শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

বড় জয়ে স্বরূপে ফিরল বসুন্ধরা

ক্রীড়া প্রতিবেদক
  ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
বিপিএলে শনিবার বাংলাদেশ পুলিশের বিপক্ষে গোল করার পর বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড়দের উচ্ছ্বাস -ওয়েবসাইট

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে (বিপিএল) টানা পাঁচ ম্যাচ জয়ের পর হঠাৎই ছন্দপতন ঘটেছিল বসুন্ধরা কিংসের। ষষ্ঠ রাউন্ডে মোহামেডানের কাছে হেরে যায় তারা। তবে সপ্তম রাউন্ডেই আবার স্বরূপে ফিরেছে বসুন্ধরা। শনিবার ময়মনসিংহের রফিকউদ্দিন ভুইয়া স্টেডিয়ামে পুলিশ ফুটবল ক্লাবের বিপক্ষে ৩-০ গোলের বড় জয় পেয়েছে অস্কার ব্রম্নজনের শিষ্যরা। এই জয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই থাকল কিংস।

এছাড়াও এদিন লিগে আরও দুই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। মুন্সীগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম আবাহনী ২-১ গোলে হারায় শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রকে। গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে ফর্টিস এফসিকে ১-০ গোলে হারায় দশজনের শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব।

আগের ম্যাচের অপ্রত্যাশিত হার যেন আরও ভালো কিছু করার অনুপ্রেরণা দিয়েছিল বসুন্ধরা কিংসের ফুটবলারদের। ময়মনসিংহে শনিবার তাই পুলিশের বিপক্ষে ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দিয়েছেন রাকিব-গফুরভরা। ম্যাচ শুরুর মাত্র ৬ মিনিটের মাথাতেই লিড নেয় বসুন্ধরা। মাঝ মাঠ থেকে সতীর্থ তপু বর্মণের ক্রস পেয়ে বক্সের বাইরে থেকে বা পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন মিগুয়েল ফিগুয়েরা (১-০)। ১৬ মিনিটে বক্সে জটলা থেকে শট নিতে গিয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রবসন রবিনহো, তবে বল ক্লিয়ার করেন পুলিশের ডিফেন্ডাররা। ২১ মিনিটে বসুন্ধরার আক্রমণের শুরুটা হয় মাঝমাঠ থেকে। রবসন রবিনহো দারুণ একটা পাস বাড়িয়ে দেন। বিপদ বুঝতে পেরে বল ক্লিয়ার করতে পোস্ট ছেড়ে সামনে বের হয়ে এসেছিলেন পুলিশের গোলরক্ষক রাসেল মাহমুদ। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ততক্ষণে বল নিয়ে দ্রম্নতগতিতে বক্সে ঢুকে ডান পায়ের শটে পুলিশের জাল কাঁপান কিংস ফরোয়ার্ড রাকিব হোসেন (২-০)। ২৫ মিনিটে আরও এক গোলের সুযোগ এসেছিল কিংসের। আনমার্কড ছিলেন রবিনহো। বল পেয়ে ডান পায়ে শটও নিয়েছিলেন। কিন্তু বল চলে যায় বারের উপর দিয়ে। ২৭ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে মিগুয়েলের কর্নার বক্সে পেয়ে হেড নেন উজবেক মিডফিল্ডার আশরর গফুরভ। বার ঘেঁষে বল চলে যায় বাইরে। পরের মিনিটেই তৃতীয় গোলটি আদায় করে নেয় বসুন্ধরা। পুলিশের কিরগিজ ডিফেন্ডার ইসুপভের কাছ থেকে বল ছিনিয়ে নিয়ে ডান প্রান্ত থেকে সতীর্থের উদ্দেশে বল বাড়িয়ে দেন রবিনহো। বল নিয়ে পুলিশের বক্সে ঢুকে পড়েন গফুরভ। বল নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ঠেলে দেন পুলিশের জালে (৩-০)। ৩৮ মিনিটে বক্সের সামান্য বাইরেই ফ্রি কিক পায় বসুন্ধরা। তবে রবিনহোর ডান পায়ের শট অল্পের জন্য জড়ায়নি জালে। ৫৮ মিনিটে বা প্রান্ত থেকে রবিনহোর স্পট কিক লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৮৮ মিনিটে পেনাল্টি এরিয়ার সামান্য বাইরে রাকিবকে ফাউল করেন ইসমাইল। ফ্রি কিক পায় বসুন্ধরা। মিগুয়েলের শট প্রতিপক্ষের হিউম্যান ওয়ালে লেগে বাইরে চলে যায়। মিগুয়েলের কর্নার এসে থামে লিটনের হাতে। নির্ধারিত সময়ে পুলিশ একটি গোলও শোধ করতে পারেনি। কিংসও আর ব্যবধানটা বাড়াতে পারেনি। তাই ৩-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বসুন্ধরা।

অন্যদিকে গোপালগঞ্জে ম্যাচের ৬২ মিনিটে পর্যন্ত শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে আটকে রাখতে পেরেছিল ফর্টিস এফসি। ৬৩ মিনিটে ফরোয়ার্ড ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের গোলে এগিয়ে যায় শেখ জামাল (১-০)। ইনজুরি টাইমে (৯০+৩ মিনিটে) দ্বিতীয় হলুদ কার্ড (লাল কার্ড) দেখে মাঠ ছাড়েন জামালের নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড ডিংবা। তবে ম্যাচের প্রায় শেষ দিকে লাল কার্ড তেমন কোনো প্রভাব ফেলেনি জামালের খেলাতে। তাই ১-০ গোলের জয় পায় জামাল।

মুন্সীগঞ্জে শেখ রাসেলের বিপক্ষে ৬১ মিনিটে গোল করেন চট্টগ্রাম আবাহনীর মিডফিল্ডার সোহেল রানা (১-০)। ৭০ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফরোয়ার্ড রিয়াজ উদ্দিন সাগর (২-০)। ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে পেনাল্টি পায় শেখ রাসেল, বুরুন্দির ফরোয়ার্ড সুলেমানি ল্যান্ড্রি পেনাল্টি থেকে গোল আদায় করে ব্যবধান কমান (২-১)। এই ব্যবধানেই শেষ হয় ম্যাচটি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে