বুধবার, ১১ জুন ২০২৫, ২৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বিশ্বে ‘নজিরবিহীন হ্রাস’ পাচ্ছে প্রজনন হার: জাতিসংঘ

যাযাদি ডেস্ক
  ১০ জুন ২০২৫, ১২:১১
বিশ্বে ‘নজিরবিহীন হ্রাস’ পাচ্ছে প্রজনন হার: জাতিসংঘ
ফাইল ছবি

জাতিসংঘের প্রজনন অধিকার সংস্থার এক নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বে প্রজনন হার ‘নজিরবিহীন হ্রাস’ পাচ্ছে। খবর বিবিসির।

জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল ইউএনএফপিএ প্রজনন হার হ্রাসের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কঠোর অবস্থান নিয়েছে। সংস্থাটি সতর্ক করে দিয়েছে, লাখ লাখ মানুষ তাদের পছন্দের সংখ্যক সন্তান ধারণ করতে পারছে না।

1

এর অন্যতম কারণ সন্তান লালনপালনে অতিরিক্ত ব্যয় এবং উপযুক্ত সঙ্গীর অভাব।

ইউএনএফপিএ ১৪ দেশের ১৪ হাজার মানুষের প্রজনন হারের ইচ্ছার ওপর জরিপ চালিয়ে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে। প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন বলেছেন, তাদের কাঙ্ক্ষিত সংখ্যক সন্তান হয়নি বা হবে না।

জরিপটি চালানো হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, ইতালি, হাঙ্গেরি, জার্মানি, সুইডেন, ব্রাজিল, মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মরক্কো, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং নাইজেরিয়ায়। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ বাস করেন এ দেশগুলোতে।

নিম্ন, মধ্যম এবং উচ্চ আয়ের দেশ এবং নিম্ন ও উচ্চ প্রজনন ক্ষমতা সম্পন্ন দেশগুলোর ওপর এ জরিপ পরিচালনা করা হয়। ইউএনএফপিএ তরুণ প্রাপ্তবয়স্কদের এবং প্রজনন সময়কাল পেরিয়ে যাওয়া নারী-পুরুষদের ওপর জরিপটি করেছে।

ইউএনএফপিএর প্রধান ডা. নাতালিয়া কানেম বলেন, ‘বিশ্বে প্রজনন হারে নজিরবিহীন পতন শুরু হয়েছে,’।

তিনি জানান, জরিপে অংশগ্রহণকারী বেশিরভাগ মানুষ দুই বা ততোধিক সন্তান চান। তিনি বলেন, প্রজনন হার হ্রাসের কারণ অনেকেই তাদের পছন্দ অনুসারে পরিবার তৈরি করতে অক্ষম বোধ করেন। এটাই আসল সংকট।

এটি চলতি বছরের শেষের দিকে ৫০ দেশে গবেষণার জন্য একটি পাইলট জরিপের অংশ। জরিপে কিছু ফলাফল স্পষ্ট।

জরিপ চালানো সবগুলোর দেশের ৩৯ শতাংশ মানুষ বলেছেন, আর্থিক সীমাবদ্ধতা তাদের সন্তান ধারণের পথে বাধা।

মাত্র ১২ শতাংশ মানুষ বন্ধ্যাত্ব বা গর্ভধারণে অসুবিধাকে তাদের পছন্দের সংখ্যক সন্তান না হওয়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

তবে থাইল্যান্ড (১৯ শতাংশ), যুক্তরাষ্ট্র (১৬ শতাংশ), দক্ষিণ আফ্রিকা (১৫ শতাংশ), নাইজেরিয়া (১৪ শতাংশ) এবং ভারতসহ (১৩ শতাংশ) কয়েকটি দেশে এই সংখ্যা বেশি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে