সোমবার, ২৬ মে ২০২৫, ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

মিরসরাইয়ে সাম্য, মানবিকতা ও ঐক্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন শাহিদুল ইসলাম চৌধুরী

যাযাদি ডেস্ক
  ২৩ মে ২০২৫, ১৭:২৭
আপডেট  : ২৩ মে ২০২৫, ১৭:৩৪
মিরসরাইয়ে সাম্য, মানবিকতা ও ঐক্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন শাহিদুল ইসলাম চৌধুরী
শাহিদুল ইসলাম চৌধুরী

মিরসরাইয়ে সাম্য, মানবিকতা ও ঐক্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন মিরসরাই উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক শাহিদুল ইসলাম চৌধুরী। দলকে সুসংগঠিত, শক্তিশালী ও গতিশীল রাখার পাশাপাশি সমানতালে চালিয়ে যাচ্ছেন আর্ত মানবতার সেবাও। রাজনীতির ময়দানে একদিকে যেমন তিনি আদর্শ নেতা, অন্যদিকে সমাজের অবহেলিত ও অসহায় মানুষের আশার আলো। রাজনৈতিক ব্যস্ততার মাঝেও শাহিদুল ইসলাম চৌধুরী ভুলে যাননি আপামর জনসাধারণকে। অসুস্থ রোগীর চিকিৎসা সহায়তা থেকে শুরু করে দুঃস্থদের খাদ্য ও বস্ত্র বিতরণ—তার মানবিক উদ্যোগের ছোঁয়া সর্বত্র। সুখে দুখে মানুষের পাশে থেকে, তাদের দুঃখ-কষ্ট ভাগ করে নিয়ে মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন এ নেতা।

1

গত ৫ আগষ্ট সৈরাচার পতনের পর মিরসরাইয়ে নানা অনিয়মের খবর পাওয়া গেলেও স্রোতে গা না ভাসিয়ে, সন্ত্রাস, দখলদারি, চাঁদাবাজিকে কঠোরভাবে দমন করে ইতোমধ্যে তিনি ক্লিন ইমেজের রাজনীতিবিদ হিসেবে সুখ্যাতি অর্জন করেছেন। ভবিষ্যতের একটি সমৃদ্ধ মিরসরাই গড়তে এমন সৎ, নিষ্ঠাবান ও যোগ্য নেতাকেই সংসদ সদস্য হিসেবে বেছে নেয়ার অভিব্যক্তি প্রকাশ করে সাধারণ ভোটাররা।

মিরসরাই উপজেলা বিএনপির দুর্দিনের কাণ্ডারী, গণমানুষের নেতা শাহীদুল ইসলাম চৌধুরীও চান জাতীয় সংসদে এ জনপদের প্রতিনিধিত্ব করতে। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে জনগণের কাছে তার স্বপ্নের কথা তুলে ধরছেন তিনি। শাহিদুল ইসলাম চৌধুরীর অঙ্গীকার একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা, যেখানে সবাই সমান সুযোগ পাবে, বঞ্চিত হবে না কেউ। তার বক্তব্যে বারবার উঠে আসছে সুশাসন, কর্মসংস্থান, এবং দারিদ্র্য দূরীকরণের প্রতিশ্রুতি।

শাহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, নির্বাচন একটি গণতান্ত্রিক প্রকিয়া। জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার একমাত্র পথ নির্বাচন। বিগত সৈরাচার হাসিনা নির্বাচন শব্দটির কবর রচনা করেছিলো। মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করেছিলো। ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করেনা। আজ তারা লেজ গুটিয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। সামনে যে নির্বাচন হবে সে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। সে নির্বাচনে দল যদি আমাকে যোগ্য মনে করে, যদি আমি দলীয় মনোনয়ন পাই তাহলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির হয়ে আমি সংসদীয় আসন চট্টগ্রাম ১ (মিরসরাই) থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাই। আমি মনোনয়ন পেলে বিপুল ভোটে জয়ী হব বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

ক্লিন ইমেজের রাজনীতিবিদ হিসেবে খ্যাতি পাওয়া এ নেতার রাজনীতির শুরুটা ছাত্রজীবন থেকেই। ১৯৮৫ সালে নিজামপুর কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নেতৃত্বের হাতেখড়ি হয় তার। পরের বছর কলেজ শাখার সভাপতি হন। এরপর ১৯৮৭ সালে মিরসরাই উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে নিজের শক্ত অবস্থান গড়ে তোলেন। ১৯৯২ সালে তিনি বিএনপির মিরসরাই উপজেলা শাখার ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব নেন। সময়ের পরিক্রমায় তিনি যুবদলের উপজেলা সভাপতি, পরে বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এবং অবশেষে ২০২২ সালে উপজেলা শাখার আহবায়ক মনোনীত হন। তার রাজনৈতিক দক্ষতা এবং সাংগঠনিক নেতৃত্ব কেবল উপজেলা পর্যায়ে সীমাবদ্ধ থাকেনি; তিনি চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য এবং জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস)-এর চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও কাজ করেছেন।

৯০-এর দশকে এরশাদবিরোধী আন্দোলনে শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী মিরসরাই উপজেলা সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যের সমন্বয়ক হিসেবে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন, যা তার রাজনৈতিক সংগ্রামের এক গর্বিত অধ্যায়। এরপর ৯৬-এর সেশনে হাসিনা সরকারের পতনের সময় যুবদলের সভাপতি ছিলেন তিনি। সর্বশেষ মূল দল জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির আহবায়ক থাকা অবস্থায় পতত হয় ফ্যাসিস্ট হাসিনার। উপজেলা ছাত্রদল, যুবদল ও বিএনপির নেতৃত্ব তার হাতে থাকা অবস্থায় এ তিন সরকারের পতন হয়, যাকে এক মিরাকল হিসেবেই দেখছেন অনেকে।

শাহীদুল ইসলাম চৌধুরীর রাজনৈতিক জীবন কখনোই মসৃণ ছিল না। তিনবার কারাবরণ এবং আটটি রাজনৈতিক মামলার সম্মুখীন হওয়ার মধ্য দিয়ে তিনি প্রমাণ করেছেন যে, আদর্শের জন্য তিনি আপসহীন। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডেও সক্রিয়। তিনি মিরসরাই এসোসিয়েশন-চট্টগ্রামের পৃষ্ঠপোষক সদস্য এবং চট্টগ্রাম সমিতি-ঢাকার আজীবন সদস্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাদামাটি সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবেও তিনি তরুণদের উদ্বুদ্ধ করে চলেছেন।

রাজনীতি ও সমাজসেবার পাশাপাশি শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী একজন সফল উদ্যোক্তা। তিনি সিটিকম ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান, কিং এয়ার এভিয়েশনের পরিচালক এবং আরবিসি গ্রুপের চেয়ারম্যান। কৃষিভিত্তিক পর্যটনেও তার অবদান রয়েছে, আরবিসি এগ্রো ট্যুরিজমের চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি স্থানীয় অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানে ভূমিকা রাখছেন।

ব্যক্তিগত জীবনে তিনি মাহতাব চৌধুরী বাড়ির সন্তান। জন্ম ১৯৬৯ সালের ১ অক্টোবর, চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার সাহেরখালী ইউনিয়নে। তার বাবা আলহাজ্ব আলমগীর চৌধুরী এবং মা রিজিয়া বেগম চৌধুরী। শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী বারৈয়ারহাট ডিগ্রি কলেজ থেকে বিএ পাস করেন।

রাজনীতি, মানবিকতা ও সমাজিকতায় নিজেকে বিলিয়ে দেয়া এ নেতার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে সমগ্র মিরসরাইজুড়ে। দলকে সুসংগঠিত করতেও নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন মিরসরাই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাহিদুল ইসলাম চৌধুরী। তার নেতৃত্বে দলীয় কর্মকাণ্ডে ফিরেছে শৃঙ্খলা। উজ্জীবিত হয়েছে নেতাকর্মীদের মনোবল। শান্তি, শৃঙ্খলা ও ঐক্যের বার্তা ছড়িয়ে তিনি দলের অভ্যন্তরীণ বিভেদ দূর করে একটি সুষ্ঠু ও সম্মিলিত রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার নেতৃত্বে সুসংগঠিত থেকে আগামী দিনের সুখী, সমৃদ্ধ, সাম্য ও মানবিকতার মিরসরাই গড়তে চান দলীয় নেতাকর্মীরাও।

শাহিদুল ইসলাম চৌধুরী মনে করেন, রাজনীতির মূল শক্তি হলো ঐক্য। একটি রাজনৈতিক দল কেবল তখনই শক্তিশালী হতে পারে, যখন সেই দলের নেতাকর্মীরা পারস্পরিক মতবিরোধ পেছনে ফেলে ঐক্যবদ্ধভাবে সামনে এগিয়ে যায়। তিনি বিশ্বাস করেন, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, শৃঙ্খলা ও পারস্পরিক সম্মানের মাধ্যমে দলের ভিত শক্ত করা যায়। দলকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হলে ব্যক্তিস্বার্থ নয়, বরং দলীয় ঐক্যের স্বার্থকেই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে।

দলের ভেতরকার যে কোনো মতানৈক্য দূর করতে এবং সমন্বিত উদ্যোগে সংগঠন পরিচালনা করতে শাহিদুল ইসলাম চৌধুরী নিয়মিত দলীয় সভা, মতবিনিময়, কর্মশালা এবং সাংগঠনিক বৈঠকের আয়োজন করছেন। এসব সভায় নেতাকর্মীরা তাদের মতামত প্রকাশের সুযোগ পাচ্ছেন এবং গণতান্ত্রিকভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হচ্ছে। দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে তিনি গুরুত্ব দিচ্ছেন আস্থার পরিবেশ তৈরিতে। তার মতে, রাজনীতির অঙ্গনে টিকে থাকতে হলে ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে একে অপরের হাত ধরে চলতে হবে। শৃঙ্খলা ও ঐক্যের মাধ্যমে দলকে শক্তিশালী করাই তার প্রধান লক্ষ্য।

শাহিদুল ইসলাম চৌধুরী মনে করেন, শক্তিশালী সংগঠন গড়ে তুলতে অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা ও সংহতির বিকল্প নেই। তিনি বারবার দলীয় কর্মীদের মনে করিয়ে দিচ্ছেন যে, একমাত্র ঐক্যের মধ্য দিয়েই দলের লক্ষ্য ও আদর্শ বাস্তবায়ন করা সম্ভব। এজন্য তিনি বিভেদের দেয়াল ভেঙে সবার মাঝে সমানুভূতির পরিবেশ তৈরি করতে সচেষ্ট।

তার দূরদর্শী নেতৃত্বে মিরসরাই উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ইতিবাচক সাড়া পড়েছে। তার নেতৃত্বে সবাই দলকে আরও সুসংগঠিত করতে একযোগে কাজ করছেন। নেতাকর্মীরা মনে করেন, তার গতিশীল উদ্যোগ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে মিরসরাই উপজেলা বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংকট অনেকটাই কেটে গেছে। বর্তমানে একটি সুসংহত ও গতিশীল নেতৃত্বের অধীনে দল এগিয়ে চলেছে। দলীয় সভা, আন্দোলন, কর্মসূচি এবং সাংগঠনিক কার্যক্রমে শাহিদুল ইসলাম চৌধুরীর সক্রিয় অংশগ্রহণ নেতাকর্মীদের প্রেরণা জুগিয়েছে। তার নেতৃত্বে দলীয় শৃঙ্খলা যেমন ফিরে এসেছে, তেমনি কর্মীদের মধ্যে ঐক্যের সুর বেজে উঠেছে। দলীয় নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রেখে কর্মীরা প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন যে তারা ঐক্যবদ্ধভাবেই সব প্রতিকূলতা অতিক্রম করে এগিয়ে যাবেন।

শাহিদুল ইসলাম চৌধুরীর পরিকল্পনায় রয়েছে মিরসরাই বিএনপিকে আরও শক্তিশালী ও সুসংগঠিত করা। তিনি চান, প্রত্যেক নেতাকর্মী দলীয় আদর্শ লালন করে একে অপরের পাশে দাঁড়াবেন। শান্তি, শৃঙ্খলা ও ঐক্যের বার্তাকে আরো ছড়িয়ে দিতে তিনি নতুন কর্মসূচির রূপরেখা তৈরি করছেন। তার ভাষায়, "আমাদের রাজনৈতিক সংগ্রাম সফল করতে হলে ঐক্য ও শৃঙ্খলার পতাকাতলে সবাইকে আসতে হবে। দলকে সামনে এগিয়ে নিতে হলে আমাদের পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বিশ্বাসের জায়গা শক্তিশালী করতে হবে।"

রাজনীতিতে অটল, সমাজসেবায় নিবেদিত এবং ব্যবসায়ে সফল—এই তিনটি দিক একত্রে মিশে গড়ে উঠেছে শাহীদুল ইসলাম চৌধুরীর ব্যক্তিত্ব। মিরসরাই তথা চট্টগ্রামের রাজনীতিতে তিনি এক প্রেরণাদায়ী নাম, যিনি তার কর্ম, নেতৃত্ব এবং নিষ্ঠার মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। নেতাকর্মীরা মনে করেন, শাহিদুল ইসলাম চৌধুরীর দূরদর্শী নেতৃত্বে মিরসরাই বিএনপি এক নতুন ভোরের অপেক্ষায়, যেখানে ঐক্য, শৃঙ্খলা ও পারস্পরিক সৌহার্দ্যই হবে দলের এগিয়ে যাওয়ার মূল শক্তি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে