সম্প্রতি দেশের বেসরকারি একটি টিভি চ্যানেলের টকশোতে ইসলামী নানা পরিভাষা নিয়ে আপত্তি তুলেছেন একজন উপস্থাপক। বাংলাদেশীরা নানা পরিস্থিতিতে যে ‘ইনশাআল্লাহ’, ‘আলহামদুলিল্লাহ’ ও ‘জাযাকাল্লাহ’র মতো বাক্যগুলো বলেন, সে বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। যদিও তার আলোচনার মধ্যে এগুলোর বিকল্প বলতে গিয়ে তাকে ইংরেজি শব্দ উচ্চারণ করতে দেখা গেছে।
এ ঘটনার পর ওই উপস্থাপকও সাধারণ মানুষের চরম ক্ষোভের মুখে পড়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে তাকে তুলোধুনো করছেন অনেকে। এ বিষয়ে কথা বলছেন গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও। তাদের মধ্যে আছেন দেশের জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারি।
মালয়েশিয়া প্রবাসী এই ইসলামী স্কলার তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, ইনশাআল্লাহ, জাযাকাল্লাহ শব্দগুলোতে এতো আপত্তি কেন? ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে জাতির উদ্দেশে ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গবন্ধুর সাহসী উচ্চারণ ছিল— এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো “ইনশাআল্লাহ”। এখানেও কি “ইনশাআল্লাহ” শব্দের প্রয়োগকে ভাষার দূষণ হিসেবে আখ্যায়িত করার দুঃসাহস দেখাবেন?’
তিনি আরো লেখেন, ‘ভাষা আন্দোলনের পাঁচ ভাষাশহীদ—আবুল বরকত, রফিকউদ্দিন আহমদ, শফিউর রহমান, আবদুস সালাম, আবদুল জব্বার—এই সবগুলো নামই আরবি। এ নামগুলোর উচ্চারণেও কি ভাষার দূষণের ঘ্রাণ নাকে স্পর্শ করে? আসলে ইসলাম নিয়ে এলার্জি চিনতে পারার প্যারামিটার এগুলোই।’
এই পোস্টের কমেন্টবক্সে পবিত্র কোরআনের এই আয়াতটিও জুড়ে দেন তিনি। ‘আর যখন তারা একান্তে মিলিত হয়, তখন তোমাদের বিরুদ্ধে আক্রোশে নিজেদের আঙুল নিজেরাই কামড়ায়। ওদের বলো, তোমাদের ক্রোধের আগুনে তোমরাই ছাই হও! নিশ্চই প্রত্যেকের অন্তরে যা আছে আল্লাহ তা ভালো করেই জানেন।’ (সূরা আলে ইমরান, আয়াত : ১১৮)।
যাযাদি/ এস