রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১

ভারত বাংলাদেশে পেঁয়াজ পাঠাতে চায়

যাযাদি ডেস্ক
  ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৫০
ফাইল ছবি

বিশ্বব্যাপী ভারতীয় খাদ্যপণ্য রপ্তানিতে ধস নেমেছে। কারণ প্রায় ৫০০ বেশি ভারতীয় খাদ্যপণ্যে ক্যানসারের উপাদান পাওয়া গেছে। এরপর হংকং, সিঙ্গাপুর, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশে খাদ্যরপ্তানিতে ধস নেমেছে। এইদিকে এই অভিযোগ তদন্ত করছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

অন্যদিকে বাংলাদেশসহ ছয় দেশে প্রায় এক লাখ টন পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি দিয়েছে ভারত। শনিবার (২৭ এপ্রিল) দেশটির ভোক্তা, খাদ্য ও বিতরণ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে।

বাংলাদেশের পাশাপাশি আরো যেসব দেশে ভারত পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি দিয়েছে, সেসব দেশ হলো সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভুটান, বাহরাইন, মরিশাস এবং শ্রীলঙ্কা। তবে কোন দেশে কী পরিমাণ পেঁয়াজ রফতানির করা হবে, সেই বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগের বছর তুলনায় চলতি ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে দেশটিতে খরিপ ও রবিশস্যের উৎপাদন কম হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরপর রফতানির নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও দেশটির সরকার বন্ধুত্বপূর্ণ কিছু দেশে নির্দিষ্ট পরিমাণ পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি দিয়েছে। দেশগুলোর অনুরোধের ভিত্তিতে ভারতের সরকার নির্দিষ্ট পরিমাণ পেঁয়াজ রফতানির এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

দেশটির এই সংবাদমাধ্যম বলছে, রফতানির জন্য দেশীয় উৎপাদকদের কাছ থেকে পেঁয়াজ সংগ্রহ করা হবে। ভারতের বৃহত্তম পেঁয়াজ উৎপাদন ও রফতানির প্রধান সরবরাহকারী মহারাষ্ট্র প্রদেশ। বিগত বছরের তুলনায় এ বছর ভারতেও পেঁয়াজের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।

এর আগে, গত ১ মার্চ বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি দেয় ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেডের (এনসিইএল) মাধ্যমে এই পেঁয়াজ বাংলাদেশে রফতানির করার কথা জানানো হয়।

ওই সময় ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক মহাপরিচালকের দফতরের (ডিজিএফটি) (ডিজিএফটি) এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভোক্তা বিষয়কবিভাগের সাথে পরামর্শ করে পেঁয়াজ রফতানির রূপরেখা তৈরি করবে এনসিইএল।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে