রোববার, ১১ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২

কুয়েটের সংঘর্ষ মনিটরিং করেছেন হাসনাত আবদুল্লাহ: ছাত্রদল

ঢাবি প্রতিনিধি
  ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮:৫৪
আপডেট  : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮:৫৯
কুয়েটের সংঘর্ষ মনিটরিং করেছেন হাসনাত আবদুল্লাহ: ছাত্রদল
ছবি: যায়যায়দিন

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সংঘর্ষের ঘটনা কেন্দ্র থেকে মনিটরিং করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং নেতৃত্ব দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধীর কুয়েট শাখার আহবায়ক ওমর ফারুক বলে অভিযোগ করেছে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে চারটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের ক্রীড়া কক্ষে ছাত্রদল আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক এ অভিযোগ করেন।

নাছির উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে যত বড় বড় অগ্নিকাণ্ড হয়েছে, তাঁর উৎস ছিল ছোট ছোট শর্ট সার্কিট। গতকাল সেই কাজ শুরু করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিশৃঙ্খল মব। নেতৃত্ব দিয়েছে তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয় আহ্বায়ক ওমর ফারুক। কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং করেছে সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, হাসনাত আব্দুল্লাহ বিভিন্ন সভা-সেমিনারে মানুষকে জ্ঞান দিয়ে থাকেন। বিভিন্ন ওয়াজ-নসিহত করেন। কিন্তু আমরা প্রশ্ন করতে চাই, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর যে মিটিং হয়েছে, সেখানে কোন প্রটোকলে তিনি এবং নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী গিয়েছেন।

নাছির বলেন, বাংলাদেশের যেকোনো সংগঠনের রাজনীতি করার সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কীভাবে ছাত্রদলের তিনজন নেতার ওপর হামলা করে— সে প্রশ্ন আমরা রাখতে চাই। শিবিরের কাছে আমরা প্রশ্ন রাখতে চাই, কুয়েটে তাঁদের কমিটি আছে কী না, গতকাল যে হামলা হয়েছে তাঁর ব্যখ্যা দিতে হবে। আর কোনো ক্যাম্পাসে যদি বিনা কারণে হামলার ঘটনা ঘটে, তাহলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে দায় নিতে হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবসহ অনান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ছাত্রদল সভাপতি বলেন, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) একটি চরম অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে। পাল্টাপাল্টি হামলায় মারাত্মকভাবে হতাহত হয়েছেন শতাধিক শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনতা। ছাত্রদলের পক্ষ থেকে সর্বপ্রথমে আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করার সাথে সাথে উক্ত সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং এসব ন্যাক্কারজনক হামলায় ও হামলার উস্কানিতে জড়িত যেই হোক না কেন, সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক তাদের সকলকে বিচারের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্টের পরাজিত শক্তি এবং ৫ আগস্টের পূর্ববর্তী সময়ে যারা ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের সহযোগী হিসেবে তাদের সকল অপকর্মের বৈধতা প্রদানে ভূমিকা রেখেছিলো সেইসব শিক্ষার্থী নামধারী অপশক্তি বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে গোপনে তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করলেও প্রকাশ্যে গণতান্ত্রিক চর্চায় বাধাগ্রস্ত করে মব সংস্কৃতির মাধ্যমে বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সৃষ্টি করছে এবং নাগরিক হিসেবে শিক্ষার্থীদের প্রাপ্য গণতান্ত্রিক অধিকার হরণের অপচেষ্টায় লিপ্ত থেকে অতীতের ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসী সংগঠনের ন্যায় অগণতান্ত্রিক আচরণের পুনরাবৃত্তি ঘটাচ্ছে।

যাযাদি/ এমএস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে