শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২

‘মার্চ টু এনবিআর’ প্রত্যাহারের আহ্বান মন্ত্রণালয়ের

যাযাদি ডেস্ক
  ২৭ জুন ২০২৫, ২০:৫৭
‘মার্চ টু এনবিআর’ প্রত্যাহারের আহ্বান মন্ত্রণালয়ের
মার্চ টু এনবিআর লগো। ছবি ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আন্দোলনরত কর্মীদের কর্মসূচি প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি বদলির আদেশ পুনর্বিবেচনা এবং রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ সংশোধনের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

আজ শুক্রবার ছুটির দিনে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ আহ্বান জানানো হয়। যদিও আন্দোলনরত কর্মীদের ফেসবুক পেইজে শনিবারের ‘মার্চ-টু এনবিআর’ কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানানো হচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে, ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে চলমান আন্দোলনের কারণে সৃষ্ট অচলাবস্থা নিরসনের লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার অর্থ উপদেষ্টার কার্যালয়ে আড়াই ঘন্টা ধরে আলোচনা হয়। অর্থ উপদেষ্টার সভাপতিত্বে ওই সভায় অর্থ সচিব, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান (এনবিআর) ও বোর্ডের ১৬ জন সদস্য তাতে অংশগ্রহণ করেন।’

বৃহস্পতিবারের ওই বৈঠকে অবশ্য এনবিআরের আন্দোলনরত কর্মীদের কোনো প্রতিনিধি যোগ দেননি।

সেদিন বৈঠকের পর এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আন্দোলনকারীদের কাছ থেকে ‘সিদ্ধান্ত’ এলে ‘আজকের মধ্যেই’ একটা সমাধান আসতে পারে।

তবে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলছিলেন, আগামী সপ্তাহে আরেকটি বৈঠক হবে। তখন একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

এনবিআর চেয়ারম্যান ও অর্থ উপদেষ্টার মুখ থেকে ‘আশার’ কথা শোনা গেলেও নিজেদের দাবি ও কর্মসূচির বিষয়ে অটল থাকেন আন্দোলনকারীরা।

এর মধ্যে আজ শুক্রবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সরকার প্রত্যাশা করে, আগামী ১ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য সভায় আলোচনার মাধ্যমে সবার মতামতের ভিত্তিতে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশের প্রয়োজনীয় সংশোধন করা সম্ভব হবে।’

মে মাসে এনবিআর দুই ভাগ করে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ও রাজস্ব নীতি নামে দুটি স্বতন্ত্র বিভাগ করে অধ্যাদেশ জারি হয়। সেটি বাতিলের দাবিতে কলম বিরতিসহ নানা কর্মসূচি দিয়ে আন্দোলনে নামেন এনবিআরের কর্মীরা।

তাদের আন্দোলনের মধ্যে সরকার পিছু হটে। বলা হয়, অধ্যাদেশ বাস্তবায়নে এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।

এরপর কাজে যোগ দিলেও আন্দোলনকারীরা এনবিআর চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে অটল থাকেন এবং সংস্থার কার্যালয়ে তাকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করেন।

পরে সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় অফিসে ফেরেন এনবিআর চেয়ারম্যান।

শুক্রবারের মধ্যে চেয়ারম্যান অপসারণ না হলে শনিবার থেকে কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরে ‘লাগাতার কমপ্লিট শাটডাউন’ শুরুর ঘোষণা রয়েছে পরিষদের তরফে।

একই সঙ্গে সব দপ্তর থেকে ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে