শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

তরুণীকে বাধ্য করা হয় বিবস্ত্র হতে!

যাযাদি ডেস্ক
  ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫:৪৭
আপডেট  : ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৮:৫৮
ছবি-সংগৃহিত

দিল্লি পুলিশের পরিচয় দিয়ে ওই তরুণীকে ফোন করা হয় বলে অভিযোগ। পরে তাঁকে ‘ভার্চুয়াল জিজ্ঞাসাবাদ’-এর জন্য মুম্বইয়ের এক হোটেলে ঘরভাড়া নিতে বাধ্য করা হয়।

মুম্বইয়ের তরুণীকে ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ করে লক্ষাধিক টাকার প্রতারণার অভিযোগ।

মুম্বইয়ের তরুণীকে ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ করে লক্ষাধিক টাকার প্রতারণার অভিযোগ। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন। গ্রাফিক সহায়তা: এআই।

‘ডিজিটাল গ্রেফতার’-এর ফাঁদে পড়ে ১ লাখ ৭৮ হাজার টাকা খোয়ালেন মুম্বইয়ের এক তরুণী। অভিযোগ, বছর ছাব্বিশের ওই তরুণীকে দিল্লি পুলিশের পরিচয় দিয়ে মুম্বইয়ের এক হোটেলে ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ করে প্রতারকেরা। সেখানে প্রতারকদের দেওয়া ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১ লাখ ৭৮ হাজার টাকা পাঠাতে বাধ্য করা হয় তরুণীকে। এমনকি তাঁর পোশাক খুলতেও বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ। গত ১৯-২০ নভেম্বর মুম্বইয়ের এক হোটেলে এই ঘটনাটি ঘটেছিল। বৃহস্পতিবার পুলিশের কাছে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানান ওই তরুণী। হেনস্থা এবং তোলাবাজির অভিযোগে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি আইন এবং ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।

অভিযোগকারী তরুণী মুম্বইয়ের এক বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। দিল্লি পুলিশের ভুয়ো পরিচয় দিয়ে তাঁকে ফোন করে সাইবার প্রতারকেরা। তরুণীকে জানানো হয়, একটি আর্থিক প্রতারণার মামলায় তিনি অভিযুক্ত। অভিযোগ, একাধিক মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে তরুণীকে ভয় দেখানো হয়। এমনকি ‘ভার্চুয়াল জিজ্ঞাসাবাদ’-এর জন্য মুম্বইয়ের একটি হোটেলে ঘরভাড়া নিতেও বাধ্য করা হয় তাঁকে। এর পর হোটেলের ঘরে ভিডিয়ো কল করে তাঁকে বিভিন্ন ভাবে ভয় দেখিয়ে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। তরুণীর অভিযোগ, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট যাচাইয়ের নামে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ১ লাখ ৭৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। ‘অভিযুক্তের শরীর শনাক্তকরণ’-এর কথা বলে তাঁকে বিবস্ত্র হতেও বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ তরুণীর।

বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের দহিসর থানায় তরুণী অভিযোগ জানান। প্রথমে দহিসর থানাই তদন্ত চালাচ্ছিল। পরে তা অন্ধেরি থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আপাতত অন্ধেরি থানার পুলিশ অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

সাইবার প্রতারকদের কাছে এখন অন্যতম অস্ত্র হল ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’। সম্প্রতি যে হারে ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ বৃদ্ধি পেয়েছে, তাতে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রও। প্রতারণার এই পন্থা নিয়ে দেশবাসীকে সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। গত মাসেই ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ বলে কিছু হয় না। দেশের কোনও আইনে এই ধরনের গ্রেফতারির কথা বলা নেই বলেও সাবধান করেছেন তিনি। এই ধরনের কোনও প্রতারণামূলক ফোন এলে অযথা ভয় না পেয়ে মাথা ঠান্ডা রেখে পদক্ষেপের পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।

যাযাদি/এসএস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে