মোটরসাইকেলে দুই ধরনের লিভার থাকে। একটি ব্রেক লিভার। অন্যটি ক্লাচ লিভার। ব্রেক লিভার দিয়ে মোটরসাইকেল থামানো হয়। অন্যদিকে ক্লাচ লিভার চেপে গিয়ার শিফটিং করা হয়।
অনেকেরই জানার ইচ্ছা আপদকালীন সময়ে জরুরিভাবে মোটরবাইক থামানোর জন্য প্রথমে ব্রেক লিভার চাপবেন নাকি ক্লাচ লিভার।
এই সম্পর্কে অনেকেই স্পষ্ট ধারণা নেই। জানুন সেই সম্পর্কে।
বহু মানুষই মোটরসাইকেল চালান৷ তবে সবাই জানেন না কীভাবে ক্লাচ, ব্রেক বা গিয়ার সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হয়। তাদের কাছে কিছু বিষয়ে সঠিক তথ্য থাকে না, যার কারণে প্রায়ই ভুল হয় এবং দুর্ঘটনা ঘটে।
খালি রাস্তায় উচ্চ গতিতে বাইক চালাতে চালাতে হঠাৎ গতি কমাতে হবে, তখন ক্লাচ ব্যবহার না করে ব্রেক টিপে ধীর করতে পারেন। তারপর যদি আপনি মনে করেন যে আপনাকে বাইক থামাতে হবে বা বাইকের গতি বর্তমান গিয়ারের সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছেছে তাহলে আপনাকে ক্লাচ টিপে একটি নিম্ন গিয়ারে যেতে হবে। এটা না করলে বাইক বন্ধ হয়ে যাবে।
বাইক থামাতে ব্রেক লাগে? বা কখন ক্লাচ টিপতে হয় বা কোন ব্রেক ও ক্লাচ আগে চাপতে হবে? অনেকেই এ ধরনের বিষয়ে মনোযোগ না দিয়ে ভুল করতে থাকেন। জেনে নিন বাইক চালানোর কিছু টিপস৷ কোন পরিস্থিতিতে ব্রেক এবং ক্লাচ ব্যবহার করবেন৷
যখন স্বাভাবিক গতিতে বাইক চালাচ্ছেন এবং আপনি মনে করেন যে বাইকে ব্রেক দরকার, তাহলে শুধু ব্রেক চাপলেই কাজটি হবে। এর জন্য ক্লাচ ব্যবহার করার দরকার নেই। ব্রেক শুধুমাত্র বাইকের গতি কমাতে বা পথে ছোটোখাটো বাধা এড়াতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
কম গতিতে ভ্রমণ করছেন এবং ব্রেক লাগাতে হয় তবে প্রথমে ক্লাচ টিপুন এবং তারপর ব্রেক। কারণ প্রথমে ব্রেক চাপলে বাইক থেমে যেতে পারে। এটি প্রথম বা দ্বিতীয় গিয়ারে চালানোর সময় করা যেতে পারে।
হঠাৎ যদি কেউ বাইকের সামনে এসে যায় তাহলে ক্লাচ এবং ব্রেক দুটোই একই সঙ্গে চাপতে হবে। ক্লাচ এবং ব্রেক একসঙ্গে সাধারণত জরুরি পরিস্থিতিতে ব্যবহার করা হয়৷
কারণ এটি বাইকের যান্ত্রিক অংশগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে ব্রেকে চাপ দিলে সবচেয়ে কার্যকর উপায়। তবে হঠাৎ ব্রেক লাগানোর সময় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
যাযাদি/ এস