করোনা ভাইরাসে নতুন ভেরিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার আগেই টাঙ্গাইলে ৬৫০টি সনাক্তকরণ কিট সরবরাহ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
নতুন সরবরাহ পাওয়ার পর করোনার উপসর্গ নিয়ে প্রথম দিনে মর্জিনা (৪০), সাহেরা (৬৫) ও হারাধন পাল (৬৫) হাসপাতালে আসেন। এ তিন জনের করোনা পরীক্ষা করা হলে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। গত ৪৮ ঘণ্টায় আর কোন টেস্ট করা হয়নি।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রায় প্রতিদিনই করোনার উপসর্গ নিয়ে রোগী হাসপাতালে আসে। জেলার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার কিট সরবরাহ না থাকায় রোগীদের জেলা সদরে পাঠানো হয়।
ফলে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতালে করোনার উপসর্গ রোগীদের পরীক্ষা করা হচ্ছে।নাগরপুর উপজেলার জাহানারা আক্তার, জাহাঙ্গীর আলম ও সানোয়ার জানান, করোনা উপসর্গ নিয়ে তারা প্রথমে নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান।
নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. হাফিজুর রহমান জানান, করোনা পরীক্ষার জন্য উপজেলা পর্যায়ে এখনও কিট সরবরাহ করা হয়নি। প্রায় দিনই করোনা উপসর্গ নিয়ে রোগীরা আসেন। কিট না থাকায় তাদের টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।
টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. আব্দুল কুদ্দুস জানান, হাসপাতালে করোনার উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের সনাক্তকরণের জন্য যাবতীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত করোনার নতুন ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত কোন রোগী পাওয়া যায়নি। প্রথম দিনে ৩ জন টেস্ট করেছে তাদের প্রত্যেকেরই করোনা নেগেটিভ এসেছে।
টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন এফএম মাহবুবুল আলম জানান, জেলার জনসংখ্যা বিবেচনায় ১৯ হাজার ৫০০ কিটের চাহিদাপত্র স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ৬৫০টি কিট পাওয়া গেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে এখনও করোনা পরীক্ষার কিট পাঠানো হয়নি। টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতালে করোনার কিট আছে। উপজেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেলা সদরে পাঠাতে বলা হয়েছে।