যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিভাগ (Department of Homeland Security - DHS) ইরানঘনিষ্ঠ হ্যাকার ও ‘প্রো-ইরানিয়ান হ্যাকটিভিস্টদের’ ক্রমবর্ধমান সাইবার হুমকি নিয়ে নতুন করে সতর্কতা জারি করেছে।
গত রোববার (২২ জুন) ‘ন্যাশনাল টেরোরিজম অ্যাডভাইজরি সিস্টেম’ (NTAS) থেকে প্রকাশিত বুলেটিনে এই আশঙ্কা জানানো হয়।
বুলেটিনে বলা হয়, ইরান ও ইসরায়েলের চলমান সংঘাতের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রে ‘উচ্চমাত্রার হুমকি পরিস্থিতি’ তৈরি হয়েছে এবং এতে করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিভিন্ন নেটওয়ার্কে ছোট পরিসরের সাইবার হামলার ঘটনা ঘটতে পারে।
বুলেটিনে আরও বলা হয়, ‘যদি ইরানি নেতৃত্ব যুক্তরাষ্ট্রে পাল্টা হামলার পক্ষে ধর্মীয় ফতোয়া জারি করে, তাহলে দেশের অভ্যন্তরে সহিংসতার জন্য উগ্রপন্থীরা উৎসাহিত হতে পারে।’
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি জানায়, অতীতে ইরান সরকারের ঘনিষ্ঠ হ্যাকার দল ও হ্যাকটিভিস্টরা বিভিন্নভাবে যুক্তরাষ্ট্রের দুর্বল নিরাপত্তাবেষ্টিত নেটওয়ার্কে সাইবার হামলা চালিয়েছে।
বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবা, সরকার, তথ্যপ্রযুক্তি, প্রকৌশল ও জ্বালানি খাতে এ ধরনের হামলার নজির রয়েছে। ব্রুট ফোর্স, পাসওয়ার্ড স্প্রে এবং মাল্টিফ্যাক্টর অথেনটিকেশন (MFA) ফ্যাটিগ বা ‘পুশ বোমিং’ পদ্ধতিতে এসব হামলা সংঘটিত হয়েছে।
২০২৩ সালের আগস্টে আরেকটি সতর্কবার্তায় মার্কিন সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা CISA, FBI এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাইবার ক্রাইম সেন্টার (DC3) ‘Br0k3r’ নামের ইরান-ভিত্তিক হুমকি গোষ্ঠী সম্পর্কে সতর্ক করে দেয়। Br0k3r (যাকে Pioneer Kitten, Fox Kitten, Parisite বা Lemon Sandstorm নামেও চিহ্নিত করা হয়)—ধারণা করা হয় তারা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত এবং চুরি করা নেটওয়ার্ক অ্যাকসেস র্যানসমওয়্যার চক্রদের কাছে বিক্রি করে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, চলমান ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে এই ধরনের সাইবার হুমকি কেবল একটি প্রযুক্তিগত ইস্যু নয়; বরং এটি ভবিষ্যতের যুদ্ধনীতির একটি কৌশলগত দিক হয়ে উঠছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক নেটওয়ার্কগুলোর নিরাপত্তা জোরদারে এখনই পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি, বিশেষ করে যেসব খাত জাতীয় নিরাপত্তার জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ। সূত্র: ব্লিপিং কম্পিউটার।