দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি ঘণীভূত হয়ে একই এলাকায় (৮.৫° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯.১° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। গভীর নিম্নচাপ এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। এ প্রেক্ষিতে বন্দরসমূহে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আজ বুধবার (১০ মে) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তি-২ এ এসব তথ্য জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক।

গভীর নিম্নচাপটি আজ বুধবার (১০ মে) সকাল ০৬ টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫৫০ কি.মি. দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪৭০ কি.মি. দক্ষিণে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫৫০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫০৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল। এটি আরো ঘণীভূত হয়ে কাল বৃহস্পতিবার (১১ মে) পর্যন্ত উত্তর- উত্তরপশ্চিম দিকে এবং পরবর্তীতে দিক পরিবর্তন করে ক্রমান্বয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।

গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। এ প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ০১ (এক) নম্বর (পুন:) ০১ (এক) নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

ভালুকায় নামছে পানির স্তর 

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসাথে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হলো।

বাংলাদেশের কোন কোন এলাকার ওপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি বয়ে যেতে পারে এমন প্রশ্নের উত্তরে এ আবহাওয়াবিদ জানান, বর্তমানে নিম্নচাপটি কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, টেকনাফ, মায়ানমার অভিমুখ করে আছে। এটি যে কোনো সময়ে পরিবর্তন হতে পারে। তাই এখনই নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না কোন এলাকার ওপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি বয়ে যেতে পারে। তবে বাংলাদেশ শঙ্কামুক্ত নয়।

যাযাদি/ এসএম