শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

তেহরানে সব ধরণের বিমান চলাচল বন্ধ, ভয়াবহ যুদ্ধের আশঙ্কা

যাযাদি ডেস্ক
  ১১ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২২
ছবি সংগৃহতি

দখলদার ইসরাইলকে কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না। অবরুদ্ধ গাজাকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে। হত্যা করেছে হাজার হাজার নিরিহ ফিলিস্তিনিকে। এবার পাশের রাষ্ট্রগুলোতেও হামলা শুরু করেছে তারা। আর ইসরাইলের এই শক্তির পিছনে প্রধান ভূমিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা শক্তি।

এদিকে ইরান তার দেশের রাজধানী তেহরানের ওপর দিয়ে সকল ধরনের বিমান চলাচল নিষিদ্ধ করেছে। স্থানীয় সময় বুধবার মধ্য রাতে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে।

'সামরিক মহড়ার' কথা উল্লেখ করে ইরান এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। প্রতিরক্ষামন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে দেশটির আধা-সরকারি মেহর বার্তা সংস্থা এ খবর প্রকাশ করেছে। ইরান ও ইসরাইল যে সম্ভাব্য ভয়াবহ যুদ্ধের দিকে এগুচ্ছে, এই ঘোষণা তারই ইঙ্গিত দিচ্ছে।

গত সপ্তাহে দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে ইসরাইলি বিমান হামলায় এক শীর্ষ কমান্ডারসহ সাতজন নিহত হওয়ার বদলা কিভাবে নেবে, তা নিয়ে ভাবছে ইরান। এদিকে ইরানের সম্ভাব্য হামলা থেকে ইসরাইলকে রক্ষা প্রস্তুতি দেখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কমান্ডার ইসরাইল যাচ্ছেন। মধ্যপ্রাচ্যের মার্কিন সামরিক বাহিনীর (সেন্টকম নামে পরিচিত) শীর্ষ কমান্ডার আজ বৃহস্পতিবার ইসরাইল অবতরণ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এক্সিয়স এ খবর প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেনারেল এরিক কুরিলা ইসরাইলের সেনা কর্মকর্তা এবং ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের সাথে সাক্ষাত করবেন।

উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বুধবার বলেছেন, ইরানের বিরুদ্ধে ইসরাইলকে রক্ষার জন্য তিনি ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে 'লৌহবর্মভূষিত' প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এদিকে মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে জার্মানির লুৎহানসা এয়ারলাইন ইরানে তাদের সব ফ্লাইট স্থগিত করেছে।

বিমান সংস্থাটির এক মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেন, 'আমরা অব্যাহতভাবে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতির দিকে নজর রাকছি। আমাদের অতিথি এবং ক্রু সদস্যদের নিরাপত্তা হলো আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার।'

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনি বুধবার বলেছেন, দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলার জন্য ইসরাইলকে 'অবশ্যই শাস্তি' পেতে হবে।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালে ইরান দুর্ঘটনাক্রমে ইউক্রেনের একটি বাণিজ্যিক বিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছিল। ইরানি কমান্ডার কাসেম সোলাইমানির হত্যার পর যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উত্তেজনাকর সময়ে এই ঘটনায় ১৭৬ জন নিহত হয়েছিল।

সূত্র : মিডল ইস্ট আই

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে