আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে একের পর এক মামলার আসামি হচ্ছেন দলটির নেতাকর্মীরা। ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে হত্যাকাণ্ড সহ অতীতের বিভিন্ন ঘটনায় নতুন করে মামলা রুজু হচ্ছে। এর ফলে দলটির শীর্ষ পর্যায়ের নেতা থেকে শুরু করে তৃণমূলের কর্মীরাও গা ঢাকা দিয়েছেন। কেউ কেউ অবৈধভাবে দেশত্যাগের চেষ্টাও করছেন।
শুধু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই নন, পালিয়ে বেড়াচ্ছেন দলটির সঙ্গে সম্পর্কিত বিনোদন জগতের তারকারাও। এই যেমন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলটির পক্ষ থেকে মনোনয়নও তুলেছিলেন তিনি। যার ফলে এখন মামলা আতঙ্কে দিন কাটছে তার।
সামাজিক মাধ্যমে কিছুটা সক্রিয় থাকলেও শুটিং ফ্লোরে তার দেখা নেই। মোবাইল নম্বর কিংবা হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও সাড়া দিচ্ছেন না। বলা যায়, মামলার আতঙ্কে একপ্রকার গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন এই অভিনেত্রী।
মাহির ঘনিষ্ঠজনরা সংবাদমাধ্যমকে জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই বেশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন এই অভিনেত্রী। বিগত সময়ে দলটির হয়ে প্রচার-প্রচারণায় সরব থাকায় বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় কিছুটা আতঙ্কেও রয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দেশত্যাগ করতে গিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপত্তাকর্মীদের জেরার মুখে পড়েন মাহি। সেখানে তাকে দেড় ঘণ্টা বসে থাকতে হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থার বিভিন্ন প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে।
যাযাদি/ এস