পারিবারিক কলহে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন গাইবান্ধার এক নারী। সবার অগোচরে তিনি তার পরিকল্পনা মতো শিশু সন্তানকে নিয়ে চলে আসেন নির্ধারিত গন্তব্যে। তার নিজের বাড়ি থেকে একটু দূরে রেললাইনের ওপর দাঁড়িয়ে থাকেন। কখন ট্রেন আসবে এই অপেক্ষায়। অবশেষে ট্রেন আসলো...
জানা যায়, গাইবান্ধায় শিশু সন্তানসহ রেললাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন এক নারী। ট্রেন আসতে দেখে তাকে বাঁচাতে যান স্থানীয় এক কলেজছাত্র। ট্রেনের ধাক্কায় দুজনেরই মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ওই নারী আত্মহত্যা করতে ট্রেনের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ ঘটনায় গৃহবধূর কোলে থাকা শিশুটি ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়।
সোমবার সকালে গাইবান্ধা জেলা শহরের মাঝিপাড়া এলাকার রেললাইনে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত হওয়া শিশুটিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এই ঘটনায় নিহত কলেজছাত্রের নাম নাজিউল ইসলাম। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তার বাড়ি জেলার সাঘাটা উপজেলায়। তিনি গাইবান্ধার এসকেএস স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।
নিহত গৃহবধূ মাঝিপাড়া এলাকার আনোয়ারের স্ত্রী রাজিয়া বেগম (২৩)। স্থানীয়রা জানান, সকালে সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে ওই গৃহবধূ মাঝিপাড়া এলাকার রেললাইনে অপেক্ষা করছিলেন। একপর্যায়ে ট্রেন আসতে দেখেও ওই গৃহবধূ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকায় কলেজছাত্র নাজিউল তাকে রেললাইনের ওপর থেকে সরানোর জন্য হাত ধরে টানতে থাকেন। একপর্যায়ে ট্রেন দুজনকেই ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়।
যাযাদি/ এস