ভাবির সঙ্গে স্বামীর পরকীয়ায় বাঁধা দেওয়ায় নির্যাতনের পর ঝর্ণা খাতুন (২২) নামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা করে মরদেহ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনার পর পরিবারের সবাই পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বিকেলে পাবনা সদর থানায় নিহতের চাচা খোয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে চারজনের নামে একটি মামলা দায়ের করেন।
এর আগে সকালে মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারকে হস্তান্তর করা হয়। গতকাল বুধবার ১৮ (জুন) দুপরের দিকে চর বলরামপুর এলাকার বাসা থেকে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
মৃত ঝর্ণা খাতুন সদরের ভাঁড়ারা ইউনিয়নের কদমতলা এলাকার মকশেদ আলী প্রামাণিকের মেয়ে। অভিযুক্ত হিরু প্রামাণিক চর বলরামপুরের শহীদ প্রামানিকে ছেলে।
মামলার আসামিরা হলো- নিহতের স্বামী হিরুক প্রামানিক, শশুর শহীদ প্রামানিক, শাশুড়ী আম্বিয়া খাতুন, ভাবি সোগাগী খাতিন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নিহত ঝর্ণা খাতুনের সঙ্গে চর বলরামপুর এলাকার শহীদ প্রামানিকের হিরুক প্রামাণিকের সঙ্গে পারিবারিকভাবে ৪ বছর পুর্বে বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে ভালই চলত।
এরপর বড় ভাই শাহীনের স্ত্রী সোহাগীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়ানোর পর থেকে ঝর্ণা খাতুনকে শারিরীক ও মানষিকভাবে নানা ধরনের নির্যাতন করত। মাঝেমধ্যে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বাবার বাড়িতে চলে আসত। এদিন সকালের দিকে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ার বিষয়ে কথা বললে স্ত্রী ঝর্ণা খাতুনকে শারিরীকভাবে নির্যাতন করা হয়।
এরপর পরিবারের সব সদস্য মিলে তাকে হত্যা করে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে পরিবার সহ পালিয়ে যায়। এরপর থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
নিহত ঝর্ণা খাতুনের ভাই রুবেল হোসেন বলেন, ভাবির সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক বাধা দেওয়াতে নির্যাতন করা হতো। সেদিনও ভাবির পরকীয়া নিয়ে কথা বলায় তাকে নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করে ঝুঁলিয়ে রাখা হয়েছিল।
তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে পুরো পরিবার পালিয়ে বেড়াচ্ছে। হত্যার ঘটনায় সঠিক তদন্ত করে হত্যাকারীকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে ফাঁসির দাবি করেন।
পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে আত্মহত্যা প্ররোচনা উল্লেখ করে ৪ জনের নামে মামলা দায়ের করেছে।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। তখন হত্যা মামলায় রুপান্তর হবে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কাজ করছে।