আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান দুই বছরের কারাবাসের পর অবশেষে জেল থেকে মুক্তি পেতে পারেন—এমনটাই দাবি করেছেন তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর শীর্ষ নেতারা।

দলের আইনজীবী ও প্রবীণ নেতা গোহার আলি খান জানিয়েছেন, আগামী ১১ জুন ইসলামাবাদ হাই কোর্টে বহুল আলোচিত তোষাখানা দুর্নীতি মামলার শুনানি রয়েছে। সেই দিনই ইমরান খানের জামিন মঞ্জুর হতে পারে বলে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন তিনি। এমনকি একই দিনে জেল থেকে মুক্তিও পেতে পারেন সাবেক বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের আগস্টে তোষাখানা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে গ্রেপ্তার হন ইমরান খান। অভিযোগ ছিল, প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকাকালীন বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানদের উপহার বেআইনিভাবে নিজের কাছে রেখে এবং বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, আল-কাদির ট্রাস্টের নামে ১৯০ মিলিয়ন পাউন্ড দুর্নীতির অভিযোগেও তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।

ইমরান প্রথমে আটক হন পাঞ্জাব প্রদেশের অটক জেলে। পরে তাঁকে স্থানান্তর করা হয় রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে। তাঁর পরিবার ও ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, কারাগারে বারবার তাঁর প্রাণনাশের শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

সম্প্রতি ‘অপারেশন সিঁদুরে’র ঘটনায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে বড় ধাক্কা খেয়ে চাপে পড়েছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির। সেই সুযোগে পিটিআই কর্মীরা দেশব্যাপী বিক্ষোভ শুরু করেছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই রাজনৈতিক চাপ সামাল দিতেই হয়তো ইমরান খানকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হতে পারে।

উল্লেখ্য, কারাবন্দি অবস্থায়ই ইমরান নিজেকে পিটিআইয়ের ‘পেট্রন ইন চিফ’ ঘোষণা করেছেন এবং দলের আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেলের ভেতর থেকেই। এখন দেখার বিষয়, ১১ জুন সত্যিই তাঁর মুক্তি ঘটে কিনা।