শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শুষ্ক ত্বকে কোমলতা ফেরাতে গোসলের পানিতে যা মেশাবেন

যাযাদি ডেস্ক
  ২৪ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:৪৪

ত্বকের শুষ্কতা দেখলেই বুঝা যায় শীতকাল এসেছে। শীতকালেই মানেই ত্বকের সমস্যা। র‌্যাশ, চুলকানি তো আছেই। তবে শীত পড়তেই ত্বকের শুষ্কতা যেন ধেয়ে আসে। বছরের অন্য সময় যে ত্বক শুষ্ক থাকে না, তা কিন্তু নয়। তবে শীতকালে শুষ্কতার মাত্রা অনেক বেশি বেড়ে যায়।

ত্বক থেকে শীতকালীন রুক্ষতা দূর করতে অনেকেই ভরসা রাখেন নানা প্রসাধনীর ওপর। কেউ আবার ঘরোয়া উপায়েও পরিচর্যা করেন ত্বকের। তাতেও যে খুব আশানুরূপ ফল পাওয়া যায়, তেমন নয়। ত্বকের শুষ্কতা দূর করা মুখের কথা নয়। অনেক সময় বাইরে থেকে দেখে মনে হয়, ত্বক বুঝি মসৃণ আছে। কিন্তু একটা নখ দিয়ে আঁচড় কাটলে সাদা সাদা দাগ পড়ে যায়। তাতেই বোঝা যায়, ত্বকের চাই ভিতর থেকে যত্ন।

শীতকালে অনেকেই আবার গরম পানি ছাড়া গোসল করেন না। গরম পানিতে গোসল করলে সাময়িকভাবে স্বস্তি পেলেও, আসলে ত্বকের ওপর এর খারাপ প্রভাব পড়ে। ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যায়। তবে পানির মধ্যে মিশিয়ে নেওয়া যায় একটি বিশেষ উপাদান, তা হলে বজায় থাকবে ত্বকের মসৃণতা।

অনেকেই ত্বকের যত্নে গোসলের পানিতে মিশিয়ে নেন অলিভ অয়েল, নারকেল তেল। তবে সবচেয়ে বেশি উপকার পেতে গোসলের পানিতে মেশান কাঠবাদামের তেল। এই তেলের বহুমুখী ব্যবহার রয়েছে। মেকআপ তোলা থেকে হাত, পা মালিশ— কাঠবাদাম তেলের উপকারিতা কম নয়। ভিটামিন ই-সমৃদ্ধ এই তেল ভিতর থেকে কোমল রাখে ত্বক। এই ভিটামিন ত্বকের ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। সূর্যের ইউ ভি রশ্মি থেকে ত্বক সুরক্ষিত রাখতেও এই তেল দারুণ উপকারী। গোসলের পানিতে এক ফোঁটা এই তেল ফেলে দিলে ত্বক হবে কোমল এবং মসৃণ।

অন্যভাবে ব্যবহার করতে পারেন এই তেল। গোসল করে ওঠার পরে কিংবা রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগেও ত্বকে মাখতে পারেন কাঠবাদাম তেল। চিনি কিংবা ওটসের সঙ্গে মিশিয়েও স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।

এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে