শরীয়তপুরে জেলা ছাত্রদলের সদ্য ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটিকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেলে শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, শরীয়তপুর জেলা ছাত্রদলের সবশেষ কমিটি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিলুপ্ত করে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল।
দীর্ঘদিন পর মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির ৩৫ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন করেন।
এতে এইচ.এম জাকির হোসেনকে আহ্বায়ক ও সোহেল তালুকদারকে সদস্যসচিব করা হয়।
তবে এই কমিটি ঘিরেই তৈরি হয় বিভক্তি। বিকেলে কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে একটি পক্ষ বিজয় মিছিল বের করে।
অন্যদিকে, কমিটিতে অনিয়মের অভিযোগ তুলে আরেকপক্ষ এর বিরোধিতা করে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। দু’টি মিছিল যথাক্রমে পালং মডেল থানার সামনের গেট এবং পেছনের গেট হয়ে যাওয়ার সময় মুখোমুখি হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
একপর্যায়ে একপক্ষ আরেকপক্ষের ওপর হামলা চালালে শুরু সংঘর্ষ। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হন।
পরে স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতদের উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব সোহেল তালুকদার বলেন, অনেকে কাঙ্ক্ষিত পদ না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন।
আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান চাচ্ছিলাম। তার মধ্যেই আমাদের আনন্দ মিছিলে হামলা হয়েছে।
অন্যদিকে, আফজাল খান অভিযোগ করেন, জাকির ও সোহেলের সমর্থকরা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের লোকজন নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
আমরা যে দাবি তুলেছি—বিবাহিত ও অছাত্রদের বাদ দিয়ে প্রকৃত ছাত্রদের নিয়ে পক্ষপাতহীন কমিটি করতে হবে। এই দাবি মানা না হলে আন্দোলন চলবে।
জেলা পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষকারীরা থানা সংলগ্ন এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটিয়েছেন। ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।