শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কুরআন নাজিলের রজনী কদর পালিত

যাযাদি ডেস্ক
  ১৯ এপ্রিল ২০২৩, ১১:২০

যে রাতের মহিমা বর্ণনা করতে গিয়ে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র গ্রন্থ কুরআন শরীফে একটি সুরা নাজিল করেছেন সেই রাতে ইবাদন-বন্দেগী আর গুনা মাফের আশায় দোয়ার মাধ্যমে অতিবাহিত করেছেন মুসলিমরা।

কুরআন নাজিলের রাত হলো শবে কদর। যার মর্যাদা হাজার হাজার বছরের চাইতেই উত্তম। তাই এ রাতে ইবাদতের জন্য মুখিয়ে থাকে মুমিন বান্দারা।

বিশ্বের অন্য দেশের মত বাংলাদেশেও গতকাল রাতে পবিত্র শবে কদর পালিত হয়। এ রাতে সারাদেশে মসজিদে মসজিদে দেখা যায় মুসল্লিদের ভিড়। সারাদিনের সিয়াম সাধনার পর রাতে ইবাদতে ব্যস্ত ছিলেন মুসল্লিরা। ঘরে ঘরে নারীরা ইবাদন করেন। রাজধানী ঢাকাসহ মহানগরী গুলো মসজিদে মসজিদে দেখা যায় অনেক নারী ইবাদত ও নামাজে শামিল হতে।

কদরের রাতে মসজিদসহ বাসাবাড়িতে নফল নামাজ আদায়, পবিত্র কোরাআন তেলাওয়াত, জিকির-আসকরে মশগুল ছিলেন অনেক মুমিন বান্দা।

গতকাল মঙ্গলবার মাগরিব নামাজের পরপরই জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে শবে কদরের গুরুত্ব তুলে ধরে আলোচনা, কোরআন তেলাওয়াত ও দোয়ার আয়োজন করা হয়।

এশার নামাজে অংশ নেন বায়তুল মোকাররমের কাছের ও দূর থেকে আসা হাজার হাজার মুসল্লি। এ দিন নামাজ শেষে তারা পরিবার, দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা ও তীব্র দাবদাহ থেকে স্বস্তির আশায় দোয়ায় অংশ নেন।

পবিত্র কুরআন থেকে জানা যায়, মহান আল্লাহতায়ালা লাইলাতুল কদরের রাতকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন। হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এ রাতের ইবাদত উত্তম। এই রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়। তাই পবিত্র এই রাতে ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় ইবাদত-বন্দেগি করে কাটিয়েছেন।

পবিত্র রমজান মাসে লাইলাতুল কদরের রাতে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছিল। তাই মহান আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মসজিদসহ বাসা-বাড়িতে ইবাদত বন্দেগিতে মশগুল ছিলেন।

ভোরে সাহরি পর রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে মসজিদ গুলোতে মুসল্লিদের ভিড় দেখা যায়।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে