শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২
ঢাবি ছাত্রী হেনস্তা

ঢাবি শিবির সভাপতির বিরুদ্ধে ছাত্রদলের অভিযোগ, নাকচ পুলিশের

যাযাদি ডেস্ক
  ১১ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪১
ঢাবি শিবির সভাপতির বিরুদ্ধে ছাত্রদলের অভিযোগ, নাকচ পুলিশের
নাছির উদ্দীন নাছির, এস এম ফরহাদ

সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক ছাত্রীকে হেনস্তার ঘটনায় অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী মোস্তফা আসিফ অর্ণবকে আটক করার পর একদল বিক্ষুব্ধ লোক শাহবাগ থানা ঘেরাও করে।

এ সময় ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি এস এম ফরহাদসহ কয়েকজন ছাত্রনেতা থানায় যান। তবে এই গমন নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির অভিযোগ করে বলেন, শিবির সভাপতি থানায় গিয়ে হেনস্তাকারীকে মুক্ত করার চেষ্টা করেছেন।

সোমবার (১০ মার্চ) এক কর্মসূচিতে ছাত্রদলের এই নেতা বলেন, একজন ধর্ষক বা নারী নিপীড়নকারীকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিয়েছে ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি। তবে ছাত্রদলের এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ছাত্রশিবির।

ঢাবি শিবিরের প্রচার সম্পাদক মো. সাজ্জাদ হোসাইন খান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশব্যাপী ছাত্রকল্যাণমূলক কাজের কারণে শিক্ষার্থীদের কাছে ছাত্রশিবিরের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। এই জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে ছাত্রদল নেতারা মিথ্যাচারে লিপ্ত হয়েছেন।

শিবির নেতারা আরও দাবি করছেন, শিবির সভাপতি থানায় গিয়েছিলেন পুলিশ প্রশাসনের আহ্বানে পরিস্থিতি শান্ত করতে। বিবৃতিতে বলা হয়, তিনি কাউকে ছাড়িয়ে আনতে তদবির করেননি, বরং উত্তেজিত জনতাকে আইনি প্রক্রিয়ার প্রতি আস্থাশীল থাকতে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন।

ছাত্রদল রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে অপপ্রচার করছে মন্তব্য করে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের তাহমিদ আল মুদ্দাসিসর বলেন, সেদিন শাহবাগ থানায় তৌহিদি জনতা নামে যারা মব তৈরি করেছিল আমরা গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের পক্ষে তাদের বোঝাতে গিয়েছিলাম যেন তারা বিশৃঙ্খলা না করে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এবং ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্যই আমরা গিয়েছিলাম। শিবিরের সভাপতি এস এম ফরহাদও ভোর ৫ টার দিকে এসেছিলেন। তিনিও একইভাবে তাদের বুঝিয়ে চলে যাওয়ার জন্য এবং ঘটনা নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছেন।

কিন্তু ছাত্রদল বলছে - আমরা নাকি সেখানে আসামীকে ছাড়িয়ে আনার জন্য গিয়েছি,তদবির করেছি। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। কেবল রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশে তারা এমন মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে।

এ ব্যাপারে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর ছাত্রদল নেতার অভিযোগ নাকচ করে বলেন, হেনস্তার ঘটনায় আটক আসামিকে ছাড়ানোর জন্য ‘তৌহিদি জনতা’ নামে একটি দল থানা ঘেরাও করেছিল। তারা চেয়েছিল আইনি প্রক্রিয়া উপেক্ষা করে আসামিকে মুক্ত করতে।

তিনি বলেন, তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমি ছাত্রশিবিরের সভাপতি এস এম ফরহাদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্রনেতা ও সাংবাদিকদের থানায় আসার অনুরোধ করি। পরদিন সকালে শিবির সভাপতিসহ অনেকে প্রশাসনকে সহযোগিতা করেন, যার ফলে আমরা আইনি প্রক্রিয়া মেনে আসামিকে আদালতে পাঠাতে সক্ষম হই।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে