অবরুদ্ধ গাজায় ফিলিস্তিনি নাগরিকদের নিমর্মভাবে হত্যার প্রতিবাদে কলম্বিয়া দখলদার ইসরাইলের সঙ্গে সব ধরণের সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সব বাণিজ্য। আর কলম্বিয়া সরকার জানিয়েছে দিয়েছে, যে সরকার গণহত্যা চালানোর নির্দেশ দেয় সে সরকারের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক থাকতে পারে না। তারা ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনার প্রতিও সমর্থন ব্যক্ত করে। গত ছয়মাসে ইসরাইলি সেনারা প্রায় ৩৬ হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে।
এদিকে গাজায় অভিযান অব্যাহত রাখার প্রতিবাদে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছেন কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো। বুধবার রাজধানী বোগোতায় আন্তর্জাতিক মে দিবস উপলক্ষ্যে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক বক্তব্যে এ ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। ভাষণে পেত্রো বলেন, ‘কলম্বিয়া প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি আজ আপনাদের বলতে চাই, আমরা ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করছি এবং আগামীকালই এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এমন কোনো রাষ্ট্রের সঙ্গে আমরা কূটনৈতিক সম্পর্ক রাখতে পারি না, যে দেশের সরকার গণহত্যার নির্দেশ দেয়।’
গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার জবাবে গাজায় সামরিক অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষঅ বাহিনী আইডিএফ। সেই অভিযান এখনও চলছে। ‘গাজায় অভিযানের নামে গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েল’— অভিযোগ জানিয়ে গত ডিসেম্বরে জাতিসংঘের আদালতে ইসরায়েলের সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বুধবারের ভাষণে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কঠোর সমালোচনা করেছেন কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক আদালতের মামলায় দক্ষিণ আফ্রিকার পাশে দাঁড়াতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। পেত্রো বলেন, ‘গাজায় যা যা হচ্ছে, সেসব দেখার পর কোনো দেশ এ ইস্যুতে নিষ্ক্রিয় থাকতে পারে না।’
দক্ষিণ আমেরিকাভুক্ত দেশগুলো গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে সোচ্চার ভূমিকায় রয়েছে। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় অভিযান শুরুর পর ওই মাসের শেষের দিকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে বলিভিয়া।
পাশাপাশি কলম্বিয়া, চিলি এবং হন্ডুরাসও ইসরায়েল থেকে নিজ নিজ রাষ্ট্রদূতদের ফিরিয়ে আনে। সূত্র : রয়টার্স
যাযাদি/ এস