শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

নারীরা পুরুষের মতো হতে গিয়ে জীবনসঙ্গী হারিয়ে ফেলেন : প্রীতি জিনতা

যাযাদি ডেস্ক
  ২৫ মে ২০২৪, ২৩:০৭
ছবি সংগৃহিত

অনেক অভিনেত্রী আছেন, যারা ভালো অভিনেত্রী হতে গিয়ে পুরুষের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অভিনয় করেন। কিন্তু তাদের অধিকাংশকে শেষ জীবনে একাকি থাকতে হয়েছে। তারা ভালো অভিনেত্রী হতে গিয়ে জীবনসঙ্গীকে হারিয়েছেন। আমি মনে করি নারীরা কখনো পুরুষের ওপরে তো দূরের কথা তাদের সমান হতে পারে না। তাদেরকে পুরুষের কাছে আত্মসমর্পণ করতেই হয়। কথাগুলো বলেছেন, বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী প্রীতি জিনতা।

তিনি বলেন, নারীরা পুরুষের মতো হতে পারে না। কারণ মেয়েদের একটা ‘বায়োলজিক্যাল ক্লক’ রয়েছে। তাই প্রকৃতির কাছে হার মানতেই হয়।

প্রায় ১৭ বছর পর চিত্রগ্রাহক সন্তোষ শিবনের হাতে পিয়েরে অ্যাঞ্জেনিউজ পুরস্কার তুলে দিতেই প্রীতি জিনতা উপস্থিত হয়েছেন কান চলচ্চিত্র উৎসবে। বর্তমানে এ নায়িকা ‘লাহোর ১৯৪৭’ ছবিতে কাজ করছেন। প্রায় ছয় বছর পর আবার অভিনয় জগতে কামব্যাক করছেন অভিনেত্রী। কিন্তু কেন ছয় বছর কোনো ছবিতে তাকে দেখা যায়নি? এ প্রসঙ্গেই এক সাক্ষাৎকারে প্রীতি জানান, তার সন্তানদের সময় দেয়ার জন্যই তিনি কিছুদিন অভিনয় জগৎ থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখেছিলেন।

‘ভাইয়াজি সুপারহিট’ সিনেমায় কাজ করার পর প্রায় ছয় বছর অভিনয় থেকে বিরতি নিয়েছিলেন প্রীতি। এ প্রসঙ্গে ডিডি ইন্ডিয়ার সাথে এক সাক্ষাৎকারে প্রীতির অকপট স্বীকারোক্তি- ‘আমি আর সিনেমা করতে চাইনি। ব্যবসা ও ব্যক্তিগত জীবনের দিকেই মন দিতে চেয়েছিলাম। নারীরা অভিনয় করলেও, নৈপুণ্যর সাথে সব কাজ গুরুত্বপূর্ণ দিয়ে করলেও, ‘বায়োলজিক্যাল ক্লক’ থেমে থাকে না, এটা সকলেই ভুলে যান। আমি ইন্ডাস্ট্রিতে কাউকে ডেট করিনি। আমি কোনো অভিনেতাকেও ডেট করিনি।

প্রীতি জিনতা আরও বলেন, সব সময় আমার পরিবারকে সময় দেয়ার চেষ্টা করে এসেছি। শুধু কাজ, অন্যের জীবন নিয়ে মাতামাতি করে, ডেট করে অনেকেই নিজের জীবনটাই বাঁচতে ভুলে যান। কিন্তু আমি সন্তান চেয়েছিলাম। পাশাপাশি ব্যবসাও আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। সবটা মিলিয়ে আমি আমার ব্যক্তিগত জীবনে বেশি ফোকাস করতে চেয়েছিলাম। কেবল একজন ভালো অভিনেত্রী হয়ে পুরো জীবনটা একাকিত্বে কাটাতে চাইনি আমি।’

তিনি আরো বলেন, “যেসব নারী কাজ করেন তাদের সবাইকে বলতে শুনেছি আমি সমতা চাই, আমি একজন পুরুষের মতো কঠোর পরিশ্রম করতে চাই। প্রকৃতি আমাদের সেই সমতার পথে বড় অন্তরায়। কারণ মেয়েদের একটা ‘বায়োলজিক্যাল ক্লক’ রয়েছে। তাই প্রকৃতির কাছে হার মানতেই হবে, যে কাজ করছেন সেখানে কিছুটা সময় বিরতি দিয়ে ব্যক্তিগত জীবনে গুরুত্ব দিতে হবে। এখন আমার বাচ্চারা আড়াই বছরের হয়েছে, তাই আমি আবার কাজে ফিরেছি। আমি কাজ ভালোবাসি, কিন্তু বাচ্চাদের ছেড়ে কাজ করতে গেলে এতে অপরাধবোধে ভুগতাম, বারবার মনে হতো যে সময়টা হারিয়ে ফেলছি তা আর ফিরে পাব না। আমার মেয়ে গিয়া এবং আমার ছেলে জয় আমার দিকে তাকিয়ে বলত, ‘মা, প্লিজ আমাদের সাথে থাকো’, এবং আমিও ওদের কথা শুনে কেঁদে ফেলতাম।” সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

যাযাদি/এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে