতে বলা হয়, টাঙ্গাইলের মির্জাপুর এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি ও নারীদের শ্লীলতাহানি, রংপুরের মিঠাপুকুরে চতুর্থ শ্রেণির এক শিশুকে ধর্ষণসহ সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণ ও সহিংসতার ঘটনা বেড়েছে। মহিলা পরিষদ জানায়, দেশের বিভিন্ন স্থানে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে প্রতিনিয়ত ধর্ষণ, দলবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যার মতো নৃশংস ঘটনা ঘটছে। এতে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। সংগঠনটি মনে করে, নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা সার্বিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং এটি তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ও অগ্রগতিকে ব্যাহত করছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে