ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ঘটে গেছে রীতিমতো শিউরে ওঠার মতো এক খুনের ঘটনা। নিখোঁজ এক যুবককে অপহরণ করে খুন করা হয়। এরপর লাশ দেওয়ালের মধ্যে ঢুকিয়ে প্লাস্টার করে লুকিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে তার আত্মীয়র বিরুদ্ধেই। দুই সপ্তাহ পর সেই ঘটনার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ।
নিহত যুবকের নাম সাদ্দাম নাদাব (৩১)। তাঁর বাড়ি ভারতের মালদহ জেলার পুখুরিয়া থানার অন্তর্গত কোকলামারি এলাকায়। পেশায় তিনি একজন ঠিকাদার ছিলেন এবং কর্মসূত্রে ভাড়া থাকতেন এক আত্মীয়ার বাড়িতে।
পরিবারের দাবি, গত ১৮ মে সাদ্দাম নিখোঁজ হন। ২০ মে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে প্রথমে সাধারণ ডায়েরি ও পরে ২৩ মে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ সন্দেহের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করে ওই আত্মীয়া মৌমিতা নাদাবকে।
জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারী জানায়, তিনিই সাদ্দামকে খুন করেছেন। এরপর প্রমাণ লোপাটের জন্য লাশ নিয়ে যান নিজের পিত্রালয়ে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন থানার অন্তর্গত এলাকায়। সেখানে একটি ঘরের দেওয়ালে লাশ গেঁথে তার ওপর প্লাস্টার করে লুকিয়ে রাখা হয়।
পুলিশের দাবি, মৌমিতার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ওই ঘর থেকেই উদ্ধার করা হয় সাদ্দামের মরদেহ। তবে খুনের পেছনে কী উদ্দেশ্য ছিল তা এখনও নিশ্চিত নয়। প্রাথমিকভাবে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধের তথ্য উঠে এসেছে।
ঘটনাটিকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে মালদহ ও দক্ষিণ দিনাজপুর জুড়ে। এ ঘটনায় আর কেউ জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।