সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ পুরোপুরি বাতিল না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর৷
মঙ্গলবার (১৭ জুন) সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন ভবনের নিচে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীরা একত্রিত হয়ে আন্দোলন চলাকালে এসব কথা বলেন তিনি৷
বাদিউল কবির বলেন, আজকে আমরা স্বরাস্ট্র এবং সমাজকল্যান মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি জমা দিব৷ এ অধ্যাদেশ পুরোপুরি বাতিল না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবেই৷
বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান
নুরুল ইসলাম বলেন, আমাদের আট বিভাগে সম্মেলনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়ে গেছে৷ আলোচনার নামে সরকারের উর্ধতন কর্মকর্তারা আস্থা ভঙ্গ করেছে৷ বিশ্বাস নষ্ট করেছে৷ আমরা চাই আমাদের ৫০ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা দেওয়া হোক৷ এছাড়া যারা ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলা আছেন তাদের তাড়াতে হবে৷আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আজ যেমন আলাদা আলাদা মিছিল নিয়ে এসেছেন আগামীকালও প্রতিটি মন্ত্রণালয় থেকে আলাদা আলাদা মিছিল নিয়ে আসবেন সবাই৷ আগামীকালের আন্দোলন আরও দুর্দান্ত হবে৷
নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা সরকারি কর্মচারী৷ আমরা নিয়ম শৃঙ্খলায় বিশ্বাসী৷ আগামীদিনে আরও বৃহত্তর আলোচনা আসবে৷
এর আগে চার ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধু কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করা যাবে– এমন বিধান রেখে গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন হয়। এরপর ২৫ মে অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
সরকারি কর্মচারীরা অধ্যাদেশটিকে নিবর্তনমূলক ও কালো আইন হিসেবে অবহিত করছেন। এটি বাতিল করার জন্য সচিবালয়ে বিক্ষোভ মিছিল, কর্মবিরতি, অবস্থান কর্মসূচি ছাড়াও কয়েকজন উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা৷ অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে গত ২৪ মে থেকে আন্দোলন করছেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা।