বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২

ঈদগাঁও-ফুলছড়িতে বেদখল বনভূমি পুনরুদ্ধারের পর করা হচ্ছে বৃক্ষরোপণ

ঈদগাঁও (কক্সবাজার)  প্রতিনিধি
  ১৯ জুন ২০২৫, ১৩:২০
ঈদগাঁও-ফুলছড়িতে বেদখল বনভূমি পুনরুদ্ধারের পর করা হচ্ছে বৃক্ষরোপণ
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফুলছড়ি রেঞ্জে দখল হওয়া সংরক্ষিত বনভূমি উদ্ধার করে সৃজন করা হচ্ছে বৃক্ষরাজি -যায়যায়দিন

কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফুলছড়ি রেঞ্জে দখল হওয়া সংরক্ষিত বনভূমি উদ্ধারে কার্যক্রম শুরু করেছে বনবিভাগ।

উদ্ধারকৃত এসব বনভূমিতে সৃজন করা হচ্ছে বৃক্ষরাজি। এতে দখল হওয়া সংরক্ষিত বনভূমি আগের পরিবেশে ফিরে আসবে বলে মনে করছেন বনবিভাগের কর্মকর্তারা।

বৃহষ্পতিবার (১৯ জুন) সকালে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ঈদগাঁও উপজেলার ফুলছড়ি রেঞ্জের অধীনস্থ ফুলছড়ি বনবিটে জবরদখলকৃত ২০ হেক্টর বনভূমি পুনরুদ্ধার করে বনবিভাগের কর্মীরা সেখানে রোপণ করেছেন বিলুপ্ত প্রায় ২৫ প্রজাতির ৫০ হাজার চারা গাছ।

তার মধ্যে গর্জন, জারুল, শিমুল, বৈলাম, চিকরাশি, সোনালু, কদম, ছাতিয়ান ,পীতরাজ ও শীল কড়ই উল্লেখযোগ্য।

নাপিতখালী বিট অফিসার জুয়েল চৌধুরী উক্ত কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছেন। তিনি জানান, জবরদখলকৃত বনভূমি পুনরুদ্ধারের জন্য বন বিভাগ মাঝে মাঝে অভিযান পরিচালনা করে এবং অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে।

উদ্ধার করা জমিতে গাছ রোপণ করে বনভূমি পুনরুদ্ধার করা হয়। কিছু ক্ষেত্রে, প্রভাবশালী ব্যক্তিদের কারণে বেদখল হওয়া বনভূমি উদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়ে।

জবরদখল প্রতিরোধ ও বন বনভূমি পূর্বের অবস্থানে ফিরিয়ে নিতে পরিচালন ব্যয় খাতে চলতি অর্থ বছরে ২০ হেক্টর বনায়নে কার্যক্রম শুরু করেন ফুলছড়ি রেঞ্জের ফুলছড়ি বিটের জঙ্গল খুটাখালী মৌজায়। তবে এ বছর বনায়নের অংশ বিলুপ্তপ্রায় ২৫ প্রজাতির ৫০ হাজার চারা রোপন করা হচ্ছে।

কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা রাশিক আহসান জানান, ফুলছড়ি রেঞ্জের বিভিন্ন স্থানে বিপুল পরিমাণ সংরক্ষিত বনভূমি দখলে নিয়েছিল অসংখ্য প্রভাবশালী ব্যক্তি। তারা এসব বনভূমি প্লট আকারেও অনেকের কাছে বিক্রি করে হাতিয়েছে মোটা টাকা।

সেই বনভূমি পুনরুদ্ধার করে সেখানে বৃক্ষরোপণ করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে এ বন জীববৈচিত্র্য ও বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল ফিরে পাবে।

সহকারী বন সংরক্ষক শীতল পাল জানান, শুধু ফুলছড়ি নয়, রেঞ্জের অধীনস্থ পাঁচটি বনবিটের সংরক্ষিত বনভূমি যাদের দখলে রয়েছে এবং যেসব বনভূমিতে অবৈধ বসতি স্থাপন করা হয়েছে তা উচ্ছেদ করে বনবিভাগের নিয়ন্ত্রণে আনা হবে। ইতোমধ্যে ফুলছড়িতে ২০ হেক্টর বনভূমি থেকে অবৈধ বসতি উচ্ছেদ করে সেখানে বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে।

কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. মারুফ হোসেন বলেন, সংরক্ষিত বনাঞ্চল বা বনভূমি দখলে রাখতে পারবে না কেউ।

যত বড় প্রভাবশালী হউক তাদের হেফাজত থেকে পুনরুদ্ধারের পর সেখানে বৃক্ষরোপণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মাঠপর্যায়ের রেঞ্জ ও বিট কর্মকর্তাদের।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে