শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

সাধ্যের মধ্যে সেরা এসি দিচ্ছে যমুনা : মনিকা নাজনীন ইসলাম

রেজা মাহমুদ
  ০৫ মে ২০২৪, ১২:৫৮
আপডেট  : ০৬ মে ২০২৪, ১২:২৩
মনিকা নাজনীন ইসলাম, গ্রুপ পরিচালক (যমুনা গ্রুপ)

এবার গ্রীষ্মের দাবদাহ ছাড়িয়ে যাচ্ছে অতীতের সব রেকর্ড। অসহনীয় এই গরম থেকে বাঁচতে এসি কিনছেন মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে নিম্ন মধ্যবিত্তরাও। তাই মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের কথা চিন্তা করে সাশ্রয়ী মূল্যের এসি এনেছে বাজার। বর্তমানে সারাদেশে বিক্রীত এসির ৮০ শতাংশই দেশীয়, যার মধ্যে অন্যতম যমুনা এয়ার কন্ডিশনসার ইলেকট্রনিক্স। দেশের এসির বাজার, চলমান বিক্রয় কার্যক্রম ও যমুনার এসি বিভিন্ন দিক নিয়ে যায়যায়দিনের সঙ্গে কথা বলেছেন গ্রুপ পরিচালক (যমুনা গ্রুপ) মনিকা নাজনীন ইসলাম।

যাযাদি : যায়যায়দিনের পক্ষ থেকে আপনাকে অনেক শুভেচ্ছা-

মনিকা নাজনীন ইসলাম : যমুনা ইলেকট্রনিক্সের পক্ষ থেকে যায়যায়দিনের সব পাঠক, সাংবাদিক ও কর্মকর্তাদেরও অনেক শুভেচ্ছা আমাকে কথা বলার সুযোগ দেওয়ার জন্য।

যাযাদি : দেশে এসির বাজার বড় হচ্ছে, যমুনা এই বাজার ধরতে কতটা প্রস্তুত?

মনিকা নাজনীন ইসলাম : একটা সময় দেশে এসির বাজার পুরোপুরি আমদানিনির্ভর ছিল। কিন্তু গত ১০ বছরে এই চিত্র বদলে গেছে, উৎপাদন থেকে শুরু করে বাজারজাতকরণ সব ক্ষেত্রে যমুনা এখন দেশের শীর্ষ স্থানীয় ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে। আমরা কনজুম্যারের কাছে সেরা পণ্যটি পৌঁছে দিচ্ছি রিজেনেবল দামে। আমাদের ভিশন হচ্ছে, দেশের জনগণের সাধ্যের মধ্যে সর্বোৎকৃষ্ট মানের পণ্য পৌঁছে দেওয়া। এটা নিয়েই আমরা কাজ করছি। যেহেতু দেশের ইলেকট্রনিক পণ্যের মার্কেট ক্রমেই বাড়ছে, তাই শুধু শহরাঞ্চলেই নয়, গ্রাম-গঞ্জের সবখানে আমাদের সেবা ও পণ্য পৌঁছে দিতে চাই।

যাযাদি : এসির ক্রেতার বড় একটা অংশ এখন মধ্য ও নিম্ন মধ্যেবিত্ত পরিবার, তাদের সাধ্যের মধ্যে কি যমুনা সেবা দিতে পারছে।

মনিকা নাজনীন ইসলাম : এটা ঠিক যে, দেশের এসির বাজার এখন আর উচ্চবিত্তের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। তাই যমুনা ইলেকট্রনিক্স এই বিষটিকে বিবেচনায় নিয়ে এসি বাজারজাত করছে। যেখানে বিদেশি একটি ব্র্যান্ডের এক টনের এসি মার্কেটে ৮০ হাজার থেকে এক লাখ টাকার ওপর বিক্রি হচ্ছে, সেখানে যমুনা একই ধরণের এসি মাত্র ৪০ হাজার থেকে ৪৫ হাজার টাকায় অর্থাৎ অর্ধেক দামে কাস্টমারের কাছে বিক্রি করছে। এ ছাড়াও থাকছে কিস্তি সুবিধা। ফলে সাধারণ আয়ের মানুষের নাগালের মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে যমুনার এসি। এ ছাড়াও এবার গ্রীষ্মে বিক্রীত এসির ক্রেতা বড় একটি অংশই মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত।

যাযাদি : বিদেশি ব্র্যান্ডগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় যমুনা কি কি উদ্যোগ নিয়েছে

মনিকা নাজনীন ইসলাম : দেশে এসির বাজার এক সময় পুরোটাই ছিল বিদেশি ব্র্যান্ডগুলোর দখলে। কিন্তু এখন ৮০ শতাংই দেশীয় ব্র্যান্ডের বাজার। মূলত সাশ্রয়ী দামে ও আধুনিক ফিচার অন্তর্ভুক্তকরণের মাধ্যমে আমরা এই বাজার ধরতে সক্ষম হয়েছি। দেখা গেছে বিদেশি এসি দেশে এনে বিক্রি করতে যে পরিমাণ ব্যয় হয়, এর চার ভাগের একভাগ মূল্যে আমরা দেশের বাজারে এসি বিক্রি করছি এবং সে এসিতে একই সুযোগ-সুবিধা থাকছে। এ ছাড়াও বিদেশি ব্র্যান্ডের এসিতে ১০ বছরের ওয়ারেন্টির বিপরীতে যমুনা ওয়ারেন্টি দিচ্ছে ১২ বছরের। উল্টো এখন দেশীয় কোম্পানির এমন দামের কারণে বিদেশি ব্র্যান্ডগুলো এসির যন্ত্রাংশ দেশে এনে অ্যাসেম্বল এবং দেশীয় কোম্পানির সঙ্গে জয়েন ভেন্চারে নির্মাণ করে বাজারজাত করছে।

যাযাদি : প্রতিনিয়ত এসির প্রযুক্তিগত উন্নয়ন হচ্ছে, যমুনা এটাকে কতখানি গুরুত্ব দিচ্ছে

মনিকা নাজনীন ইসলাম : যমুনা ইলেট্রনিক্সের মূলমন্ত্র ‘ইনোভেশন ফর স্মর্টার লাইফ’। তাই আমরা সব সময় ইনোভেশন নিয়ে কাজ করি। একটা সময় মানুষের ধারণা ছিল, এসি কেবল ঠাণ্ডা করবে। কিন্তু এখন এই ঠাণ্ডা হওয়াটা স্বাস্থ্যের জন্য কতটুকু উপকারী বা ক্ষতিকর, পরিবেশবান্ধব। এখন কাস্টমাররা এসব বিষয় যাচাই করে এসি কিনে থাকেন। তাই যমুনা এসি তৈরির ক্ষেত্রে এসব বিষয় গুরুত্ব দিয়ে থাকে। বর্তমানে যেহেতু দেশে এনার্জি ক্রাইসিস রয়েছে, তাই এসি বিদ্যুৎসাশ্রয়ী কিনা এবং এসি কেনার পর তা কোনো প্রযুক্তিগত ত্রুটি হচ্ছে কিনা, এসব বিবেচনায় নিয়ে যমুনা এসি তৈরি করছে। তাই দেশের শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স পণ্যের কোম্পানি হিসেবে যমুনা কাস্টমারের কম্ফোর্ট, চাহিদা ও লেটেস্ট টেকনোলজিকাল বিষয়গুলোর ওপর ফোকাস করে থাকে।

অন্য নামি-দামি ব্র্যান্ডে যেসব টেকনোলজি ব্যবহার হয়, তা যমুনা ইলেকট্রনিক্স পণ্যেও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বিশেষ করে এসির ক্ষেত্রে ভয়েস কমান্ড সংযুক্ত করা হয়েছে। ইন্টারনেট না থাকলেও অফ লাইনেও যমুনার এসি ভয়েস কমান্ড কাজ করে। এ ছাড়াও রয়েছে সেলফ ক্লিনিং সিস্টেম। লেটেস্ট টেকনোলজি ব্যবহারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের দিক থেকে যমুনা সবার থেকে এগিয়ে।

যাযাদি : এসির নিরাপত্তা নিয়ে সবাই চিন্তিত এবং যমুনার এসি পরিবেশবান্ধব কিনা, সে বিষয়ে জানতে চাই এবং বিক্রয়-পরবর্তী সেবার ক্ষেত্রে আপনারা কি সুবিধা দিচ্ছেন

মনিকা নাজনীন ইসলাম : সাম্প্রতিক সময় কিছু এসি বিস্ফোরণসহ বেশকিছু ঘটনা ঘটছে, অবশ্য তা অনেকটাই নির্ভর করে ব্যবহারকারীর সচেতনতার ওপর, প্রথমত আপনি যে পণ্যটি কিনছেন, তা গুণগতমানের কিনা, তা নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন। যদি হয়ে থাকে, তাহলে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা কম। সে ক্ষেত্রে ব্য ব্যবহারকারীকে এসির প্রোপার মেইনটেইন করতে হবে।

এবার যমুনার ক্যাম্পেইন অফারে আমরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষ টেকনিশিয়ান দিয়ে এসি ইনস্টল করে দিয়ে থাকি। যমুনার এসিতে রয়েছে সেলফ ক্লিনিং সিস্টেম। এ ছাড়াও প্রথম ২৪ মাসে আমরা দুটি ফ্রি ক্লিনিং সেবা দিয়ে থাকি। দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে কাস্টমার অভিযোগ জানানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমাদের টেকনিশিয়ানরা কাস্টমারদের যে কোন সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেন। মূলত সারাদেশে বিভিন্ন ভাগে আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব সেবা প্রদান করে থাকি।

যাযাদি : যায়যায়দিনের সঙ্গে কথা বলার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ

মনিকা নাজনীন ইসলাম : যমুনা ইলেকট্রনিক্স ও অটোমোবাইলস-এর পক্ষ থেকে যায়যায়দিনকেও ধন্যবাদ-

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে