অবশেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) প্রকাশ্যে রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রী সংস্থা।
আজ বুধবার (২৮ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সাথে সাক্ষাৎ করে নানা দাবি-দাওয়া নিায়ে স্বারকলিপি জমা দেওয়ার মাধ্যামে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে তারা।
স্বারকলিপি জমা দেওয়ার সময় ঢাবি শাখা ছাত্রী সংস্থার সভানেত্রী, সেক্রেটারিসহ মোট সাত জন উপস্থিত ছিলেন।
প্রথামিকভাবে সংগঠনটির সভানেত্রী ও সেক্রেটারির পরিচায় জানা গেছে।
জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রী সংস্থার সভানেত্রীর নাম সাবিকুন্নাহার তামান্না।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী এবং কবি সুফিয়া কামাল হলের আবাসিক ছাত্রী।
এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রী সংস্থার সেক্রেটারির নাম মোছা:আফসানা আক্তার।
তিনি ১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলের আবাসিক ছাত্রী।
স্বারকলিপি জমা দেওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভানেত্রী সাবিকুন্নাহার তামান্না বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে নির্যাতন নিপীড়নের কারণে দীর্ঘদিন ক্যাম্পাসে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি।
৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে কেন্দ্রীয় নির্দেশনার আলোকে ক্যাম্পাসে আমরা কাজ শুরু করার চেষ্টা করেছি। আলহামদুলিল্লাহ, এই সময়ের মাঝে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী সংস্থার প্রাথমিক কাঠামো গঠন সম্ভব হয়েছে।
বর্তমানে শাখা সভানেত্রী ও সেক্রেটারির দায়িত্ব প্রদানের মাধ্যমে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইনশাআল্লাহ আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম চালু করবো’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সেক্রেটারি আফসানা আক্তার বলেন, ‘বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রী সংস্থা বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন ও বৃহৎ ছাত্রী সংগঠন।
১৯৭৮ সাল থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আমাদের সংগঠন ছাত্রীদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও ছাত্রী সংস্থার কার্যক্রমের রয়েছে বিরাট ইতিহাস।
অতীতে ছাত্রী সংস্থা ডাকসুতেও অংশগ্রহণ করেছে। দীর্ঘদিন ধরে আমরা শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ের জন্য কাজ করেছি।