গত কয়েক বছর ধরে হাওয়া বদলে যেতে শুরু করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে । এবার ইসরাইল-হাসাম যুদ্ধের পর এটি আরও জরদার হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইসরাইলের প্রতি অতিরিক্ত সমর্থনের কারণ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো এবার চীন ও রাশিয়ার দিকে হেলে পড়েছে। চীনের সহায়তাই দীর্ঘদিন পর ইরান-সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্ক আবার স্থাপন হয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলি সহিংসতার অবসানের জন্য কূটনৈতিক উদ্যোগ নিয়েছে ওআইসি ও আরব লিগ। এই উদ্যোগের প্রথম প্রচেষ্টায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা সোমবার চীন সফর করেছেন। প্রতিনিধি দলটি জাতিসংঘের পাঁচ স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবে।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে কোন কোন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বৈঠক করবেন তা উল্লেখ করা হয়নি প্রতিবেদনে।
অতীতে ইসরায়েলের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকলেও বেশ কিছু বছর ধরে ফিলিস্তিনপন্থি সতর্ক অবস্থান নিয়েছে রাশিয়া। গাজায় বেসামরিক হতাহতের জন্য ইসরায়েলের নিন্দা করেছে দেশটি। একই সঙ্গে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে আসছে মস্কো।
ওআইসি ও আরব লীগের সম্মেলনের পর সোমবার চীনে সমবেত হয়েছেন আরব ও মুসলিম দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। সৌদি আরব, জর্দান, মিসর, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিস্তিন এবং ওআইসির কর্মকর্তারা চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ইয়ের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিয়েছেন।
চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে গাজায় চলমান সংঘাত বন্ধে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
যাযাদি/ এস