স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ সোহেল তাজ জেলহত্যা দিবসকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনসহ তিন দফা দাবিতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার উদ্দেশ্যে পদযাত্রা করেছেন।

রোববার (৩ নভেম্বর) দুপুরে দাবিগুলো নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে স্মারকলিপি নিয়ে পসযাত্রা শুরু করেন।

সোহেল তাজ বলেন, বাংলাদেশ সুন্দর রাষ্ট্র হলে আমার বাবা-মায়ের আত্মা শান্তি পাবে। তাদের প্রেরণা তুলে ধরতেই আজকের এই পদযাত্রা। ব্যক্তি হিসেবে আমি লজ্জিত যে রাষ্ট্রের কাছে আমার চাইতে হচ্ছে। এই দায়িত্বটা রাষ্ট্রেরই ছিলো। সংস্কারের প্রধান অংশ গণঅভ্যুত্থান এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণ।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ একক নেতৃত্বে হয়নি। অনেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন। শেখ মুজিব জেলে থাকার পর জাতীয় চার নেতার অবদান নেতৃত্ব ছিল গুরুত্বপূর্ণ। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা হয়নি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আরাকান আর্মির সাথে বাংলাদেশের যোগাযোগের প্রশ্ন উঠছে কেন

তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে.................

• যেহেতু ১০ই এপ্রিল, ১৯৭১ স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয় সেহেতু বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র (প্রজাতন্ত্র) হিসেবে জন্ম লাভ করে তাই এই দিনটিকে “প্রজাতন্ত্র দিবস” ঘোষণা করতে হবে I
• ৩রা নভেম্বর’ জেল হত্যা দিবসকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করতে হবে।
• জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল বেসামরিক ও সামরিক সংগঠক, পরিচালক, অমর শহিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম , অবদান ও জীবনীসহ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সাথে সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তকে ও সিলেবাসে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।

যাযাদি/ এম