শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

রোজা না রাখলে গ্রেপ্তার

যাযাদি ডেস্ক
  ১৪ মার্চ ২০২৪, ১১:৫৯
ছবি-সংগৃহিত

পুরো বিশ্বে এখন রমজান মাস চলছে। এ কারণে বদলে গেছে চিত্র। এমন কি বিশ্বের বড় বড় শহরেও রোজার মাসে চিত্র থাকে ভিন্ন রকম। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে সব রাষ্ট্রপ্রধানরা ইফতার পার্টির আয়োজন করেন। মধ্যপ্রাচ্যের রোজার মাসে খাদ্রপণ্য বিতরণের প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করা যায়।

এদিকে বিভিন্ন দেশে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ এই সময় রোজা পালন করেন। কিন্তু সম্প্রতি এমন একটি দেশের খবর মিলেছে, যেখানে রোজা পালন না করলে প্রশাসনের রোষের মুখে পড়তে হচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে নাইজেরিয়ায়। ইতোমধ্যে ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে নাইজেরিয়া পুলিশ।

মূলত আফ্রিকার এই দেশটির একটি প্রদেশে রোজার মাসে দিনের বেলা খাবার খেতে দেখার পর তাদের গ্রেফতার করা হয়। বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাইজেরিয়া ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হলেও এখানকার ১২ প্রদেশে শরিয়া আইন চালু করা হয়। এই ১২ প্রদেশে মোট জনসংখ্যার মধ্যে মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকই সংখ্যাগরিষ্ঠ। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এসব প্রদেশের মধ্যে একটি হলো কানো। আর এখানকার ইসলামিক পুলিশ ‘হিসবাহ’ নামে পরিচিত এবং প্রতি বছর রমজান মাসে তারা খাবারের দোকান এবং বাজারে তল্লাশি চালিয়ে থাকে।

গত মঙ্গলবার গ্রেফতারকৃত ১১ জনের মধ্যে ১০ জন পুরুষ এবং একজন নারী। গ্রেফতারের পর তারা আর ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা মিস করবেন না বলে শপথ করার পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

হিসবাহের মুখপাত্র লওয়াল ফাগে বিবিসিকে বলেছেন, আমরা মঙ্গলবার ১১ জনকে পেয়েছিলাম যার মধ্যে একজন নারীও ছিলেন, যিনি চিনাবাদাম বিক্রি করছিলেন এবং তাকে তার জিনিসপত্র থেকে খেতে দেখা গেছে এবং পরে কিছু লোক আমাদের এই বিষয়টি জানায়।

তিনি বলেন, অনুসন্ধান ও তল্লাশি অভিযান অব্যাহত থাকবে। তবে অমুসলিমরা এই অভিযানের আওতার বাইরে।

লওয়াল ফাগে বলছেন, আমরা অমুসলিমদের গ্রেফতার করি না। কারণ এটি (রোজা) তাদের পালন করার বিষয় নয়। শুধু একটি অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হলেই আমরা অভিযুক্তদের গ্রেফতার করি। আর তা হচ্ছে, যাদের রোজা রাখার কথা, সেসব মুসলমানের কাছে বিক্রি করার জন্য যারা খাবার রান্না করে।

যাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল তাদের সম্পর্কে ইসলামিক পুলিশের এই মুখপাত্র বলেন, তারা এখন থেকে রোজা রাখা শুরুর প্রতিশ্রুতি দিয়ে মুক্তি পেয়েছে এবং ‘তাদের মধ্যে কারও কারও পরিবার যেন তাদের পর্যবেক্ষণ করে, সে জন্য আমাদের তাদের আত্মীয় বা অভিভাবকদেরও ডাকতে হয়েছিল।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে