মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২

ট্রাম্পের ঘোষণা নিয়ে ইরানের দ্বিমুখী বার্তা, পরিস্থিতি অনিশ্চিত

বিশেষ প্রতিনিধি
  ২৪ জুন ২০২৫, ০৮:৫১
ট্রাম্পের ঘোষণা নিয়ে ইরানের দ্বিমুখী বার্তা, পরিস্থিতি অনিশ্চিত
সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন ঘোষণা দিয়েছেন যে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি সম্পন্ন হয়েছে, তখন ইরান শুরুতে তা সরাসরি অস্বীকার করে। তবে পরে তারা এক বিবৃতিতে শর্তসাপেক্ষে সামরিক প্রতিক্রিয়া স্থগিতের ইঙ্গিত দেয়, যদি ইসরায়েল নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হামলা বন্ধ করে।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়েদ আব্বাস আরাগচি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ (পূর্বতন টুইটার) বলেন, “বর্তমানে কোনো যুদ্ধবিরতি বা সামরিক কার্যক্রম বন্ধের বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো চুক্তি নেই।”

তিনি লিখেছেন, “এই মুহূর্তে যুদ্ধবিরতি বা সামরিক অভিযান বন্ধ নিয়ে কোনো ‘চুক্তি’ নেই। তবে যদি ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী তেহরান সময় সকাল ৪টার মধ্যে তাদের অবৈধ আগ্রাসন বন্ধ করে, তাহলে ইরানের তরফে প্রতিক্রিয়া চালিয়ে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই। সামরিক অভিযান বন্ধের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পরে জানানো হবে।”

ইসরায়েলের নীরবতা

এদিকে ইসরায়েল এখনো যুদ্ধবিরতির বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি। ফলে ত্রিপাক্ষিকভাবে যুদ্ধবিরতির বিষয়টি কতটা বাস্তবায়ন হবে, তা এখনো অনিশ্চিত রয়ে গেছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মন্তব্য

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ইরানের এই দ্বৈত অবস্থান মূলত অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বার্তা ও আন্তর্জাতিক চাপ সামলানোর কৌশল। প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রের দাবিকে অস্বীকার করে তারা ‘বহিরাগত চাপ’ প্রত্যাখ্যানের বার্তা দিতে চেয়েছে। পরে বাস্তব পরিস্থিতির আলোকে নিজেদের অবস্থান শর্তসাপেক্ষে নমনীয় করেছে।

পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হতে পারে

যদিও ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন, বাস্তবে তা কার্যকর হবে কিনা, তা নির্ভর করছে ইসরায়েলের অবস্থানের ওপর। যদি ইসরায়েল হামলা চালিয়ে যায়, তাহলে ইরান আবার প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে, যা সংঘর্ষকে নতুন মাত্রায় নিয়ে যেতে পারে।

এই মুহূর্তে মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা যেমন আশার আলো জাগাচ্ছে, তেমনি পক্ষগুলোর দ্বিধান্বিত অবস্থান এই সংকটকে আরও জটিল করে তুলছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে