শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

'দৃষ্টিনন্দন' হবে রাজধানীর সব প্রাথমিক বিদ্যালয়

হ প্রতিটি ক্লাসরুম হবে ডিজিটাল হ নতুন স্কুলের ভবন হবে ৬ তলাবিশিষ্ট হ সংস্কার হবে পরিবেশ ও চাহিদা অনুযায়ী
আমানুর রহমান
  ১১ মে ২০২২, ০০:০০
আপডেট  : ১১ মে ২০২২, ০৯:২১

ঢাকা মহানগরীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা হচ্ছে ৩৪২টি। আগামী ২০২৪ সালে মধ্যে রাজধানীর অভিজাত এলাকায় নতুন আরও ১৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে। এছাড়া পুরাতন ৩৪২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে 'দৃষ্টিনন্দন' করতে সংস্কার করবে সরকার। ফলে পুরাতন প্রতিটি বিদ্যালয়ের 'চেহারাই পাল্টে যাবে' বলে মন্তব্য করেছেন 'দৃষ্টিনন্দন প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রকল্প' পরিচালক ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রকিউরমেন্ট বিভাগ) মো. মিজানুর রহমান। তিনি মঙ্গলবার সকালে যায়যায়দিনকে জানান, ''এটি প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পভুক্ত। আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকল্পটির মাঠ পর্যায়ের বাস্তবায়ন কাজ শুরু হবে বুধবার (আজ) থেকে। এদিন সকালে মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের 'সংস্কার ও দৃষ্টিনন্দন' কাজের উদ্বোধন করবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।'' উচ্চবিত্তের ছেলে-মেয়েরাসহ স্কুলগামী সব শিশুকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে আসতে রাজধানীর সব বুধবার বিদ্যালয়কে 'দৃষ্টিনন্দন' করার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই অংশ হিসেবে রাজধানীর 'পশ' এলাকাসহ মহানগরে অবস্থিত সব প্রাথমিক বিদ্যালয়কে দৃষ্টিনন্দন করার উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। ডিপিই সূত্রে জানা গেছে, রাজধানী ও ঢাকা মহানগরে বর্তমানে ৩৪২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর প্রতিটি বিদ্যালয়কে সংস্কার করে দৃষ্টিনন্দন করা হবে। সম্প্রসারিত রাজধানীর কথা বিবেচনায় রেখে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অধীনে নতুন আবাসন প্রকল্প পূর্বাচলের আগামীর বাসিন্দাদের সন্তানকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির উদ্দেশ্যে পূর্বাচলজুড়ে নতুন ১১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে। এছাড়া রাজউকেরই উত্তরা (৩য় ফেইজ) প্রকল্প এলাকায় ৩টি নতুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা হবে। এ প্রতিটি বিদ্যালয় হবে ৬ তলাবিশিষ্ট। স্কুলের সামনে শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত খেলার মাঠ, পর্যাপ্ত স্যানিটাইজ সম্পন্ন ছেলে-মেয়েদের জন্য আলাদা ওয়াশরুমসহ সব ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন করে গড়ে তোলা হবে। এ ১৪টিসহ সংস্কারের আওতায় ৩৪২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল ক্লাসরুম হবে। পুরাতন যেসব স্কুলে মাঠ ও খোলা জায়গা নেই, সেসব স্কুলের নিচতলায় প্যারেড-পিটির জন্য খালি করা হবে। পুরাতন স্কুল সংস্কার এবং দৃষ্টিনন্দন করতে যা যা করা দরকার তাই করা হবে। এ কারণে একেকটি স্কুলের চেহারা একেক রকম হবে। চাহিদা ও প্রয়োজন অনুযায়ী সংস্কার করে দৃষ্টিনন্দন করা হবে। জানা গেছে, ২০২৪ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) সূত্রে বলা হয়েছে, এ প্রকল্পের অর্থায়ন করা হবে পিডিইপি-৪'র অধীনে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মানসম্পন্ন প্রাথমিক শিক্ষা সম্পর্কে ঢাকার একজন প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মঙ্গলবার যায়যায়দিনকে বলেন, স্বল্প ও নিম্নআয়ের মানুষের সন্তানরা ছাড়া মধ্যবিত্ত বা উচ্চবিত্তের সন্তানদের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করানো হয় না। এ ধরনের মানসিকতা ও ধারণা দূর করতে প্রধানমন্ত্রী যে উদ্যোগ ও পদক্ষেপ নিয়েছেন, স্কুলগুলোর সংস্কার শেষ হলে মূলত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চেহারাই শুধু নয়, শিক্ষার বর্তমান চিত্রও পাল্টে যাবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে