পটুয়াখালীর বাউফলে ক্ষেত থেকে তরমুজ পরিবহনে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় বিএনপি দলীয় নেতাকর্মীরা তাদের পছন্দের গাড়িতে তরমুজ পরিবহন করতে চাষীদের গাড়িতে তরমুজ পরিবহন করতে বাঁধা দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন চাষীরা। উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চর নিমদী এলাকা এ ঘটনা ঘটে। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মোসলেম উদ্দিন পঞ্চায়েত নামে এক চাষী। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছে পুলিশ।
থানায় অভিযোগ ও স্থানীয় চাষীরা জানান, নিমদীর চরে প্রায় ১০০ একর জমিতে তরমুজ চাষাবাদ হয়েছেন। রমজানের বাজার ধরতে তরমুজ কাটা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) তরমুজ ক্ষেত থেকে উল্কা গাড়িতে পরিবহন করতে গেলে স্থানীয় ওয়ার্ড যুবদলের আহ্বায়ক বিএনপি নেতা রমিজ উদ্দিন (৩৪), একই ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মো. বাবুল(৫০) ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মো. লুৎফর (৪০) ২০/২৫জন লোকজন নিয়ে বাঁধা দেয়। এসময় তার চাষীদের গাড়ি চালককে ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়। ভয়ে গাড়ি চালক চলে যান। এতে তরমুজ নিয়ে বিপাকে পড়েন তরমুজ চাষীরা।
চাষী মোসলেম পঞ্চায়েত বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছ থেকে ওয়াকফ এস্টেটের ১২৩ একর জমি লিজ নিয়েছি। সেই জমিতে আমি সহ আমার চাষীরা তরমুজ চাষবাদ করেছেন। তরমুজ ক্ষেতে উল্কা গাড়িতে পরিবহন করতে গেলে স্থানীয় বিএনপি নামধারী রমিজ, বাবুল ও লুৎফর বাধা দেয়। তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র সহ দলবল নিয়ে এসে আমার গাড়ি চালককে ভয় দেখায়। তাদের গাড়ি ছাড়া অন্য কারো গাড়িতে তরমুজ পরিবহন করা যাবে না বলে হুমকি দিয়ে যায়। তাদের ভয়ে গাড়ি চালক চলে গেছেন। এতে আমি সহ অন্যচাষীরা তরমুজ নিয়ে বিপদে পড়েছেন।
ক্ষেতেই তরমুজ পঁচে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন। একই অভিযোগ করেছেন মো. মিলন, পারভেজ, ইউসুফ ও ইয়াকুব সহ অনেক চাষী।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড যুবদল আহ্বায়ক মো. রমিজ উদ্দিন। তিনি বলেন, আমি এসবের সাথে জড়িত না। তরমুজ পরিবহনে আমরা বাধা দেইনি। এসব অভিযোগ মিথ্যা।
এবিষয়ে বাউফল থানার এস.আই মো. সাহবুদ্দিন বলেন, ঘটনাস্থল তরমুজ ক্ষেতে গিয়েছি। চাষীদের নিজস্ব গাড়ীতে তরমুজ পরিবহন করতে কেউ পুনরায় বাধা দিলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যাযাদি/ এমএস