ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি জানিয়েছেন, ইসরায়েল ‘বড় ভুল ও বড় অপরাধ’ করেছে। সেই অপরাধের শাস্তি তাদের পেতেই হবে।
আর সেই শাস্তি দেওয়া হচ্ছে এবং এখনই তারা তা ভোগ করছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
সম্প্রতি মার্কিন হামলার পর খামেনি প্রথমবারের মতো এই কঠোর বার্তা দিয়েছেন। তার বক্তব্য প্রকাশ করা হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (আগের টুইটার)।
এক্সে দেওয়া এক পোস্টে খামেনি বলেন, জায়নবাদী শত্রু বড় অপরাধ করেছে। সেই অপরাধ তারা এখনই শাস্তি হিসেবে পাচ্ছে। এই শাস্তি চলবে।
গত ১৩ জুন ইরানের একটি সামরিক স্থাপনায় হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। ওই হামলার পাল্টা জবাব দিতে শুরু করে ইরান। এরপর থেকেই দেশের ভেতরে নিরাপত্তা জোরদার করে তেহরান।
ইরানের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়, হামলার আশঙ্কায় ৮৬ বছর বয়সী আয়াতুল্লাহ খামেনিকে বাংকারে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
তিনি তার বাসভবন ছেড়ে গোপন স্থানে অবস্থান করছেন। সরাসরি যোগাযোগও বন্ধ রেখেছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খামেনির আশঙ্কা— তাকে হত্যার চেষ্টা করতে পারে ইসরায়েল বা যুক্তরাষ্ট্র। এমন পরিস্থিতির জন্য তিনি আগে থেকেই কিছু প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন।
খবরে জানা গেছে, যদি খামেনির কোনো কিছু হয়, তাহলে যেন দ্রুত নতুন সর্বোচ্চ নেতা ঠিক করা যায়— সেই নির্দেশনা তিনি দিয়ে গেছেন।
উল্লেখ্য, ইরানের রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে সর্বোচ্চ ক্ষমতা খামেনির হাতে। আইনসভা, বিচারব্যবস্থা, নির্বাহী বিভাগ ও সেনাবাহিনীর ওপর চূড়ান্ত নিয়ন্ত্রণ রয়েছে তার।
এই মুহূর্তে তাকে ঘিরে দেশটির রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা পরিবেশ অত্যন্ত সংবেদনশীল হয়ে উঠেছে। সূত্র: আল–জাজিরার