২০০৭ সালে বিয়ে করে সুখের সংসার গড়েন সাবেক বিশ্বসুন্দরী বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ও অভিনেতা অভিষেক বচ্চন।
বিয়ের ঠিক তিন বছর পর দম্পতি জানিয়েছিলেন— এমন একটি দিনও নেই, যেদিন তারা ঝগড়া করেন না। কিন্তু কীভাবে এই অশান্তি সামলে উঠে একসঙ্গে থাকেন এ দম্পতি?
মনে রাগ নিয়ে কিংবা অশান্তি নিয়ে রাতে ঘুমাতে যাওয়া যায় না। বিছানায় যাওয়ার আগেই সব মিটমাট করে নিতে হয়।
এ নিয়মটি তখন থেকেই মেনে আসছেন এ দম্পতি।
সেই সাক্ষাৎকারে আরও এক প্রশ্ন করা হয়েছিল— ঝগড়া হলে কে আগে ক্ষমা চান? উত্তরে অভিষেক বলেছিলেন—আমিই ক্ষমা চাই সবার আগে।
নারীরা কখনো আগে ক্ষমা চায় না। তবে আমাদের একটা নিয়ম রয়েছে— মিটমাট না করে ঘুমাতে যাওয়া যাবে না। আসলে আমরা আগে ক্ষমা চেয়ে মিটিয়ে নিই। কারণ আমাদের ঘুম পেয়ে যায়।
২০২৪ সালে ছড়িয়ে পড়েছিল ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ও অভিষেক বচ্চনের বিচ্ছেদের খবর। বলিপাড়া ছাড়াও সামাজিক মাধ্যমে নেটিজেনদের মাঝে চলে আলোচনা-সমালোচনা।
কখনো তৃতীয় ব্যক্তির প্রবেশ, আবার কখনো বনিবনার অভাব— নানা কারণ উঠে এসেছিল এ প্রসঙ্গে। সেই জল্পনায় নিজেরাই পানি ঢেলেছেন এ তারকা দম্পতি।
তবে একটা সময়ে ঐশ্বরিয়া ও অভিষেক নিজেরাই জানিয়েছিলেন— তাদের ঘরে নিত্যকলহ।
ঐশ্বরিয়া বলেছিলেন, আমরা রোজ ঝগড়া করি। সঙ্গে সঙ্গে অভিষেক জানিয়েছিলেন— ঝগড়া হলেও তা খুব গুরুতর জায়গায় পৌঁছায় না।
তিনি বলেছিলেন, আসলে ঠিক ঝগড়া নয়; আমাদের মধ্যে নানা বিষয়ে মতের অমিল হয়। স্বাস্থ্যকর তর্কাতর্কি হয়। না হলে তো একঘেয়েমি এসে যেত।
দাম্পত্যে স্বচ্ছতা থাকা খুবই জরুরি বলে মনে করেন অভিষেক বচ্চন। সৎভাবে খোলামেলা আলোচনা করলে তবেই দাম্পত্য সুখের হয়।
আর যে কোনো স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেই কথা কাটাকাটি লেগে থাকে বলে মনে করেন অভিষেক।
তবে মনোমালিন্য হলেও তা মিটমাট করার ভিন্ন ধরন রয়েছে। এমনই মনে করেন অভিনেতা।