শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

ইহুদী তরুণীর ছাগল আল-আকসায় প্রবেশের আগেই মারা যায়

যাযাদি ডেস্ক
  ২৪ মে ২০২৪, ১৪:২১
ছবি-সংগৃহিত

আল-আকসা বিশ্বের অন্যতম পবিত্র স্থান। এই স্থানকে কেন্দ্র করে তিন ধর্মের মানুষের মধ্যে রয়েছে আবেগ আর সম্মান। ইসলাম, ইহুদী ও খ্রীস্টার ধর্মের অনুসারীরা এই স্থান নিজেদের ধর্মীয় উপাসনায় বলে মনে করে। তাই এই তিন ধর্মের অনুসারীদের মধ্যে যুগের পর যুগের বিরোধ চলে আসছে। বর্তমানে দখলদার ইসরাইলী সেনারা ঘিরে রেখেছে আল-আকসা।

জানা যায়, ইসলামের তৃতীয় পবিত্র স্থান আল-আকসার ধর্মীয় গুরুত্ব যেমন রয়েছে, তেমনি এটি ফিলিস্তিনি জনগণের সংস্কৃতি ও জাতীয়তার প্রতীক। ইহুদি-খ্রিষ্টানদের কাছেও আল-আকসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বাভাবিকভাবেই যুগ যুগ ধরে এটি হয়ে পড়েছে বিবাদের ইস্যু। ইহুদিরা নানা সময় নানা কৌশলে আকসা দখলের চেষ্টা চালিয়েছে, তবে সফল হয়নি।

আরও জানা যায়. ধর্মীয়ভাবে বিশ্বের সবচেয়ে স্পর্শকাতর স্থান হয়ে ওঠা আল-আকসায় সম্প্রতি অবাক করা এক ঘটনা ঘটেছে। সেখানে ছাগল নিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করেছেন এক ইহুদি তরুণী। তিনি অন্তঃসত্ত্বার ভান করে তার জামার নিচে ছাগলটি লুকিয়ে রেখেছিলেন। বুধবার (২২ মে) টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই তরুণী সেখানে প্রবেশের সময় কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তারা ছাগলের ডাক শুনতে পান এবং তরুণীর জামার নিচে কিছু একটা নড়তে দেখেন। এরপর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু ছাগলটি পবিত্র আল আকসায় প্রবেশের আগেই মারা যায়। তবে কি কারণ মারা গেছে সেটা জানা যায়নি। তবে পুলিশ বলছে দমবন্ধ হয়ে মারা যায় প্রাণীটি।

প্রশ্ন হলো, কেন ইহুদী তরুণী ছাগল নিয়ে আল-আকসায় প্রবেশ করতে চেয়েছিলেন? সেই কারণ খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। মূলত, যুগ যুগ ধরে আল-আকসা দখলের যে চেষ্টা করে আসছে ইহুদিরা, ছাগল নিয়ে প্রবেশের চেষ্টাটা তারই অংশ।

ইহুদিদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব পাসওভার। এই উৎসবের আগে উগ্রবাদী ইহুদিরা জেরুজালেম শহরের আল-আকসা প্রাঙ্গণে প্রাণী বলি দেওয়ার চেষ্টা করে আসছেন। তাদের বিশ্বাস, এর মধ্য দিয়ে স্পর্শকাতর স্থাপনাটি তাদের পূর্ণ দখলে নেওয়াটা আরও সহজ হবে।

আল-আকসা পৃথিবীর প্রাচীনতম মসজিদগুলোর একটি। মিরাজের রাতে এই মসজিদেই নামাজ আদায় করেছিলেন হজরত মুহাম্মদ (সা.)। মক্কায় হজ ও ওমরা পালনের আগে আল-আকসা ছিল মুসলিমদের কাছে প্রধান ধর্মীয় স্থান।

ইহুদিরা বিশ্বাস করে, আল-আকসাই ছিল তাদের প্রথম ও দ্বিতীয় পবিত্র উপাসনালয়। তারা মনে করে, তিন হাজার বছর আগে রাজা সোলেমান এখানে প্রথম উপাসনালয় নির্মাণ করেছিল। যেটি ধ্বংস করেছিল ব্যাবিলনীয়রা। আর দ্বিতীয় উপাসনালয়টি ৭০ খ্রিস্টাব্দে রোমান বাহিনী ধ্বংস করে দেয়। এখানে একটি খ্রিস্টান ব্যাসিলিকাও ছিল, যা একই সঙ্গে ধ্বংস হয়।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে