নারীর মন বোঝা কঠিন—এ কথা বহুবার বলা হলেও, তা আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। কারণ অনেক সময় নারীরা যা প্রকাশ করেন, অন্তরে তার উল্টোটাই লালন করেন।
বিশেষ করে পুরুষদের কিছু স্বভাব নিয়ে বাইরে থেকে আপত্তির সুর শোনা গেলেও, বাস্তবে নারীরা সেসব বৈশিষ্ট্যই পছন্দ করেন—এমন তথ্যই উঠে এসেছে ‘ফেমিয়ানা’ নামে একটি আন্তর্জাতিক লাইফস্টাইল ইভেন্ট গ্রুপ পরিচালিত সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায়।
৬ হাজার ৭২৯ জন নারীর অংশগ্রহণে পরিচালিত এই সমীক্ষায় নারীদের কাছে এমন কিছু প্রশ্ন রাখা হয়, যা পুরুষদের আচরণগত বৈশিষ্ট্য নিয়ে। অংশগ্রহণকারী অনেকেই প্রকাশ্যে অসন্তোষ জানালেও, তাদের ভেতরের অনুভূতি ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই গবেষণা থেকেই জানা গেছে পুরুষদের পাঁচটি স্বভাব, যা নারীরা মুখে অপছন্দ করলেও মনে মনে বেশ উপভোগ করেন।
১. ঝগড়ার সময় তর্ক না করা
সঙ্গীর সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের সময় যে পুরুষ মাথা ঠান্ডা রেখে যুক্তিহীন তর্কে না জড়ায়, নারীরা প্রকাশ্যে সেই স্বভাবের সমালোচনা করলেও, অন্তরে তার প্রশংসাই করেন। তারা মনে করেন, এ ধরনের পুরুষই প্রকৃত অর্থে পরিণত ও ধৈর্যশীল।২. বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া
৩. যুক্তিহীন বিতর্ক এড়িয়ে চলা “আমি যখন কথা বলব, তুমি চুপ থাকবে”—এমন কথা অনেক নারী ঝগড়ার সময় বললেও, তারা জানেন এতে কোনো সমস্যার সমাধান হয় না। তবুও, যারা অযথা উত্তেজিত না হয়ে পরিস্থিতি বুঝে সংযম দেখান, তারা নারীদের কাছে শ্রদ্ধার পাত্র হন।
৪. খেলার চ্যানেল দেখা বাসায় ফিরেই টিভিতে খেলার চ্যানেল খুলে বসা নিয়ে যতই অভিযোগ থাকুক, নারীরা কিন্তু খেলাধুলাকে একটি 'পুরুষালি' গুণ হিসেবে দেখেন। নিজে খেলতে না পারলেও যে পুরুষ খেলা দেখতে ভালোবাসে, সে পুরুষকে নিয়ে নারীরা গোপনে গর্বই করেন।
৫. নিজের মনের কথা সহজে প্রকাশ না করা
অনেক নারী বলেন, “সে তো নিজের মনের কথা আমাকে বুঝতেই দেয় না।” যদিও তারা এটিকে অভিযোগের ঢঙে বলেন, বাস্তবে এটা মানসিক দৃঢ়তার ইঙ্গিত বলেই মনে করেন। যারা ছোটখাটো দুঃখ বা উদ্বেগ নিয়ে প্রকাশ্যে মাতামাতি করেন না, সেই পুরুষদেরকে অধিকাংশ নারী শ্রদ্ধার চোখে দেখেন।
সমীক্ষার মাধ্যমে বোঝা যায়, সম্পর্কের প্রকাশ্য অভিযোগের আড়ালেই লুকিয়ে থাকে ভালোবাসার সূক্ষ্মতম প্রকাশ। তাই নারীরা যা বলেন, তার চেয়েও বেশি গুরুত্ব পাওয়া উচিত তারা কী অনুভব করেন—তা বুঝে নেওয়ার। সম্পর্কের সফলতার চাবিকাঠি সেখানেই।