শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

অপারেশন সার্চলাইটের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের খবর কিভাবে ছড়িয়ে ছিল

যাযাদি ডেস্ক
  ০৫ মে ২০২৪, ১১:৩৯
ফাইল ছবি

১৯৭১ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশে ইতিহাসের এক অন্ধকার অধ্যায়ের সূচনা হয়। পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী অপারেশন সার্চলাইট শুরু করে, যা বাঙালি জনগণের বিরুদ্ধে একটি নৃশংস ক্র্যাকডাউন। এই অপারেশনের সময় সংঘটিত নৃশংসতা সারা বিশ্বে শোকওয়েভ পাঠিয়েছিল। সেই রাতে ব্যাপক গণহত্যা চালানোর মাধ্যমে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী সশস্ত্র অভিযান পরিচালনা করলো পূর্ব পাকিস্তানের নিরীহ মানুষদের উপর। ঘুমন্ত শিশু, নিষ্পাপ মা, বয়সোর্ধ বৃদ্ধ কিংবা বৃদ্ধা, সেই নরকীয় রাতে কেউ বাদ যায়নি এই নরপিশাচদের হাত থেকে। ইতিহাসের পাতায় নারকীয় এই রাতে চালানো গণহত্যা অপারেশন সার্চলাইট নামে পরিচিত।

অপারেশন সার্চলাইট পশ্চিম পাকিস্তানের পরিকল্পনা মাফিক চালানো এমন এক অপারেশন, যেটাতে তারা সফল হয়েছিলো আনুমানিক অর্ধলক্ষ মানুষের প্রাণ নেওয়ার মাধ্যমে। পাকিস্তানী হানাদারের বুলেটে সে রাতে প্রাণ দিয়েছিল কচি-কাঁচা, কিশোর থেকে শুরু করে অন্তঃসত্ত্বা মা। প্রাণ দিয়েছিলো পূর্ব পাকিস্তানের জন্য লড়াকু মানসিকতার হাজার হাজার মানুষ। অপারেশন সার্চলাইটকে তাই ইতিহাসের পাতায় কালো রাত্রি হিসেবে পরিচয় করানো হয়েছে।

অপারেশন সার্চলাইটের প্রেক্ষাপট

অপারেশন সার্চলাইট ১৯৭১ এর ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে সংগঠিত হলেও এর শেকড় কিন্তু গাঁথা অতীতের নানান আন্দোলনের সাথে।

১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন, এরপরে ১৯৬৬ এর ছয় দফা, এছাড়াও এই অপারেশনের খুব কাছাকাছি সময়ে হওয়া ৭ই মার্চের ভাষণ লড়াকু বাঙালীর প্রতিবাদের ভাষা কতটা শক্তিশালী তারই ইঙ্গিত করে। পূর্বে ঘটে যাওয়া এসব প্রতিবাদের প্রতিটির বিন্দু একত্রে মিলে, এক কথায় পাকিস্তানের শাসকদের রাতের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছিলো। শক্তিতে আর বুদ্ধিতে পূর্ব বাংলার কাছে হেরে যাওয়ার ভয়ে এমন নৃশংসতার পথ বেছে নিয়েছিলো তারা। রচনা করেছিলো ইতিহাসের এক কালো অধ্যায়।

অপারেশন সার্চলাইট-এর উদ্দেশ্য

উদ্দেশ্য ছাড়া তো আর এতো বড় নৃশংস অপারেশন চালানো হয়নি। অপারেশন সার্চলাইট এর মূল উদ্দেশ্যগুলো ছিলো মূলত

* সামরিক বিরোধী ও রাজনৈতিক শক্তিকে সমূলে ধ্বংস করা

* পূর্ব বাংলা তথা বাংলাদেশের সমস্ত বড় বড় শহর দখল করা

* বাংলার সৈনিক ও পুলিশদের অস্ত্রহীন করে তাদের অকেজো করে ফেলা

* অস্ত্রাগার, রেডিও, টেলিফোন এক্সচেঞ্জ ইত্যাদি দখল করে সমস্ত প্রদেশের নিয়ন্ত্রণ নেয়া

অপারেশন সার্চলাইটের পরিকল্পনা

৭ই মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া সেই ঐতিহাসিক ভাষণের পর বেশ চাপা উত্তেজনায় কেটে যায় কয়েকদিন। আলোচনার নামে ১৫ই মার্চ জেনারেল ইয়াহিয়া খান পূর্ব পাকিস্তানে এলেন। বিমানবন্দরে জেনারেল টিক্কা খান ছাড়া আর কেউ তাকে অভ্যর্থনা জানাতে যায়নি সেদিন। অথচ অন্যান্যবার ফুলের তোড়া প্রদান থেকে শুরু করে সাংবাদিকের ভিড় কোনো কিছুরই কমতি থাকতো না।

সেদিন বঙ্গবন্ধুর সাথে আলোচনা নিজেদের পক্ষে না যাওয়ায় টিক্কা খান, মেজর জেনারেল ফরমাল আলী রাও এবং জেনারেল খাদিম হাসান রাজাকে মিলিটারি একশনের প্রস্তুতি নিতে বলেন। এরপর ১৮ মার্চ ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের জিওসি অফিসে বসে বাঙালী নিধনের এই নীল নকশা তৈরির কাজ সম্পন্ন করা হয়।

মূলত পূর্ব বাংলার মানুষদের পুরোপুরিভাবে হতচকিত করে সমগ্র প্রদেশের দখল নেয়া এবং পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সহ কমিউনিস্ট নেতাকর্মীদের গ্রেফতার বা প্রয়োজনে হত্যা করাই ছিলো এই নীল নকশার মূল পরিকল্পনা। অপারেশন সার্চলাইটের পুরো পরিকল্পনা সম্পর্কে মেজর জেনারেল খাদিম হুসাইন রাজার লেখা, A Stranger In My Own Country East Pakistan বইতে পাওয়া যায়,

১। যে কোন প্রকার প্রতিরোধ সরাসরি বিরোধিতা হিসেবে গণ্য করা হবে এবং তা কঠোর হাতে দমন করা হবে

২। সফলতা নিশ্চিত করবার লক্ষ্যে বাঙালীকে অতর্কিত আক্রমনে হতচকিত করে দেয়া হবে। এই পরিকল্পনাটি ছিলো সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ন।

৩। বিদ্রোহীদের মধ্যে অস্ত্রশস্ত্র বন্টনের পূর্বেই চট্টগ্রামের বিশ হাজার রাইফেল বাজেয়াপ্ত করতে হবে। পিলখানা, রাজারবাগ-এ অবস্থানরত বাঙালী সৈনিক ও পুলিশদের নিরস্ত্র করতে হবে।

৪। অপারেশনের শুরুতেই সকল প্রকার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করতে হবে। পরবর্তী সময়ে আমাদের নিয়ন্ত্রণে তা পুনরায় স্বল্পপরিসরে চালু করা হবে।

৫। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসগুলো ঘেরাও করতে হবে। চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও অস্ত্রশস্ত্রের খোঁজ চালাতে হবে।

৬। শেখ মুজিবকে জীবিত গ্রেফতার করতে হবে। ১৫ জন আওয়ামী লীগ ও কমিউনিস্ট নেতার বাড়ি তল্লাশী করা হবে, ধরা সম্ভব হলে তাদের প্রত্যেককে কাস্টডিতে নেয়া হবে।

অপারেশন সার্চলাইট কীভাবে পরিকল্পিত হয়

১৯৭১ সালের সে স্মৃতিচারণা করে খাদিম হোসেন রাজা লিখেছেন, ‘১৭ মার্চ, সকাল প্রায় ১০টা বাজে। টিক্কা খান আমাকে ও মেজর জেনারেল ফরমানকে কমান্ড হাউসে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে খবর পাঠান। খবর পেয়ে আমরা দুজন টিক্কা খানের সঙ্গে দেখা করি। গিয়ে দেখি, সেখানে জেনারেল আবদুল হামিদ খানও রয়েছেন। টিক্কা খান আমাদের বলেন, প্রেসিডেন্টের সঙ্গে শেখ মুজিবের সমঝোতা আলোচনা ইতিবাচক দিকে এগোচ্ছে না।

প্রেসিডেন্ট চান আমরা যেন সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি নিই এবং সে অনুযায়ী একটা পরিকল্পনা তৈরি করি। এ ছাড়া আর কোনো মৌখিক বা লিখিত নির্দেশনা আমরা পাইনি। আমাদের বলা হয়, পরদিন ১৮ মার্চ বিকেলে আমরা দুজন যেন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে ওই পরিকল্পনা চূড়ান্ত করি।’

তিনি আরো জানান, ‘জেনারেল রাও ফরমান আলী হালকা নীল কাগজের অফিসিয়াল প্যাডের ওপর একটি সাধারণ কাঠ পেন্সিল দিয়ে ওই পরিকল্পনা লিপিবদ্ধ করেছিলেন। অপারেশন সার্চলাইট নামে পরিকল্পনা ছিল ১৬টি প্যারা সংবলিত এবং পাঁচ পৃষ্ঠা দীর্ঘ। পরিকল্পনা অনুমোদিত হলেও কবে সামরিক অপারেশন চালানো হবে সেই দিনক্ষণ নির্ধারিত ছিল না।

সময় জানিয়ে মেজর জেনারেল খাদিম হুসাইনের কাছে লেফটেন্যান্ট জেনারেল টিক্কা খানের কাছ থেকে ফোনটি এসেছিল ২৫ মার্চ সকাল ১১টায়। সংক্ষেপে বলা হয়েছিল, ‘খাদিম, আজ রাতেই’। সময় নির্দিষ্ট হয়েছিল রাত একটা। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের হিসেবে অবশ্য তখন ২৬ মার্চ। হিসাব করা হয়েছিল প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ততক্ষণে নিরাপদে করাচি পৌঁছে যাবেন।‘

আক্রমনের প্রথম প্রহর

২৫ মার্চের দিন সকাল থেকেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের নতুন পুরানো সব অস্ত্র নিয়ে তৈরি হতে শুরু করে। প্ল্যান করা হয় সেদিন রাত ১টায় অর্থাৎ ২৬ শে মার্চের প্রথম প্রহরে তারা আক্রমণ শুরু করবে। ঠিক হয়, ঢাকায় বিগ্রেডিয়ার আরবাবের ৫৭ বিগ্রেড নিয়ে জেনারেল ফরমান এবং বাকি প্রদেশে আক্রমণের দায়িত্বে থাকবেন জেনারেল খাদিম।

অন্যদিকে হানাদার বাহিনীর আক্রমণের পূর্বাভাস পেয়ে বাঙালী সৈন্য, ছাত্র, পুলিশ- সকলে মিলে রাস্তায় গাছের গুড়ি, পুরানো গাড়ি ইত্যাদি দিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করে। রাত ১১টায় মিলিটারি সৈন্যরা ফার্মগেটে বাধা পেয়ে রাগে ফেটে পড়ে। সাথে সাথেই তারা ব্যারিকেড এবং বিদ্রোহী দমনে গুলি চালাতে শুরু করে। পরিকল্পনার বাইরে গিয়ে এভাবেই পূর্ব নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই অপারেশন সার্চলাইট শুরু হয়ে যায়।

আক্রমনের প্রথম প্রহর

যখন চারিদিকে পাক বাহিনীর তান্ডব চলছে, তখন আক্রমনের সংবাদ পেয়ে বঙ্গবন্ধু TNT যোগে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন-

এর মাত্র আধাঘন্টা পরেই পূর্ব পরিকল্পনা মতো পাকিস্তানি বাহিনীর একটি প্লাটুন বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ঘেরাও করে। বঙ্গবন্ধু তৈরী ছিলেন এই পরিস্থিতির জন্য। নিজে থেকেই তাই নেমে এসে ধরা দিলেন শত্রুর কাছে। তাকে নিয়ে যাওয়ার পর মেজর জাফর ওয়্যারলেসের মাধ্যমে বার্তা পাঠালেন-

This may be my last message, from today Bangladesh is independent. I call upon the people of Bangladesh wherever you might be and with whatever you have, to resist the army of occupation to the last. Your fight must go on until the last soldier of the Pakistan occupation army is expelled from the soil of Bangladesh. Final victory is ours.

সেই নরকীয় রাতের শেষ প্রহর

মৃত দেহ চাপা দেবার উদ্দেশ্যে গর্ত খুঁড়ে রেখে যারা আক্রমন শুরু করেছে তাদের নৃশংসতা কি সহজে থামার কথা?

আক্রমনের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে পড়তে থাকে একের পর এক লাশ। টেনে গর্তে নামিয়ে দেওয়া হয় সেগুলো। পাকিস্তানী মিলিটারিদের প্রথম নিশানা ছিলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল ও জগন্নাথ হল। নির্বিচারে একের পর এক গুলি চালিয়ে সেখানে ছাত্রদের বুক ঝাঝড়া করা হয়। এরপর তাদের খোঁড়া গর্ত ছাত্রদের লাশ দিয়ে ভরাট করে মাটি চাপা দেয়া হয়।

সে রাতে বাদ যায়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলও। পরপর আক্রমণ করা হয় রোকেয়া হলে। সেখান থেকে ছাত্রীদের ধরে নিয়ে আসা হয় ক্যান্টনমেন্টে। চালানো হয় পাশবিক নির্যাতন। জি সি দেব, ড. ফজলুর রহমান খান সহ আরো বেশ কয়জন শিক্ষককে চোখের পলকে হত্যা করা হয়। সে রাতে এভাবে ৯ জন শিক্ষকসহ বহু ছাত্রকে নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা করা হয়।

পরিকল্পনা মাফিক পুরনো ঢাকা, তেজগাঁও, ইন্দিরা রোড, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, ঢাকা বিমানবন্দর, গণকটুলী, ধানমন্ডি, কলাবাগান, কাঁঠালবাগান প্রভৃতি স্থানে আক্রমণ চালানো হয়েছিলো সে রাতে। বাঙালির মুক্তির আন্দোলনে সমর্থনের কারণে ইত্তেফাক, সংবাদ ও দি পিপলস সহ আরো কিছু পত্রিকা অফিসে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিলো। এতে বহু সংবাদকর্মী আগুনে পুড়ে মারা গিয়েছিলো।

শুধু ঢাকা নয়, সে রাতে সামরিক যান আক্রমণ চালানো হয়েছিলো চট্টগ্রাম, যশোর, খুলনা, রংপুর, সৈয়দপুর, রাজশাহী, কুমিল্লা ও সিলেটে বসবাসকারী বাঙালিদের ওপরও।

সেই দুর্বিষহ দুস্বপ্নের রাতের বর্ননা দিয়েছেন জেনারেল নিয়াজি তার The Betrayel of East Pakistan বইতে,

‘একটি শান্তিপূর্ণ রাত পরিণত হয় দুঃস্বপ্নে। চারিদকে আর্তনাদ ও অগ্নিসংযোগ। জেনারেল টিক্কা তার সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন যেন তিনি তার নিজের বিপথগামী লোকের সঙ্গে নয়; একটি শত্রুর সঙ্গে লড়াই করছেন। ২৫ মার্চের সেই সামরিক অভিযানের হিংস্রতা ও নৃশংসতা বুখারায় চেঙ্গিস খান, বাগদাদে হালাকু খান এবং জালিয়ানওয়ালাবাগের ব্রিটিশ জেনারেল ডায়ারের নিষ্ঠুরতাকে ছাড়িয়ে যায়।‘

২৫ মার্চ রাতের হত্যাকান্ডের পরদিন ঢাকা ছাড়ার মুহুর্তে পাকিস্তান পিপলস পার্টির সভাপতি জুলফিকার আলী ভূট্টো পাক বাহিনীর আগের রাতের কাজের বেশ প্রশংসা করে্ছিলেন। গদগদ হয়ে মন্তব্য করেছিলেন, ‘আল্লাহকে অশেষ ধন্যবাদ যে পাকিস্তানকে রক্ষা করা গেছে।’

পরবর্তীতে মার্চ মাসের শেষের দিকে অপারেশন সার্চলাইট পরিকল্পনায় সেনানিবাসকে কেন্দ্র করে পাকবাহিনী তান্ডব চালায়।

এমনকি ৫ আগস্ট পাকিস্তান সরকার ২৫ মার্চ এর সামরিক অভিযানকে ‘অত্যাবশ্যকীয়’ হিসেবে চিহ্নিত করে একটি ‘শ্বেতপত্র’ প্রকাশ করেন।

পরিশিষ্ট

২৫ মার্চের অতর্কিত এই আক্রমনে মূলত ঢাকা শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিলো তারা। তবে আক্রমণটা অতর্কিত হলেও তার পেছনের ভাবনা ছিলো বহুদিনের। অপারেশন সার্চলাইট ছিলো মূলত রাষ্ট্রদ্রোহীদের শায়েস্তা করার জন্য এক বর্বর অপারেশন। তাইতো তাদের এই এক রাতের অভিযানে প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষ। এই অপারেশনই ছিলো বাংলার মাটিতে পূর্ব পাকিস্তানকে মিশিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে সমস্ত নৃশংসতার শুরু। অপারেশন সার্চলাইট তাই বাঙালীর এক স্মৃতিময় দুঃখের নামও বটে।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে