শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

৩০ মিনিটে আনারের কিলিং মিশন শেষ

সাখাওয়াত হোসেন
  ২৪ মে ২০২৪, ০৯:১৬
আপডেট  : ২৪ মে ২০২৪, ১০:১০
ছবি-সংগৃহিত

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের কিলিং মিশন শেষ করতে খুনিরা মাত্র ৩০ মিনিট সময় নিয়েছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে আটককৃত চরমপন্থি নেতা আমানুল্লাহ আমান ও তার বান্ধবী শিলাস্তি রহমানসহ তিনজনের পৃথক জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য মিলিয়ে গোয়েন্দারা এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছে। তাদের এমপি আনার হত্যা মামলায় বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ তাদের আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।

এদিকে কোন বিরোধের জের ধরে এমপি আনারকে খুন করা হয়েছে, কার পরিকল্পনায় কিলিং মিশনে কতজন অংশ নিয়েছে, কার কী ভূমিকা ছিল, কীভাবে মৃতদেহ কেটে টুকরো টুকরো করে হাড়-মাংস আলাদা করা হয়েছিল, খুনিরা কীভাবে তা কোথায় ফেলে দিয়েছিল- এসব গুরুত্বপূর্ণ বেশির ভাগ প্রশ্নের জবাব গোয়েন্দারা এরই মধ্যে পেয়ে গেছেন। অন্যদিকে কিলিং মিশনে অংশ নেওয়া সিয়াম নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশ। এছাড়া জুবের নামের আরও একজনকে আটক করেছে তারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। রাজ্য পুলিশ সূত্র বলছে, আনোয়ারুল আজিমের লাশ গুম করার ক্ষেত্রে সিয়ামের ভূমিকা ছিল। বর্তমানে পূর্ব কলকাতার নিউটাউন থানায় সিয়ামকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে সিয়াম ও জুবেরকে ঠিক কোথা থেকে ধরা হয়েছে, তা জানা যায়নি।

পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ সিয়ামের বিস্তারিত পরিচয় জানাতে পারেনি। তবে আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডে বাংলাদেশে গ্রেপ্তার তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী শাহীনের ব্যক্তিগত সহকারী এই সিয়াম। আর আটক জুবের লাল মারুতি সুইফট গাড়ির চালক। তাকেও নিউটাউন থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। রাজ্য পুলিশ সূত্র বলছে, জুবের ভারতের নাগরিক।

এদিকে আনারকে হত্যার ঘটনা তদন্তে ভারতীয় সিআইডির দুই সদস্যের একটি টিম ঢাকায় এসে ডিবি ওয়ারী বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন ও হত্যাকারীদের ধরতে ভারতীয় তদন্ত সংস্থা সিআইডি ও ঢাকার ডিবি পুলিশ যৌথভাবে কাজ করছে। ডিবির উপকমিশনার আবদুল আহাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে ডিবি কার্যালয়ে প্রবেশ করে ভারতীয় স্পেশাল পুলিশের দুই সদস্যের একটি টিম। এর আগে বিকাল ৩টার দিকে তারা ঢাকায় এসে পৌঁছায়। পরে ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাস হয়ে বিকালে তারা ঢাকা মেট্রো পলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সদর দপ্তরে আসে।

ডিবি সূত্র জানায়, ভারতীয় স্পেশাল পুলিশের সদস্যরা নিহত আনোয়ারুল আজিমের হত্যাকাণ্ড নিয়ে তদন্ত-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও পরিবারের সঙ্গে কথা বলবেন। তারা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বাংলাদেশে গ্রেপ্তার তিন আসামিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন দুই ভারতীয় নাগরিক গ্রেপ্তারের বিষয়েও আলোচনা হবে।

এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিবি কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার কারণে কিলিং মিশনের মাস্টারমাইন্ড শাহীন হত্যার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কলকাতাকে বেছে নেয়। ১৩ মে ২টা ৫১ মিনিটে এমপি আজিমসহ সবাই কলকাতার নিউটাউনের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে ঢুকেন। আধাঘণ্টার মধ্যেই এই নৃশংস হত্যা শেষ করে। এর আধাঘণ্টা বা এক ঘণ্টা পরে এদের একজন বাইরে যায়। ওই অ্যাপার্টমেন্টের সিসি ফুটেজ পর্যবেক্ষণে গোয়েন্দারা এ বিষয়গুলো নিশ্চিত হয়েছে। কিলিং মিশনের মূল হোতা, গ্রেপ্তারকৃত আমানুল্লাহ আমানও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে এ বিষয়টি স্বীকার করেন।

মূল হত্যাকারীসহ গ্রেপ্তারকৃত তিনজনের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে ডিবি প্রধান আরও বলেন, ঢাকার গুলশান ও বসুন্ধরায় বসে একাধিকবার আলোচনা করেছে হত্যাকারীরা। আনারকে হত্যা করতে প্রথমে তারা বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করতে চেয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে ডিএমপির ডিবির তদন্ত সক্ষমতার কথা চিন্তা করে তারা দেশের বাইরের মাটিতে পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গত ২৫ এপ্রিল কলকাতায় তারা বাসা ভাড়া করে। নিহত সংসদ সদস্যের বন্ধু আক্তারুজ্জামান শাহীন, তার বান্ধবী এবং পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির নেতা আমান উল্লাহ আমান ওরফে শিমুল গত ৩০ এপ্রিল ঢাকা থেকে বিমানে করে কলাকাতায় গিয়ে সেই বাসায় ওঠে। মূলত পরিবার নিয়ে থাকার তথ্য দিয়ে বাড়ির মালিকের সঙ্গে চুক্তি করে।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, হত্যাকারীরা দুই মাস ধরে সংসদ সদস্যকে নজরদারিতে রাখছিল। কখন তিনি কলকাতায় যান তার খবর রাখছিল। সংসদ সদস্য বিভিন্ন সময়ে কলকাতায় যেতেন। সেখানে তিনি দীর্ঘদিন বাস করেছেন। সেখানে তার বন্ধু-বান্ধব রয়েছেন। তারা এই সুযোগটি কাজে লাগিয়েছে।

হত্যার পরিকল্পনাকারীরা জানত ১২ মে এমপি আনার কলকাতায় যাবেন। তাই তারা ৩০ এপ্রিল কলকাতায় গিয়ে জিহাদ ওরফে জাহিদ ও সিয়াম নামের স্থানীয় দু’জনকে ঠিক করে। হত্যার পরিকল্পনাকারী শাহীন হত্যার পর কোন গাড়ি ব্যবহার করা হবে, কাকে কত টাকা দিতে হবে- সেগুলো ঠিক করে ১০ মে বাংলাদেশে ফিরে আসেন। নিহত সংসদ সদস্য কলকাতায় যাওয়ার পর ১৩ তারিখ ওই বাসায় যান। যাওয়ার পথে একটি সাদা গাড়িতে করে ফয়সাল নামের এক ব্যক্তি তাকে নিয়ে যায়। গাড়িটি কিছু পথ যাওয়ার পরে হত্যাকারী আমান উল্লাহ সেই গাড়িতে ওঠে। গাড়িটির চালক ছিল রাজা। সেই বাসায় (নিউটাউন এলাকার সঞ্জিভা গার্ডেন) যাওয়ার পর মোস্তাফিজসহ তারা বাসায় প্রবেশ করে। বাসাটিতে আগে থেকে জাহিদ ও সিয়াম অবস্থান করছিল। ১৩ তারিখ দুপুরে ২টা ৫১ মিনিটে বাসায় প্রবেশ করেন আনার। এর ৩০ মিনিটের মধ্যেই হত্যা করা হয় তাকে।

হত্যার পরে ঘাতকরা সংসদ সদস্যের মোবাইল ফোন দিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তিকে ম্যাসেজ পাঠায়। এরপর তারা মরদেহের হাড় থেকে মাংস আলাদা করে। পরে জিহাদ ও সিয়াম দু’টি ব্রিফকেসে করে মরদেহ গাড়িতে করে ফেলে দেয় যাতে আনারের চিহ্ন না থাকে। কাজ শেষ করে ১৫ তারিখ আমানউল্লাহ আমান ও শাহীনের প্রেমিকা শিলাস্তি দেশে ফিরে আসে। সবাই ফিরে আসায় হত্যার মাস্টারমাইন্ড শাহীন বিমানে করে দিল্লি, সেখানে ২ ঘণ্টার ট্রানজিট নিয়ে কাঠমান্ডু যায়। সেখান থেকে অন্য কোনো দেশে চলে যান।

ডিবি প্রধান হারুন-অর-রশিদ জানান, হত্যার বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পরে দেখা গেছে, হত্যাকারীরা তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করতে নিহত সংসদ সদস্যের দুটি মোবাইল ফোন দুই দিকে নিয়ে যায়। এরপর তারা বিভিন্ন জনকে বার্তা পাঠায় ও কল করতে থাকে। এটা করে যাতে তদন্তকারীরা বুঝতে পারে তিনি জীবিত আছেন। এমনকি ১৮ মে এমপির ব্যক্তিগত সহকারীকে একটি ম্যাসেজ পাঠায় যাতে বলা হয় ‘আমি দিল্লি যাচ্ছি। আমার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আছেন। দিল্লির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে আমার একটি মিটিং আছে’।

‘এই বার্তাগুলো আমরা যখন পেয়েছি তখনই বুঝতে পেরেছি হত্যাকারীরা নিজেদের আড়াল করতে এই বার্তা পাঠিয়েছে। হত্যাকারীরা দু’টি মোবাইল কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চল ও বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় পাঠায়।’ জানান ডিবি প্রধান হারুন।

এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিমকে যারা হত্যা করেছে, তাদের চিহ্নিত করার প্রায় কাছাকাছি এসে গেছেন। শুধু ঘোষণার বাকি। ঘোষণাটি দেওয়া হবে দুই দেশের গোয়েন্দারা সম্পূর্ণ একমত হতে পারলে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত নতুন কিছু আমাদের কাছে আসেনি। আমাদের পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা, ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ও পুলিশ- দুই দেশ থেকেই আমরা কাজ করছি; যাতে আরও কিছু তথ্য বেরিয়ে আসে। আমরা নিশ্চিত হয়েছি, তাকে হত্যা করা হয়েছে। যারা হত্যা করেছে, তাদের মুখ থেকে আমরা এগুলো শুনেছি।’

এখনো আনোয়ারুল আজিমের মরদেহ উদ্ধার হয়নি জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে নতুন অগ্রগতি সম্পর্কে জানানো যাচ্ছে না। কারণ আরও কিছু বিষয়ের সন্ধান আমরা এখনো পাইনি।

এদিকে এমপি আনারের মরদেহ টুকরো টুকরো করে পলিথিনে ভরে ট্রলি ব্যাগে করে সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেলেও সেই ট্রলি ব্যাগ কোথায়- সে প্রশ্নের সুস্পষ্ট জবাব বাংলাদেশ পুলিশ কিংবা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এখনো দেয়নি। কলকাতা পুলিশ সেটি খুঁজে পেয়েছে কিনা?- সে বিষয়েও নিশ্চিত হয়ে তারা কিছু বলেনি। কলকাতার গণমাধ্যমকর্মীদের দাবি, পুলিশের দিক থেকে অনেক তথ্যই জানানো হচ্ছে না। তবে অসমর্থিত সূত্রের বরাত দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম বলছে, লাশের খবর পুলিশ জানে। তবে এ ব্যাপারে এখনই আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বলতে নারাজ কলকাতা পুলিশ।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র জানায়, হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী, এমপি আনারের ছোটবেলার বন্ধু, ব্যবসায়িক পার্টনার আক্তারুজ্জামান শাহীনের সঙ্গে স্বর্ণ চোরাচালানের অর্থ ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধের জের ধরেই এ নৃশংস হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হতে পারে। আক্তারুজ্জামান শাহীন নিজেও একজন স্বর্ণ চোরাচালানকারী। কলকাতায় শাহীন ও আনারের যৌথ ব্যবসা রয়েছে। এমপি আনারের সঙ্গে শাহীনের স্বর্ণের বড় একটি চালান নিয়ে ঝামেলা চলছিল। এমপি ওই চালানের টাকা শাহীনকে দেননি। এটা নিয়ে দীর্ঘ ঝামেলার পর মূলত অন্যান্য পার্টনারের সঙ্গে মীমাংসার জন্য কলকাতায় যান এমপি আনার। তাকে এক নারী দিয়ে ফাঁদে ফেলে কিলিং স্পটে নেওয়া হয়।

গোয়েন্দা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯১ সালে আনার ঝিনাইদহের আরেক চোরাকারবারি পরিতোষ ঠাকুরের সঙ্গে মিলে স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। স্বর্ণের বড় বড় চালান রাজধানী থেকে বাঘাডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে প্রতিবেশী দেশে পাচার করতেন তারা। ১৯৯৬ সালে আনার বিএনপি থেকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে যোগ দেন। মাদক ও স্বর্ণ চোরাচালানের কারবারের সঙ্গে কালীগঞ্জ পৌরসভার এক কমিশনারের হাত ধরে অস্ত্র চোরাকারবারে জড়ান তিনি। তার অবৈধ অস্ত্রের চালান চরমপন্থি ক্যাডার রবিনের কাছে বিক্রি হতো।

এছাড়া এক সময়ের দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের চরমপন্থিদের নিয়ন্ত্রণ করতেন আনার। অস্ত্র এবং বিস্ফোরক দ্রব্য পাচারের হোতা হিসেবেও পুলিশের খাতায় নাম ছিল তার। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও চরমপন্থিদের গডফাদার হিসেবে পরিচিতি পান। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, বিস্ফোরক, মাদকদ্রব্য ও স্বর্ণ চোরাচালান, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখলবাজি এবং চরমপন্থিদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে ৯টির বেশি মামলা ছিল।

এমপি আনার কন্যার স্ট্যাটাস : মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন বাবাকে নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। বুধবার রাত ১০টায় ও বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে আবেগঘন দু’টি পোস্ট করেন। প্রথম পোস্টে ডরিন লিখেছেন- ‘আব্বু তোমার অনেক কষ্ট হয়েছিল তাই না? তুমি তো আমাকে নিয়ে যেতে চেয়েছিলে, আমিই যাইনি। ভিসা ছিল না আমার। আমি তোমার কষ্টের ভাগ নিতে পারলাম না। তুমি কত কষ্ট পেয়েছ, এটা ভাবলে আমার বেঁচে থাকার ইচ্ছা শেষ। আমি তোমার এত আঘাত-ব্যথা সহ্য করতে পারি না। আল্লাহ কি নেই? এত কষ্ট দিয়ে কোনো মানুষ মানুষকে মারতে পারে বলে আমার জানা ছিল না। আমি বিচার চাই, আমি বিচার চাই। আমি ওদের লাশ দেখতে চাই নির্মমভাবে।’

বৃহস্পতিবার সকালের পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমি আব্বু ডাকতে পারি না। আমি তো এতিম। তুমি কি দেখতেছো আব্বু?’

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে