শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

অর্থনৈতিক মুক্তিই বাঙালির লক্ষ্য : উপাচার্য ড. মশিউর রহমান

যাযাদি ডেস্ক
  ২৬ মার্চ ২০২৩, ১১:০৩

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেছেন, ‘শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তিই আমাদের স্বাধীনতা দিবসের অঙ্গীকার। বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সাধারণ মানুষের মুক্তি হচ্ছে আসল কথা। খেটে খাওয়া, শ্রমজীবী মানুষ- তার যে দারিদ্রের বলয় সেটিকে ভেঙে অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করতে হবে। পুরো বিশ^ব্যবস্থা সম্পর্কে আমরা জানি। সেখানে যদি মানুষের অর্থনৈতিক সক্ষমতা তৈরি না হয়, তাহলে সে ঝড়ে পরতে পারে। আমাদের মূল জায়গা একটি মানুষও যেন ঝড়ে না পরে।’

আজ রোববার (২৬ মার্চ) প্রত্যুষে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহিদদের স্মৃতির প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণ করে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন উপাচার্য ড. মশিউর রহমান। এসময় তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিশ^বিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর আবদুস সালাম হাওলাদার, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনবৃন্দ, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন দপ্তরের বিভাগীয় প্রধানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

দেশের প্রথিতযশা সমাজবিজ্ঞানী ড. মশিউর রহমান বলেন, ‘স্মৃতিসৌধে আসার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে- মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নিজেদের সমৃদ্ধ করা, শাণিত করা। আর মুক্তিযুদ্ধের মূল জায়গা প্রতিটি মানুষের মুক্তি। বঙ্গবন্ধু শোষণহীন, বঞ্চনাহীন একটি সমাজের কথা ভেবেছিলেন। যদি সমতাভিত্তিক সমাজ সৃষ্টি করা যায়, যেখানে বৈষম্য থাকবে না। তাহলে প্রতিটি মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে পারবো। এটিই স্বাধীনতার মূল জায়গা। পাশাপাশি আমরা অসাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ চেয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধু দ্বিতীয় বিপ্লব কর্মসূচিতে সমাজতান্ত্রিক সমাজের একটা সমন্বয় করতে চেয়েছিলেন। এগুলোর প্রকৃত অর্থ হচ্ছে- বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের ভাষণে যে দুটি শব্দের কথা বলেছিলেন-স্বাধীনতা এবং মুক্তি।’

উপাচার্য ড. মশিউর রহমান আরও বলেন, ‘আমরা ৯ মাসের সশস্ত্র লড়াইয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছি ঠিকই কিন্তু অর্থনৈতিক মুক্তি এখনো নিশ্চিত হয়নি। সেই পথেই এগিয়ে যাচ্ছি। পাশাপাশি আমাদের সমাজে বুদ্ধিবৃত্তিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক আলোড়ন এবং জাগরণ দরকার। কখনো কখনো অগণতান্ত্রিক সরকার, কখনো আধা-সামরিক বাহিনী ক্ষমতায় আসে। তার মধ্য দিয়ে যে চর্চা হয় তাতে আমরা বিচ্যুত হই। কিন্তু আমরা এমন একটি শিক্ষা ব্যবস্থাপনা গড়তে চাই, যে শিক্ষার মধ্য দিয়ে সমতাভিত্তিক এবং অধিকারের সমাজ সৃষ্টি হবে।’ সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমানের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে