দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা নিয়ে আলোচনা এখন তুঙ্গে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিদিনই রাজনীতির মাঠে ঘটছে নতুন ঘটনা। এরই মধ্যে নিজ নিজ এলাকায় প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছেন নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। নেতাকর্মীদের নিজের বলয়ে নিয়ে আসার চেষ্টায় সমান তালে চলছে লবিং-গ্রুপিং এবং জনসংযোগ। দলীয় আনুগত্যের ফল এবং সারাজীবনের রাজনীতির পেছনে দেওয়া শ্রমের মূল্যায়ন চান মনোনয়নপ্রত্যাশীরা।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন চান প্রায় ডজনখানেক প্রকৌশলীরা। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে 'ভিশন-২০৪১' বাস্তবায়নে প্রধান কারিগর প্রকৌশলীরা।
ঈদ-পূজাসহ নানা উৎসব উপলক্ষ্যে নিজ এলাকায় গিয়ে সামাজিক কর্মকাণ্ড, শুভেচ্ছা বিনিময় ও জনগণকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহের কথা জানান দিচ্ছেন তারা।
কে কোন আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী
ইঞ্জি. মো. আবদুস সবুর: কুমিল্লা-১ (দাউদকান্দি-তিতাস) ঢাকা-চট্টগ্রামের সংযোগ জেলা কুমিল্লার প্রবেশদ্বার দাউদকান্দি-তিতাস। রাজনৈতিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় আসন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গত ১৫ বছরে ক্ষমতা টানা তিনবার যিঁনি সংসদ সদস্য তিনি সরাসরি আওয়ামী লীগের সাথে যুক্ত ছিলেন না। ফলে গোমতী নদী ঘেরা দাউদকান্দি তিতাসের জনগণের চাওয়া আওয়ামী লীগের আপাদমস্তক রাজনীতিতে যুক্ত এমন কাউকে সেই আসন থেকে মনোনয়ন দেওয়া হোক। ইঞ্জি. মো. আবদুস সবুর টানা তিনবারের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক হিসেবে দলে ও এলাকায় সার্বক্ষণিক সময় দিচ্ছেন। গত বছর নভেম্বরের শুরুতে আয়োজন করছেন 'স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ভূমিকা শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলন' যা বাংলাদেশে কোন রাজনৈতিক দলের জন্য প্রথম। তাছাড়া দেশের সবচেয়ে প্রাচীন পেশাজীবি প্রতিষ্ঠান ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হয়েই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে প্রধান অতিথি করে পেশাজীবী সংগঠনের মধ্যে সবার প্রথমে আয়োজন করেন 'শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ'। ছাত্র অবস্থায় ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে বুয়েটের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের জিএস মনোনীত হয়েছেন। বর্তমানে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)'র প্রেসিডেন্ট ছাড়াও প্রকৌশলীদের পেশাজীবী প্রতিষ্ঠান বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন ইঞ্জি. মো. আবদুস সবুর।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জি. মো. কবির আহমেদ ভূঁইয়া:
ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) স্বাধীনতার পর ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টি আসনটি দখল করে। তারপর থেকেই জাতীয় পার্টি মোট চারবার এবং জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি দুইবার এবং আওয়ামী লীগ ২০১৪ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত ক্ষমতা। আসনটিতে আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি তৈরি করার জন্য গত পাঁচ বছর মাঠে ঘাটে চষে বেড়াচ্ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জি. মো. কবির আহমেদ ভূঁইয়া। গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী থাকা অবস্থায় প্রচুর কাজ করেছেন এলাকায়৷ বাড়িয়েছেন জনসম্পৃক্ততা। সরকারি কর্মকর্তা হওয়ার ফলে সরাসরি রাজনীতিতে সম্পৃক্ত না থাকলে সরব ছিলেন সামাজিক সংগঠনগুলোতে। ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)'র নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। ইঞ্জি. মো. কবির আহমেদ ভূঁইয়া বর্তমানে বৃহৎ কুমিল্লা সমিতি (কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-চাঁদপুর) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অনেক দিন ধরেই নবীনগর উপজেলা কল্যান সমিতির নির্বাচিত সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। অবসরের পরপরই যুক্ত হোন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাথে। বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক উপকমিটির সদস্য।
ইঞ্জি. মো. শাহাদাত হোসেন (শিবলু), পিইঞ্জ. :
চাঁদপুর-১ (কচুয়া) বর্তমানে ইঞ্জি. মো. শাহাদাৎ হোসেন শীবলু পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের মহাসচিব হিসেবে দায়িত্বের পাশাপাশি দেশের সবচেয়ে প্রাচীন পেশাজীবী প্রতিষ্ঠানের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন৷ আওয়ামী লীগের প্রকৌশলী পেশাজীবী সংগঠন 'বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের' সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে আছেন। আওয়ামী লীগের প্রকৌশলীদের সংগঠন বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক। ছিলেন খুলনা প্রযুক্তি ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের নির্বাচিত ভিপি। দেশের করোনাকালিন সময়ে ইঞ্জি. মো. শাহাদাৎ হোসেন শীবলু আইইবির সম্মানী সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন সারাদেশে সাড়ে চার হাজার সিলিন্ডার গ্যাস বিতরণ কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্বে ছিলেন। সেই সময় কচুয়ার মানুষের আস্থা,বিশ্বাস ও প্রিয়জনের জায়গা দখল করে নেন। চাঁদপুর-১ (কচুয়া)'র জনগণ মনে করে ইঞ্জি. মো. শাহাদাৎ হোসেন শীবলুর মতো কর্মী বান্ধব প্রকৌশলী নেতা সংসদ সদস্য হতে পারলে টেকসই উন্নয়নে সারা বাংলাদেশের মডেল উপজেলা হবে কচুয়া। ভৌগোলিক ও রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় আসন চাঁদপুর-১ (কচুয়া)। ঢাকা ও চাঁদপুরের প্রবেশদ্বার কচুয়া উপজেলা নিয়েই এই সংসদীয় আসন। তাছাড়া মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে শহীদ হয়েছেন ইঞ্জি. মো. শাহাদাৎ হোসেন শীবলুর বাবা শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ছৈয়দুর রহমান। একজন শহীদ পরিবারের সন্তান ও আপাদমস্তক পেশাজীবী ও রাজনৈতিক নেতা হিসেবে নৌকার মনোনয়ন পেতে চান বলে জানান এই নেতা।
ইঞ্জি. এস. এম. মনজুরুল হক মঞ্জু: বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ)
ইঞ্জি. এস. এম. মনজুরুল হক মঞ্জু বর্তমানে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)'র সম্মানী সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে ইঞ্জি. এস. এম. মনজুরুল হক মঞ্জু ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)'র সার্ভিসেস এন্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। বুয়েটে ছাত্রলীগের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের ইফতার মাহফিলে যখন সাধারণ শিক্ষার্থীরা বাধা দিয়েছিল তখন ইঞ্জি. এস. এম. মনজুরুল হক মঞ্জু বুয়েট ছাত্রলীগের প্রাক্তন সভাপতি হিসেবে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিল। তাছাড়া ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ মহাজোটকে আসনটি ছেড়ে দেওয়ার পর টানা তিনবার দখলে চলে যায় জাতীয় পার্টির। ইঞ্জি. এস. এম. মনজুরুল হক মঞ্জু মনে করেন এবার আর দল অন্যকোন পার্টির সাথে আসনটি ভাগাভাগি করবে না। ছাত্ররাজনীতি থেকে জড়িত একজন আওয়ামী লীগের নেতার হাতেই নৌকা তুলে দিবেন। তেমন হলে নৌকা পাওয়ার জন্য শতভাগ আশাবাদী এই প্রকৌশলী নেতা।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জি. নুরুজ্জামান মাগুরা-২ (শালিখা-মহম্মদপুর উপজেলা এবং মাগুরা সদর উপজেলার চারটি ইউনিয়ন) ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তারপর কর্মজীবনে দীর্ঘদিন সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। অবসরের আগে ছিলেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী। অবসরের পরই সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডে নিজেকে জড়ান এই প্রকৌশলী নেতা। বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের এবং ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) ভাইস-প্রেসিডেন্ট। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে একজন প্রকৌশলী হিসেবে নৌকার মনোনয়ন পেতে নিয়মিত এলাকায় সময় দিচ্ছেন বলে জানান ইঞ্জি. নুরুজ্জামান।
ইঞ্জি. মোহাম্মদ হোসাইন: চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি)
দেশের বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে যেকজন প্রকৌশলী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তার মধ্যে পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক ও ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি), ঢাকা সেন্টারের চেয়ারম্যান ইঞ্জি. মোহাম্মদ হোসাইন অন্যতম। ২০১৮ সালেই নৌকার মনোনয়ন পেতে মরিয়া হয়ে হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তির প্রতিটি এলাকায় ঘুরেছেন ইঞ্জি. মোহাম্মদ হোসাইন। সেই সময় থেকেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে মাঠে ঘুরেবেড়ানো অব্যাহত রেখেছেন এই প্রকৌশলী নেতা। এলাকার জনগণ মনে করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অপেক্ষাকৃত তরুনদের অগ্রাধিকার দিলে ইঞ্জি. মোহাম্মদ হোসাইন বাংলাদেশ আওয়ামী থেকে মনোনয়ন পাবেন।
