ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধে সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় পড়েছে ভারত। কারণ ভারতের সঙ্গে ইসরাইলের যেমন মধুর সম্পর্ক তেমনি ইরানের সঙ্গেও। ইরানের তেলের ওপর নির্ভর করে ভারত। অন্যদিনে চিনের মোকাবিলায় ভারত সব সময় ইরানকে কাছে পেতে চায়।
এদিকে ভারতের সঙ্গে ইসরাইলের সম্পর্ক বেশ মধুর। আবার ঐতিহাসিকভাবে ইরানের সঙ্গেও চিরকাল সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে দেশটি। এই আবহে ইসরাইলের ওপর ইরানের হামলা নিয়ে কোনও পক্ষের নিন্দা জানায়নি ভারত। বরং কূটনৈতিক ভারসাম্য বজায় রেখে উত্তেজনা কমিয়ে শান্তি ফিরিয়ে আনার বার্তা দিয়েছে এই দেশ। কারণ ভারত সরাসরি কারো যেতে চায় না। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন ভারতে শেষ পর্যন্ত ইসরাইলের পক্ষ নিতে পারে।
এ খবর নিশ্চিত করে হিন্দুস্তান টাইমস এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছেঃ ভারত নিজেদের সরকারি বিবৃতিতে বলেছে, 'পশ্চিম এশিয়ায় ইসরাইল এবং ইরানের মধ্যে যে সংঘর্ষ হচ্ছে তাতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এ নিয়ে আমরা ভীষণ উদ্বিগ্ন। গোটা এলাকার নিরাপত্তা এতে বিঘ্নিত হতে পারে। আমরা তাই উভয় পক্ষকেই আহ্বান জানাচ্ছি যাতে দ্রুত পরিস্থিতি শান্ত করা হয়। কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে যাতে বিষয়টির মীমাংসা করা হয়। আমরা খুব মন দিয়ে এই পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি।'
এদিকে, বিগত বছরগুলোতে মধ্যপ্রাচ্যের বহু দেশে বহু ভারতীয় কর্মসূত্রে থাকতে শুরু করেছেন। ইসরাইলেও কয়েক হাজার ভারতীয় রয়েছেন।
এই আবহে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই অঞ্চলে অবস্থিত ভারতের সবকয়টি দূতাবাস থেকেই সেখানকার ভারতীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, রবিবার ভোর হতে না হতেই ইসরাইলের ওপর রকেট ও ড্রোন হামলা চালায় ইরান। এর কয়েকদিন আগে সিরিয়ায় ইরানের কন্সুলেটে হামলা হয়েছিল। তাতে এক জেনারেল সহ উচ্চপদস্থ ৭ কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছিল। সেই ঘটনার পর থেকেই ইসরাইলে হামলার হুঁশিয়ারি দিচ্ছিল ইরান। ওই হামলার ঘটনা ইসরাইল স্বীকার না করলেও অস্বীকার করেনি। এই পরিস্থিতিতেই ইরান ইসরাইলে হামলা চালালো। ওদিকে, ইসরাইলের সাহায্যে লোহিত সাগর অঞ্চলে বৃটিশ এবং মার্কিন রণতরী মোতায়েন করা হয়েছে।
যাযাদি/ এস