শীতকালের সঙ্গে বিয়ের একটা মধুর সম্পর্ক আছে। শীতের মৌসুম এলেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে নব বিবাহিত কাপলের ছবি বছরের বেশি দেখতে পাওয়া যায়। তবে কখনো কি ভেবে দেখেছেন, কেন শীতকাল এলেই বিয়ের ধুম পড়ে যায়। এই মৌসুমকে বিয়ের মৌসুমও বলা হয়। কেন বিয়ের মৌসুম হবে, নিশ্চয়ই এর নেপথ্যে অনেক কারণ রয়েছে। জেনে নেওয়া যাক শীতে বিয়ের নানা সুবিধাজনক দিক।
শীতকালের সঙ্গে বাঙালির উৎসবের একটা সম্পর্ক আছে। দেশে যত বিয়ে হয়, তার একটা বড় অংশ হয় এই সময়ে। কেননা, এই সময় স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ প্রায় সমস্ত প্রতিষ্ঠানের একটা বার্ষিক ছুটি চলে। তাই আত্মীয়স্বজন যে যেখানে আছেন, সবাই মিলিত হতে পারেন। বিয়ের মতো একটা বড় আয়োজনের জন্য যথেষ্ট সময় পাওয়া যায়।
যেহেতু ডিসেম্বরের দিকেই শীতের শুরু, তাই এসময় মানুষ নিজেকে নতুন করে গুছিয়ে নেওয়ার জন্য বিয়ের বন্ধনে জড়ায়। আবার জানুয়ারি মাসেও থাকে শীত। এসময় বছরের শুরু। যে কারণে নতুন বছরে মানুষ নিজেকে নতুন সম্পর্কে দেখতে চায়। ফলে বছরের শুরুতেই সিঙ্গেলের খাতা থেকে নিজের নামটা কাটিয়ে নেয়। দু’জন মিলে যে নতুন জীবন।
মেকআপ থেকে খাওয়াদাওয়া—সবকিছুই করা যায় স্বস্তিতে। বিয়ের আয়োজনে কনেকে সবচেয়ে সুন্দর দেখানো চাই। তাই সব মেয়েই বউ সাজার জন্য পছন্দ করেন শীতকাল। যত দামি মেকআপই হোক না কেন, গরমে ঘেমে নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঘটনা খুবই স্বাভাবিক। শীতকালে সেই ভয় নেই।
শীতকালে দিন ছোট। ফ্যান বা এসির ঝামেলা নেই। বিদ্যুৎ খরচ কম হয়। অল্প সময়ে স্বল্প আয়োজনে বিয়ের উৎসবের ব্যবস্থা করে ফেলা যায়। আবার বিয়ের যে খাবার থেকে যায়, সেটিও নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা কম।
বিয়ের পরই আসে হানিমুন। আর হানিমুনের ঘোরাঘুরির জন্যও শীতকাল সেরা। সে হোক সমুদ্র, পাহাড় বা সমতল!
যাযাদি/ এম