পবিত্র রমজান মাসকে পুঁজি করে অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্যে কেনা দায় হয়ে পড়েছিল মৌসুমি ফল তরমুজ। একটি তরমুজের দাম পড়ে ৬০০-৮০০ টাকা। আকাশ ছোঁয়া দামে দিশেহারা ছিলেন সাধারণ ক্রেতারা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তরমুজ বয়কটের ডাক দেয় সাধারণ মানুষ। এবার সেই তালে গরুর মাংস বয়কটের ডাক দেয়া হয়েছে।
ক্রেতাদের ভাষ্য, তরমুজের মতো অনেকটাই গরুর মাংসের ওপর। গরুর মাংসের অস্বাভাবিক দাম নিয়ে কড়া প্রতিবাদ জানানো শুরু হয়।
রোজার শুরু থেকেই গরুর মাংসের দাম ৭৫০ টাকা কেজি থাকলেও শুক্রবার (২৯ মার্চ) তা ৭৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অন্যদিকে, গত ১৫ মার্চ গরুর মাংসের দাম ৬৬৪ টাকা বেঁধে দিয়েছে সরকার। তাতে বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ নেই মাংস ব্যবসায়ীদের। এবার এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে জনগণ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি পোস্ট-
ভাইরাল হওয়া আরেকটি পোস্ট- তরমুজের দাম বেড়েছিল আমরা সকলে তা বয়কট করেছিলাম তরমুজের সিন্ডিকেট ভেংগে দাম কমেছে। এবার চলুন গরুর মাংস বয়কট করি ১ মাস সবাই না কিনলে এটারও দাম কমে যাবে আমরা না কিনলে কার কাছে বিক্রি করবে তাই সবাই এরকম হোন।
ব্যবসায়ী খলিল বলেন, সরকার ভারতীয় গরু দেশে প্রবেশের অনুমতি দিলে মাংসের দাম ৫০০ টাকায় নেমে আসবে। অন্তত ১০ দিন ভারতীয় গরু দেশে আনা হলে গরুর মাংস ৫০০ টাকা বিক্রি করা সম্ভব।
সকলের একটাই দাবি, মাংসের মতো যেন একটি অতিপ্রয়োজনীয় খাদ্য যেন সাধারণ ক্রেতার নাগালের ভেতর আসে।
যাযাদি/ এম