ইঞ্জি. মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালি-মহিপুর)
ছাত্ররাজনীতি থেকেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাথে জড়িত ইঞ্জি. মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন। হয়েছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক। প্রকৌশলী পেশাজীবী সংগঠন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)'র মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিভিশন সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। শুধু রাজনৈতিক ভাবেই পটুয়াখালী-৪ আসনটি গুরুত্বপূর্ণ না বরং অর্থনৈতিকভাবে এই আসনটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। পায়রা সমুদ্র বন্দর এই আসনে অবস্থিত। আগামীর অর্থনীতির বিশাল হাব হবে এই অঞ্চল। অর্থনীতির এই বিশাল কর্মযজ্ঞকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এখানে একজন দক্ষ, অভিজ্ঞ ও আদর্শবান প্রকৌশলীকে মনোনয়ন দিবে বলে এলাকাবাসী মনে করে। সেই জন্য প্রকৌশলী মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন শতভাগ আশাবাদী আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা পেতে।
ড. ইঞ্জি. মাসুদা সিদ্দিক রোজী, পিইঞ্জ নরসিংদী-২ (পলাশ)
এশিয়ার সবচেয়ে বড় সার কারখানা ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা এই আসনে অবস্থিত। দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অঞ্চল বলে খ্যাত এই পলাশ উপজেলা ও নরসিংদী সদরের কয়েকটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত নরসিংদী-২ সংসদীয় আসন। এই আসনের মানুষের সেবার জন্যই নিজেকে আজীবন উৎসর্গ করেছেন নারী প্রকৌশলী ড. ইঞ্জি. মাসুদা সিদ্দিক রোজী, পিইঞ্জ.। সেই জন্য অল্প খরচে কিভাবে দরিদ্র মানুষের জন্য আবাসন তৈরি করা যায় তার উপর সুদূর আমেরিকা থেকে করেছেন পিএইচডি। নারী হিসেবে আলাদাভাবে সংরক্ষিত সাংসদ নয় বরং জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত সাংসদ হতে চান এই নারী প্রকৌশলী। সেই জন্য রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ভাবে নিজের অবস্থান গড়েছেন সুদৃঢ় ও শক্তিশালী । বর্তমানে তিনি নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ সম্পাদক হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। আছেন বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে। ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য । দক্ষ ও প্রশিক্ষিত মানব সম্পদ তৈরি করার জন্য গড়েছেন নরসিংদীতে মমতাজ-আনোয়ার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। দায়িত্ব পালন করছেন নরসিংদী ওমেন চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি হিসেবে। দেশের নারী জাগরণের অগ্রদূত হিসেবে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ড. ইঞ্জি. মাসুদা সিদ্দিক রোজীকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দিবেন বলে এলাকার জনসাধারণ মনে করে। শিক্ষা, পারিবারিক ঐতিহ্য ও মুক্তিযুদ্ধে পারিবারিক অবদান এবং করোনাকালীন সময় বিবেচনা করলে ড. ইঞ্জি. মাসুদা সিদ্দিক রোজীকেই নৌকা মনোনয়ন দিবেন বলে তিনি শতভাগ আশাবাদী।
মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মনোনয়ন দৌড়ে আছেন ছাত্রজীবন থেকে দলীয় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং পেশাগত জীবনে খ্যাতিমান প্রকৌশলীরা। দলের শীর্ষপর্যায় থেকে ইতোমধ্যে অনেকেই ‘সবুজ সংকেত’ পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন। তারপরও দলের শীর্ষপর্যায়ে যোগাযোগ ও তদবির অব্যাহত রেখেছেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের প্রায় প্রত্যেকেই দলীয় পেশাজীবী সংগঠনের নেতা। তাদের কেউ কেউ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কমিটির সঙ্গে যুক্ত। কেউ বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের ও পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সাবেক ও বর্তমান নেতা। আবার প্রকৌশলীদের সংগঠন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন,বাংলাদেশ(আইইবি) বর্তমান ও সাবেক নেতারাও আছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীদের এ তালিকায়।
প্রকৌশলী সংগঠন ও দলীয় একাধিক সূত্র বলছে, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দৌড়ে রয়েছেন অন্তত ডজনখানেক প্রকৌশলী।
যাযাদি/এসএস