যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শহীদ মসীয়ূর রহমান (শ.ম.র.) হল এ শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। ৭২ ঘন্টা শেষে জমা দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনে এমনই তথ্য উঠে এসেছে।
বিষয়টি তদন্ত কমিটির প্রধান ড. মোঃ হাফিজ উদ্দিন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন নিশ্চিত করেছেন।
তবে এ ঘটনা অস্বীকার করে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার স্বীকার বলে মন্তব্য করেছিলেন যবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা।
এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রধান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ হাফিজ উদ্দিন বলেন, আমরা ৭২ ঘন্টার ভিতরে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। সেখানে যারা ছাত্র এবং যারা ছাত্র না তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পৃথক পৃথক সুপারিশ করা হয়েছে।
যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড.আনোয়ার হোসেন বলেন, তদন্ত প্রদিবেদনে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। বিশ্বিবদ্যালয় খোলার সাথে সাথেই ডিসিপ্লিনারি কমিটি ও জরুরি রিজেন্ট বোর্ড গঠন করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ৪ জুন রাতে শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শাহরীন রহমান প্রলয়কে (২৪) রাত দুইটায় তুলে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। শহীদ মসিয়ূর রহমান হলে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানার (৩০৬ নম্বর) কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
সভাপতির উপস্থিতিতে রাতভর নির্যাতনের পর ওই শিক্ষার্থীকে গুলি করে হত্যার হুমকি দেন সভাপতি। পরবর্তীতে এ ঘটনা চেপে যেতে প্রলয়ের গ্রামের বাড়িতে বোমা মারা হবে মর্মে তাঁর মাকে মুঠোফোনে অজ্ঞাত একজন হুমকি দেন বলে জানান প্রলয়। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ সভাপতিসহ আট জনের বিরুদ্ধে যশোর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।
যাযাদি/ এম